প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার জেদ সম্পর্কিত প্রচারণাকে আবারও সত্য প্রমাণ
করেছেন। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি শুধু নয়, দেশি-বিদেশি সব মহলের
আহ্বানও উপেক্ষা করে তার সরকার গতকাল ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচন নামের
আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে ছেড়েছে। নির্বাচনের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা
থেকে পুলিশ এবং বিরোধী দলের নেতা-কর্মীসহ কতজনের প্রাণহানি ঘটেছে, কত নিরীহ
মানুষ আহত হয়েছেন এবং কতগুলো ভোটকেন্দ্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে—এসব জানার জন্য
অপেক্ষা করতে হবে সত্য, তবে একটি কথা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, নাটকীয়তা
যথেষ্ট করা হলেও ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যাননি। যারা গেছেন তাদের নিয়ে অন্তত
শতকরার হিসাব কষা যায় না। কারণ, দুপুর পর্যন্তও জানা গেছে, যে কেন্দ্রে ২৫
হাজার ভোটার সে কেন্দ্রে ৪০ থেকে ৫০ জনের বেশি ভোটার ভোট দেননি। এমনটি
ঘটেছে খোদ রাজধানীতে। একেও যদি নির্বাচন বলতে হয় তাহলে নিশ্চয়ই তামাশা
ধরনের অনেক শব্দকেই ডিকশনারি থেকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে হবে।
নির্বাচন যে এরকমই হবে সে সম্পর্কে ক্ষমতাসীনদেরও সুস্পষ্ট ধারণা ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও নিজেদের অশুভ ইচ্ছা ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য তারা শুধু তামাশা করার পথেই পা বাড়াননি, একই সঙ্গে বিরোধী দলকে নির্মূলের ভয়ঙ্কর কর্মকাণ্ডও চালিয়েছেন। মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে পুরো দেশকেই তারা মৃত্যুপুরি বানিয়ে ফেলেছিলেন। গণমাধ্যমের খবরে জানার পাশাপাশি প্রত্যক্ষভাবেও জনগণকে সরকারের নিষ্ঠুরতা দেখতে হয়েছে, এখনও হচ্ছে। দেখা গেছে, যৌথ অভিযানের নামে সরকার আসলে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। কোথাও কোনো অভিযোগ ছাড়াই ডজনে ডজনে গ্রেফতার করা হয়েছে, কোনো কোনো এলাকায় আবার অনেককে মেরেও ফেলা হয়েছে। বিগত কয়েকদিনের প্রতিদিনই মারা গেছেন অসংখ্য নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ। অনেককে গুমও করেছে যৌথবাহিনী। এই অভিযানে পুলিশ ও র্যাবের সঙ্গে দেশের সীমান্ত প্রহরার জন্য গঠিত বাহিনী বিজিবিকে তো নামানো হয়েছেই, তাদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের গুণ্ডা-সন্ত্রাসী ও ক্যাডাররাও যোগ দিয়েছে। অভিযানে অনেক অচেনা মুখের মানুষকেও দেখা গেছে—যারা বাংলাদেশের নাগরিক নয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
এভাবে সব মিলিয়েই দেশে এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিলেন ক্ষমতাসীনরা। বড় কথা, নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়ে সরকার প্রকৃতপক্ষে বিরোধী দলকে নির্মূলের অভিযানই চালিয়েছে। সেনাবাহিনীকে দিয়েও ভয়-ভীতি দেখানোর কৌশল নিয়েছে সরকার। নির্বাচন কমিশনের আড়ালে এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধামুক্ত করার নামে সেনাবাহিনীকে ‘দায়িত্ব’ পালনের জন্য নামানো হয়েছে। অথচ তিনশ’ আসনের মধ্যে ১৫৩ আসনে প্রার্থীরা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় ‘নির্বাচিত’ হয়ে যাওয়ায় এবং বিরোধী দল অংশ না নেয়ায় বাকি ১৪৭ আসনে স্বাভাবিক প্রতিযোগিতা হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই ছিল না। একই কারণে নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতার প্রশ্ন তোলা এবং জনগণের শেষ ভরসা সেনাবাহিনীকে নামানোও উচিত হয়নি। কথাটা সাধারণ মানুষের পর্যায়েও ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছে। এমন ভাবনার ভিত্তিতেই বলা হচ্ছে, সেনাবাহিনীকে সম্ভবত জনগণের প্রতিপক্ষ বানানোর অতি ভয়ংকর উদ্যোগ নিয়েছিলেন ক্ষমতাসীনরা। এমন অনুমান অকারণে করা হচ্ছে না। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের জঙ্গি-সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। বলেছেন, তাদের নির্মূল করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও সিনিয়র নেতারা। কেউ অন্দোলনকারীদের ‘দেখা মাত্র’ গুলি করার নির্দেশ দিয়েছেন, কেউ আবার এই বলে হুংকার দিয়েছেন যে, এখন আর প্রতিরোধ বা প্রতিহত করা হবে না বরং নেয়া হবে ‘প্রতিশোধ’। তারা এই প্রতিশোধ নেয়ার জন্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি হুকুমও জারি করেছেন।
অন্যদিকে বাস্তব পরিস্থিতি কিন্তু ক্ষমতাসীনদের চিন্তা ও পরিকল্পনার অনেক বাইরে চলে গিয়েছিল। বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ডাকে অনেক আগেই অচল হয়ে পড়েছিল সারাদেশ। সবশেষে হরতালের ডাকেও জনগণ সর্বাত্মকভাবে সাড়া দিয়েছে। এরই প্রমাণ পাওয়া গেছে গতকাল। প্রধানমন্ত্রীর সাধের নির্বাচনে তারা ভোটই দিতে যায়নি। এতে অবশ্য ক্ষমতাসীনদের কিছুই যাবে-আসবে না। তারা ঠিকই হিসাব মেলাবেন এবং তার ভিত্তিতে এমন এক পরিসংখ্যান হাজির করবেন যার মাধ্যমে বোঝানো যাবে যে, যথেষ্টসংখ্যক ভোটারই ভোট দিয়েছেন। কিন্তু তাদের এই হিসাব-পরিসংখ্যান এবং চাওয়াটাই শেষ কথা হতে পারে না। কারণ, জনগণ তো সবকিছু দেখেছেই, ওদিকে জাতিসংঘের পাশাপাশি রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্সসহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং গণচীনের মতো শক্তিধর দেশ ও সংস্থাগুলোও—যারা চেয়েছিল, বাংলাদেশে সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ অনুষ্ঠিত হোক। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি অংশ না নিলে কোনো নির্বাচনই যে তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না সে কথাটাও বিভিন্ন উপলক্ষে জানিয়ে রেখেছে তারা। সুতরাং ক্ষমতাসীনরা চাইলেই দশম সংসদ নির্বাচনকে বৈধ ও অংশগ্রহণমূলক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা যাবে না।
আমরা উদ্বিগ্ন অবশ্য অন্য একটি বিশেষ কারণে। সে কারণটি ক্ষমতাসীনদের, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর প্রকৃত উদ্দেশ্য। ঘটনাপ্রবাহে প্রমাণিত হয়েছে, সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার দোহাই দিয়ে তিনি আসলে সুচিন্তিতভাবেই বিরোধী দলকে নির্বাচনের বাইরে ঠেলে দিয়েছেন। কারণ, মোটামুটি নিরপেক্ষ হলেও তার দলের ভরাডুবি তিনি ঠেকাতে পারতেন না। কথা শুধু এটুকুই নয়। তার পরিকল্পনায় রয়েছে দেশকে আবারও একদলীয় শাসনের অন্ধকারে নিয়ে যাওয়া। সেটা করতে হলে সংসদে নিরংকুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দরকার। সংবিধানের আড়াল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আসলে সেটাই নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নিয়েছেন। ফলে আগামী দিনগুলোতে দেশে গণতন্ত্রই শুধু ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে না, জনগণের ওপর আবারও চাপানো হতে পারে বাকশালের মতো একদলীয় শাসন। বলা দরকার, গণতন্ত্র যদি না থাকে তাহলে এক পর্যায়ে টান পড়বে দেশের সমগ্র অস্তিত্ব নিয়েও। পরিণতিতে বিপন্ন হবে দেশের স্বাধীনতাও। এ কথাটাই বেগম খালেদা জিয়া তার সর্বশেষ বিবৃতিতে বলেছেন। তিনি সেই সঙ্গে সিকিম এবং লেন্দুপ দর্জির উদাহরণ দিয়েও যা বোঝানোর তা বুঝিয়ে দিয়েছেন। অর্থাত্ গতকালের তথাকথিত নির্বাচনের পরিণতিতে বাংলাদেশ এমনকি তার ‘স্বাধীনতা’ও খুইয়ে বসতে পারে। প্রতিরোধ আন্দোলনও তাই এখন থেকেই গড়ে তোলা দরকার।dainik amerdesh
নির্বাচন যে এরকমই হবে সে সম্পর্কে ক্ষমতাসীনদেরও সুস্পষ্ট ধারণা ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও নিজেদের অশুভ ইচ্ছা ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য তারা শুধু তামাশা করার পথেই পা বাড়াননি, একই সঙ্গে বিরোধী দলকে নির্মূলের ভয়ঙ্কর কর্মকাণ্ডও চালিয়েছেন। মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে পুরো দেশকেই তারা মৃত্যুপুরি বানিয়ে ফেলেছিলেন। গণমাধ্যমের খবরে জানার পাশাপাশি প্রত্যক্ষভাবেও জনগণকে সরকারের নিষ্ঠুরতা দেখতে হয়েছে, এখনও হচ্ছে। দেখা গেছে, যৌথ অভিযানের নামে সরকার আসলে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। কোথাও কোনো অভিযোগ ছাড়াই ডজনে ডজনে গ্রেফতার করা হয়েছে, কোনো কোনো এলাকায় আবার অনেককে মেরেও ফেলা হয়েছে। বিগত কয়েকদিনের প্রতিদিনই মারা গেছেন অসংখ্য নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ। অনেককে গুমও করেছে যৌথবাহিনী। এই অভিযানে পুলিশ ও র্যাবের সঙ্গে দেশের সীমান্ত প্রহরার জন্য গঠিত বাহিনী বিজিবিকে তো নামানো হয়েছেই, তাদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের গুণ্ডা-সন্ত্রাসী ও ক্যাডাররাও যোগ দিয়েছে। অভিযানে অনেক অচেনা মুখের মানুষকেও দেখা গেছে—যারা বাংলাদেশের নাগরিক নয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
এভাবে সব মিলিয়েই দেশে এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিলেন ক্ষমতাসীনরা। বড় কথা, নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়ে সরকার প্রকৃতপক্ষে বিরোধী দলকে নির্মূলের অভিযানই চালিয়েছে। সেনাবাহিনীকে দিয়েও ভয়-ভীতি দেখানোর কৌশল নিয়েছে সরকার। নির্বাচন কমিশনের আড়ালে এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধামুক্ত করার নামে সেনাবাহিনীকে ‘দায়িত্ব’ পালনের জন্য নামানো হয়েছে। অথচ তিনশ’ আসনের মধ্যে ১৫৩ আসনে প্রার্থীরা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় ‘নির্বাচিত’ হয়ে যাওয়ায় এবং বিরোধী দল অংশ না নেয়ায় বাকি ১৪৭ আসনে স্বাভাবিক প্রতিযোগিতা হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই ছিল না। একই কারণে নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতার প্রশ্ন তোলা এবং জনগণের শেষ ভরসা সেনাবাহিনীকে নামানোও উচিত হয়নি। কথাটা সাধারণ মানুষের পর্যায়েও ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছে। এমন ভাবনার ভিত্তিতেই বলা হচ্ছে, সেনাবাহিনীকে সম্ভবত জনগণের প্রতিপক্ষ বানানোর অতি ভয়ংকর উদ্যোগ নিয়েছিলেন ক্ষমতাসীনরা। এমন অনুমান অকারণে করা হচ্ছে না। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের জঙ্গি-সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। বলেছেন, তাদের নির্মূল করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও সিনিয়র নেতারা। কেউ অন্দোলনকারীদের ‘দেখা মাত্র’ গুলি করার নির্দেশ দিয়েছেন, কেউ আবার এই বলে হুংকার দিয়েছেন যে, এখন আর প্রতিরোধ বা প্রতিহত করা হবে না বরং নেয়া হবে ‘প্রতিশোধ’। তারা এই প্রতিশোধ নেয়ার জন্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি হুকুমও জারি করেছেন।
অন্যদিকে বাস্তব পরিস্থিতি কিন্তু ক্ষমতাসীনদের চিন্তা ও পরিকল্পনার অনেক বাইরে চলে গিয়েছিল। বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ডাকে অনেক আগেই অচল হয়ে পড়েছিল সারাদেশ। সবশেষে হরতালের ডাকেও জনগণ সর্বাত্মকভাবে সাড়া দিয়েছে। এরই প্রমাণ পাওয়া গেছে গতকাল। প্রধানমন্ত্রীর সাধের নির্বাচনে তারা ভোটই দিতে যায়নি। এতে অবশ্য ক্ষমতাসীনদের কিছুই যাবে-আসবে না। তারা ঠিকই হিসাব মেলাবেন এবং তার ভিত্তিতে এমন এক পরিসংখ্যান হাজির করবেন যার মাধ্যমে বোঝানো যাবে যে, যথেষ্টসংখ্যক ভোটারই ভোট দিয়েছেন। কিন্তু তাদের এই হিসাব-পরিসংখ্যান এবং চাওয়াটাই শেষ কথা হতে পারে না। কারণ, জনগণ তো সবকিছু দেখেছেই, ওদিকে জাতিসংঘের পাশাপাশি রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্সসহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং গণচীনের মতো শক্তিধর দেশ ও সংস্থাগুলোও—যারা চেয়েছিল, বাংলাদেশে সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ অনুষ্ঠিত হোক। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি অংশ না নিলে কোনো নির্বাচনই যে তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না সে কথাটাও বিভিন্ন উপলক্ষে জানিয়ে রেখেছে তারা। সুতরাং ক্ষমতাসীনরা চাইলেই দশম সংসদ নির্বাচনকে বৈধ ও অংশগ্রহণমূলক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা যাবে না।
আমরা উদ্বিগ্ন অবশ্য অন্য একটি বিশেষ কারণে। সে কারণটি ক্ষমতাসীনদের, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর প্রকৃত উদ্দেশ্য। ঘটনাপ্রবাহে প্রমাণিত হয়েছে, সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার দোহাই দিয়ে তিনি আসলে সুচিন্তিতভাবেই বিরোধী দলকে নির্বাচনের বাইরে ঠেলে দিয়েছেন। কারণ, মোটামুটি নিরপেক্ষ হলেও তার দলের ভরাডুবি তিনি ঠেকাতে পারতেন না। কথা শুধু এটুকুই নয়। তার পরিকল্পনায় রয়েছে দেশকে আবারও একদলীয় শাসনের অন্ধকারে নিয়ে যাওয়া। সেটা করতে হলে সংসদে নিরংকুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দরকার। সংবিধানের আড়াল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আসলে সেটাই নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নিয়েছেন। ফলে আগামী দিনগুলোতে দেশে গণতন্ত্রই শুধু ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে না, জনগণের ওপর আবারও চাপানো হতে পারে বাকশালের মতো একদলীয় শাসন। বলা দরকার, গণতন্ত্র যদি না থাকে তাহলে এক পর্যায়ে টান পড়বে দেশের সমগ্র অস্তিত্ব নিয়েও। পরিণতিতে বিপন্ন হবে দেশের স্বাধীনতাও। এ কথাটাই বেগম খালেদা জিয়া তার সর্বশেষ বিবৃতিতে বলেছেন। তিনি সেই সঙ্গে সিকিম এবং লেন্দুপ দর্জির উদাহরণ দিয়েও যা বোঝানোর তা বুঝিয়ে দিয়েছেন। অর্থাত্ গতকালের তথাকথিত নির্বাচনের পরিণতিতে বাংলাদেশ এমনকি তার ‘স্বাধীনতা’ও খুইয়ে বসতে পারে। প্রতিরোধ আন্দোলনও তাই এখন থেকেই গড়ে তোলা দরকার।dainik amerdesh
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন