বুধবার, ২৭ মার্চ, ২০১৩

ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লবী চুনতির মাওলানা আবদুল হাকিম (শরীফ মুহাম্মদ)

ধারণা নিয়ে এসেছিলাম, চট্টগ্রাম শহর থেকে বেশি একটা দূরে নয়। বাস্তবে সেরকম হলো না। বহদ্দারহাট থেকে গাড়ি ছাড়ার পর দু’ঘণ্টার মাথায় এসে পৌঁছলাম। কক্সবাজারের পথে সাতকানিয়া-লোহাগাড়া বাসস্টপেজ পার হয়ে সামান্য এগুলেই বাঁদিকে চুনতি হাকিমিয়া কামিল মাদরাসার দেয়াল তীর। সে পথে ১০ মিনিট। দু’পাশে লাল মাটির টিলাটক্কর, তার ওপর বিছানো সবুজ ঘাস, দাঁড়ানো ধূসর বৃক্ষ। শহরের এত দূরে এত বড় ও প্রাচীন একটি ইসলামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আবাক হতে হয়! ১৮১০ সালে প্রতিষ্ঠিত এ ঐতিহ্যবাহী মাদরাসার যিনি মূল প্রতিষ্ঠাতা এবং পরবর্তী সময়ে যার নামে এই মাদরাসার নামকরণ, সেই অমর স্বাধীনতা সংগ্রামী ও সাধক আলেম মাওলানা আবদুল হাকিম সিদ্দিকী (রহ.)-এর স্মৃতির সন্ধানেই বিচিত্র সৌন্দর্য ও ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ এ গ্রামে আমাদের ছুটে আসা। পথে পথে সফল পথনির্দেশক সফরসঙ্গীর ভূমিকা ধৈর্যের সঙ্গে পালন করেছেন চট্টগ্রামের তরুণ আলেম-লেখক মুহাম্মাদ হাবীবুল্লাহ।
মাদরাসার বর্তমান প্রিন্সিপাল মাওলানা মুহাম্মদ হাফিজুল হক নিজামী আন্তরিকতার সঙ্গে আমাদের গ্রহণ করলেন। অফিসকক্ষে উপস্থিত চুনতির ১৯ দিনব্যাপী সিরাতুন্নবী (সা.) মাহফিলের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম হাফেজ আহমদ শাহ সাহেবের এক যুবক নাতির সঙ্গে তিনি পরিচয় করিয়ে দিলেন। তার নাম আবদুল মালেক ইবনে দীনার নাজাত। গাজীয়ে বালাকোট মাওলানা আবদুল হাকিমের জীবনতথ্য সংবলিত বেশকিছু ম্যাগাজিন ও ডকুমেন্ট তুলে দিলেন প্রিন্সিপাল সাহেব। এর মধ্যে রয়েছে ‘আনজুমন’ ২০০ বছর পূর্তি সংখ্যা, উর্দুতে লেখা হাকিমিয়া মাদরাসার ১৯৬২ সালের রিপোর্টের কপি ও কম্পোজ করা একটি পরিচিতিপত্রের প্রথম পাতা। জীবনীর উপাত্ত অল্প সময় উল্টেপাল্টে দেখলাম। এর মধ্যেই তিনি এবং নাজাত আমাদের নিয়ে বের হলেন। উদ্দেশ্য প্রায়—বিস্মৃত এক স্বাধীনতা সংগ্রামী আলেমের কবর জিয়ারত ও তার বংশধরদের সঙ্গে সাক্ষাত্।

দুই.
মাওলানা আবদুল হাকিম ছিলেন গাজীয়ে বালাকোট। ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লব ও সর্বভারতীয় জিহাদ আন্দোলনে তিনি পূর্ববঙ্গ থেকে যাওয়া অন্যতম যোদ্ধা। সংস্কার, সংগ্রাম ও শুদ্ধির সেই আন্দোলনের ইতিহাস নিয়ে লিখিত ভারত-পাকিস্তানের প্রামাণ্য বইপত্রে তার নাম রয়েছে। পূর্ববঙ্গ থেকে যাওয়া বিপ্লবীদের প্রসঙ্গ—আলোচনায় কখনও তার নাম এসেছে মিরসরাইয়ের সুফি নূর মুহাম্মদ নিজামপুরীর সঙ্গে, কখনও এসেছে ওই আন্দোলনে পূর্ববঙ্গের প্রধান ব্যক্তিত্ব গাজী ইমামুদ্দিন বাঙালির সঙ্গে। তার জন্ম-মৃত্যু তারিখ সংরক্ষিত না থাকলেও পূর্বাপর ঘটনাবলী থেকে সাব্যস্ত হয় যে, ১৮২২ সাল থেকে নিয়ে ১৮৩১ সালের আগে কোনো এক সময়ে তিনি জিহাদ আন্দোলনে যুক্ত হয়ে যান। একইসঙ্গে আন্দোলনের ইমাম সাইয়েদ আহমদ শহিদ (রহ.)-এর হাতে বায়াতও গ্রহণ করেন। বালাকোট ও তার আগের কয়েকটি যুদ্ধে তিনি বীর বিক্রমে লড়াই করেন। তার হাতে চুনতিতে ১৮১০ সালে হাকিমিয়া মাদরাসা প্রতিষ্ঠার তথ্য থেকে বোঝা যায়, অন্তত ১৭৯০ সালের আগে জন্মগ্রহণ করেছেন তিনি। তিনি নিজ পরিবার, চট্টগ্রাম শহর ও কলকাতা মাদরাসায় লেখাপড়া করেন। নিজ গ্রামে মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করে শিক্ষকতা করেন। হায়দরাবাদের শহীদ টিপু সুলতানের ছেলে শুকুর উল্লাহর পরিবারে পারিবারিক শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। চট্টগ্রাম শহরে মুনসেফ পদেও কিছুদিন চাকরি করেন। ১৮২২ সালের পর জিহাদ ও সংগ্রামের ডাক এলে সবকিছু ছেড়ে তিনি বিপ্লবী কাফেলার সঙ্গে সীমান্ত প্রদেশের দিকে চলে যান। ১৮৩১ সালে বালাকোট বিপর্যয়ের পর তিনি আবার চট্টগ্রামে ফিরে আসেন। বাকি জীবন মুসলিম সমাজ থেকে কুসংস্কার দূর করা, ইসলামী শিক্ষা বিস্তার এবং ব্রিটিশবিরোধী সংগ্রামের নানা আয়োজন ও সংগঠনে কাজ করে যান। সুদূর আরব থেকে আসা সচ্ছল ও অভিজাত এক খান্দানের সন্তান মাওলানা আবদুল হাকিম ব্রিটিশ ফিরিঙ্গীদের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করা এবং ধর্মরক্ষার সংগ্রামে প্রাণের মায়া ত্যাগ করে রণক্ষেত্রে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। কোনো কোনো সূত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি ছিলেন ইসলামের প্রথম খলিফা হজরত আবু বকর সিদ্দিক (র.)-এর ৩৯তম বংশধর। বিভিন্ন ঘটনায় তার পূর্বপুরুষরা আরব থেকে পর্যায়ক্রমে বাগদাদ, লাহোর ও গৌড় হয়ে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে এসে বসতি গড়েন। সেখান থেকে তার পিতামহ এসে ওঠেন চুনতিতে। তখন থেকে এখন পর্যন্ত তার পরিবারের বসতি এই চুনতিতেই। চুনতির সিদ্দিকী পরিবার বলতে মানুষ তার পরিবারকেই চিনত। পরবর্তী সময়ে তার ছোট ভাই ডেপুটি কালেক্টর মরহুম মৌলভি নাসির উদ্দিনের বংশধরদের ডেপুটি পরিবার এবং তার অধস্তনদের বসতি বড় মাওলানা বা বড় মৌলভি সাহেবেরপাড়া নামে পরিচয় লাভ করেছে। সরাসরি তার সন্তান এবং সন্তানদের সন্তানরা প্রায় সবাই ধর্মীয় কিংবা আধুনিক শিক্ষায় উচ্চশিক্ষিত। সিদ্দিকী পরিবারসহ চুনতির বিখ্যাত কাজী পরিবার, সিকদার পরিবার, মিরজী পরিবার, শুকুর আলী মুন্সেফ পরিবার, মুন্সি পরিবার, দারোগা পরিবার এবং বুড়া মৌলভি সাহেবের পরিবারের লোকেরা সাধারণভাবে শিক্ষিত ও ধর্মপ্রাণ এবং নানাস্তরে বৈবাহিক সূত্রে প্রায় প্রতিটি পরিবারই আরেকটি পরিবারের সঙ্গে যুক্ত।

তিন.
প্রথমেই সিদ্দিকী পরিবারের গোরস্তান। সামান্য উঁচু টিলা। নাক বরাবর মাথায় একটি মসজিদ। সিঁড়ি দিয়ে ওঠার পরই হাতের বাঁদিকে একটি ঘরের মতো। ভেতরে দুটি কবর। শুয়ে আছেন দু’ভাই। পশ্চিম দিকে বুজুর্গ-সাধক ও বিপ্লবী পুরুষ মাওলানা আবদুল হাকিম (রহ.)। পূর্বদিকে ছোট ভাই ডেপুটি কালেক্টর মৌলভি নাসির উদ্দিন। দাঁড়িয়ে জিয়ারত করলাম। বিভিন্ন কবরের নামফলক থেকে বোঝা গেল, দু’ভাইয়ের বংশধরদের অনেকেই এখানে শুয়ে আছেন। একদম শান্ত-ছায়াঘেরা একটি পরিবেশ। এ দেশের কোনো গ্রামে গোরস্তানের এতটা পরিপাটি চেহারা খুব কমই চোখে পড়ে। এরপরই আমাদের নিয়ে যাওয়া হলো ‘বড় মৌলভি সাহেবের পাড়ায়’। প্রিন্সিপাল সাহেব দরজায় কড়া নাড়তেই বের হলেন আবদুল হাকিমের চতুর্থ প্রজন্মের এক বংশধর—জয়নুল আবেদীন সিদ্দিকী (৭৫)। তিনি আমাদের ভেতরে নিয়ে বসালেন। চুনতির এই বর্ষীয়ান মানুষটির গায়ে নিবেদিত এক আলেম-বিপ্লবীর রক্ত বইছে। তার মুখোমুখি বসে কথা বললাম। তিনি বললেন, আমি শুনলাম। প্রাপ্ত লিখিত তথ্যের বাইরে তিনি তার পরদাদা সম্পর্কে কিছু বলতে পারলেন না। তবে তার ডাকে ছুটে এলেন তারই এক ভাতিজা আনসারুল আজিম। তিনিও বৃদ্ধ। নিজের খাতায় লেখা তাদের বংশলতিকার একটি চিত্র আমাদের হাতে তিনি দিলেন। আর দিলেন হাকিমিয়া মাদরাসার সাবেক শিক্ষক মরহুম মীর গোলাম মোস্তফার উর্দুুুুুুুুতে লেখা একটি চিঠি। সে চিঠিতে রয়েছে জিহাদ আন্দোলন, সাইয়েদ আহমদ শহিদ এবং মাওলানা আবদুল হাকিম সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত একটি বর্ণনা। ওই চিঠির ফটোকপি নিয়ে এলাম। ফেরার সময় আবার মাদরাসায়। সেখানে দেখা হলো মাদরাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রবীণ সদস্য মাওলানা নাসিরুদ্দিনের সঙ্গে। তিনিও আবেগ ও স্মৃতি মিশিয়ে কিছু কথা বললেন।
দুপুরে আপ্যায়নের আন্তরিক আহ্বানে সাড়া দিতে না পারায় অস্বস্তি হচ্ছিল। রোদ মাথায় নিয়ে বের হলাম। চালকের আসনে বসা মুরাদ। চট্টগ্রামের উদ্দেশে আবার ছুটল গাড়ি। আমার কাজের প্রতি মমতাবান খালিদ মামা ঢাকায় বসেই গাড়িটির ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। অল্প সময়ের মধ্যেই ফিরে যেতে পারছি। ফিরে যাওয়ার সময় এবার মনে হলো, রাজধানী থেকে এত দূরবর্তী একটি গ্রাম ও ইউনিয়নের বুকে এত ঐতিহ্য, ইতিহাস, শিক্ষা ও ধর্মপ্রাণতার সমন্বিত দৃষ্টান্ত সম্ভবত এ দেশে খুবই কম। সমৃদ্ধ এই চুনতিরই সন্তান মাওলানা আবদুল হাকিম। এই বিপ্লবী আলেম ও সংগ্রামী দরবেশের জন্মভিটা ও সমাধি-বাগানটিও সমৃদ্ধ ছোট্ট এই জনপদের এক বিশেষ ঐতিহ্য-সম্পদ। আমাদের জন্মভূমির স্বাধীনতার অচর্চিত ইতিহাসে এ সম্পদের নীরব প্রাচুর্যের মূল্য অনেক। গাড়ির চাকায় ভর করে কেবল নগর কোলাহলের দিকে সবাই ধাবমান। পেছনে পড়ে থাকে নীরব, গভীর অমূল্য প্রাচুর্যের ভাণ্ডার। সে ভাণ্ডার একটু থেমেও দেখতে চাই না। এভাবেই প্রজন্ম পার হতে হতেই আমরা নিঃস্ব হয়ে যাই।(২৮ মার্চ ১৩’ তারিখের দৈ
নিক আমার দেশ থেকে সংকলিত)

রাষ্ট্রপতির মৃত্যুতে আমার গভীর শোক

রাষ্ট্রপতির মৃত্যুতে আমি গভীর শোকাহত। আমরা একজন সর্বজন গ্রহণযোগ্য মুরূব্বী হারালাম। আল্লাহর দরবারে তার মাগফিরাত কামনা করছি।হে আল্লাহ! আপনি পরকালেও তাকে রাষ্ট্রপতির মর্যাদা প্রদান করূন


সরকারের খুন দুর্নীতি দুঃশাসন ও প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ (অলিউল্লাহ নোমান)

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটি বক্তব্য দিয়ে শুরু করতে চাই। আমাদের প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি সভা-সমাবেশে বক্তব্যটি উপস্থাপন করেন। সেটি হলো বিরোধী দল যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে। বিরোধী দলের সব কর্মকাণ্ডে তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা দেখতে পান। শুধু তাই নয়, পিরোজপুরে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর নির্বাচনী এলাকায় জনসভা করে তাকে কুলাঙ্গার হিসেবে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই জনসভায় তিনি আরও বলেছেন, পুলিশের গুলিতে যারা নিহত হয়েছেন তাদের দায় বিরোধীদলীয় নেত্রীকে নিতে হবে। পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করে সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এই পুলিশের গুলিতে সাধারণ প্রতিবাদী মানুষ নিহত হওয়ার দায় বিরোধী দলের নেত্রীর ওপর চাপিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্র্রী শেখ হাসিনা। এটাই হলো আওয়ামী রাজনীতি।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছিলেন বিজয়ী হলে কৃষককে বিনামূল্যে সার দেবেন, ঘরে ঘরে চাকরি দেবেন, ১০ টাকা সের চাল খাওয়াবেন। ক্ষমতায় এসে ঘরে ঘরে চাকরির পরিবর্তে ঘরে ঘরে লাশ উপহার দিচ্ছেন। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পৌনে দুই মাসের মধ্যে সেনাবাহিনী পেয়েছে তাদের ৫৭ জন কর্মকর্তার লাশ। এগুলো নিয়ে কেউ প্রশ্ন ওঠালেই বলা হয় যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কৃষককে বিনামূল্যে সারের পরিবর্তে উপহার দেয়া হয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি মূল্য বাড়িয়ে। এছাড়া ইশতেহারে লিখিত ওয়াদাগুলোর কথা এখানে উল্লেখ করলে সরকারের ওয়াদা ও জাতিকে উপহারের ফিরিস্তি অনেক দীর্ঘ হবে। এজন্য পাঠকের ধৈর্যচ্যুতি ঘটাতে চাই না।
যেটা বলতে চাচ্ছিলাম। বর্তমান সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে যে যাই বলুক না কেন, সবই হচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা! বিদ্যুতের দাম দফায় দফায় বাড়ানোর প্রতিবাদ করা হলে সেটাও যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা, গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদও যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা, কেরোসিন, ডিজেল, পেট্রোলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদ করলে বলা হয় যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা হচ্ছে, বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ করা হলে সেটাও যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা, শেয়ার মার্কেট থেকে লক্ষ-কোটি টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচারের প্রতিবাদ করা হলে সেটাও যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা, বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে সেটাও যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা, প্রশাসন ও বিচার বিভাগে সীমাহীন দলীয়করণের প্রতিবাদ করলে সেটাও যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা বলে জিগির তুলেন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্র্রী। আর সব দোষ দেন বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সঙ্গে সুর তুলেন অন্যান্য মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নেতারা। আওয়ামীপন্থী ইলেকট্রনিক এবং প্রিন্ট মিডিয়াগুলো সেই সুরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সানাই বাজায়।
অর্থাত্ আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসর মিডিয়াগুলো সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাট, ব্যর্থতা, অপশাসন, দলীয়করণ, নির্যাতন-নিপীড়ন সবকিছুকে আড়াল করতে চায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের নামে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায় না এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। যত লোকের সঙ্গে কথা হয় সবাই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায়। কেউ মানবতাবিরোধী অপরাধ করে থাকলে তার বিচার অবশ্যই হওয়া উচিত, সেটা বলেন সবাই। ১৯৭১ সালে কেউ মানবতাবিরোধী কাজ করে থাকলে সেটা যেমন অপরাধ, ২০১৩ সালেও সেটা অপরাধ। সুতরাং যে কোনো মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চাওয়া নৈতিক দায়িত্ব। বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তার নেতৃত্বাধীন দল বিএনপিও শুরু থেকেই বলে আসছে তারাও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার চায়। তবে সেই বিচার হতে হবে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে। বিচারের নামে জুডিশিয়াল কিলিংয়ের প্রচেষ্টা কোনো সভ্য জাতি বা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল কোনো মানুষ মেনে নিতে পারে না।
বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বগুড়ায় সর্বশেষ বক্তব্যে এটাও পরিষ্কার করেছেন স্বাধীনতাযুদ্ধের পরও যত মানবতাবিরোধী অপরাধ হয়েছে সেগুলোর বিচারের জন্যও ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে। তবে সেই ট্রাইব্যুনালের বিচার যেন আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে হয় সেটা নিশ্চিত হওয়া চাই। কোনো দলীয় লোককে বিচারকের আসনে বসিয়ে যেন আবার সেই আসনকে বিতর্কিত করা না হয় সেটা বেগম খালেদা জিয়ার কাছে দেখতে চাইবে জাতি।
১৯৭১ সালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত ট্রাইব্যুনালের নামের সঙ্গে আন্তর্জাতিক শব্দটি সংযোজিত রয়েছে। যে আইনে বিচার হচ্ছে সেই আইনের শিরোনামের সঙ্গেও যুক্ত রয়েছে আন্তর্জাতিক শব্দটি। আইনটির শিরোনাম হচ্ছে—‘ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম (ট্রাইব্যুনাল) অ্যাক্ট ১৯৭৩।’ এই আইনটি প্রণয়ন করেছিলেন শেখ হাসিনার পিতা শেখ মুজিবুর রহমান। বর্তমানে যাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে তাদের জন্য নয়। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদস্যদের যারা যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তাদের বিচারের জন্য আইনটি তৈরি করা হয়েছিল। সেই আইনে বিচারের জন্য তখন চিহ্নিত করা হয়েছিল ১৯৫ জন পাকিস্তানি আর্মির সদস্যকে। হালজামানায় যাদের বিচার হচ্ছে তাদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জন্য আইনটির সংশোধন করেছে বর্তমান সরকার। কারণ শেখ মুজিবুর রহমান ভুল করেছিলেন। সেই ভুল সংশোধন করেছেন তার কন্যা শেখ হাসিনা।
এই আইনের আওতায় বিচারের জন্য গঠিত আদালতের নাম হচ্ছে ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল’। আইন ও ট্রাইব্যুনালের শিরোনামগুলো দেখে একটি বিজ্ঞাপনের কথা আমার মনে পড়ছে। ঢাকায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় এশিয়ান টেক্সটাইলের একটি বিজ্ঞাপন শুনতে খুবই ভালো লাগত। বিজ্ঞাপনটি প্রচারের ভাষা ছিল—‘কাপড় পরবেন দেশি—দেখলে মনে হবে বিদেশি।’ ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম (ট্রাইব্যুনাল) অ্যাক্টটিও সেরকমই। শুনতে ইন্টারন্যাশনাল—বিচার হবে নিজস্ব স্টাইলে। অর্থাত্ নামে বিদেশি—কামে নিজস্ব স্টাইল। কারণ এখানে আন্তর্জাতিক কোনো মানদণ্ড অনুসরণ করা হয়নি বা হচ্ছে না, সেটা দুনিয়ার সব স্বীকৃত সংস্থাগুলো থেকে বলা হয়েছে। আমাদের আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমদ নিজেও বহুবার বলেছেন, আইনটির নাম আন্তর্জাতিক হলেও বিচার হবে দেশীয় আইনে। তবে দেশের প্রচলিত ফৌজদারি বা সাক্ষ্য আইনও এখানে প্রজোয্য নয়। এই ট্রাইব্যুনাল চলছে একেবারেই একটি ব্যতিক্রমী আইনে। বিচার চলাকালীন কোনো সিদ্ধান্তে সংক্ষুব্ধ হলে আসামি পক্ষের উচ্চতর আদালতে আপিলের কোনো সুযোগ নেই এ আইনে। শুধু বিচার শেষে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার একটি সুযোগ রাখা হয়েছে। কিন্তু আমাদের প্রচলিত আইনে বিচার চলাকালীন আদালতের কোনো আদেশে কেউ সংক্ষুব্ধ হলে উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। প্রচলিত সাক্ষ্য আইনে কোনো পাঠ্যপুস্তক বা পত্রিকা সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণের সুযোগ নেই। এই ট্রাইব্যুনালে সেই সুযোগ রয়েছে। সাক্ষী আদালতে উপস্থিত না করেও তাদের নামে তদন্ত কর্মকর্তার পেশ করা জবানবন্দি সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণের সুযোগ রয়েছে আন্তর্জাতিক নামের দেশীয় ট্রাইব্যুনালে। কিন্তু আমাদের ফৌজদারি আইনে বিচারব্যবস্থায় সেই সুযোগ নেই। এই ট্রাইব্যুনাল হচ্ছে পৃথিবীর যে কোনো বিচারব্যবস্থার চেয়ে একেবারেই ব্যতিক্রমধর্মী একটি আইনে পরিচালিত। দুনিয়ার কোনো যুদ্ধাপরাধ বা মানবতাবিরোধী বিচারের জন্য প্রণীত আইনের সঙ্গে এ আইনের মিল নেই। এমনকি দেশীয় প্রচলিত আইনের সঙ্গেও নয়।
এই ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান স্কাইপ কথোপকথনে স্বীকার করেছেন ‘নাটক ভালোই হচ্ছে’। তার বন্ধু ড. আহমদ জিয়াউদ্দিন বিচারের বিষয়ে জানতে চেয়ে বলেছিলেন, ‘আজ আপনার নাটক কেমন হলো।’ জবাবে চেয়ারম্যান বলেছিলেন, ‘নাটক ভালোই হচ্ছে—আমি হলাম অভিনেতা।’ সরকার কীভাবে বিচার নিয়ন্ত্রণ করছিলেন এবং রায়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করেছিলেন সেটাও প্রকাশিত হয়েছে কথোপকথনে। ট্রাইব্যুনালে গ্রহণ করা চার্জ কীভাবে ড. আহমদ জিয়াউদ্দিন লিখে পাঠিয়েছেন সেটাও প্রকাশিত হয়েছে স্কাইপ কথোপকথনের মাধ্যমে। এসব কথোপকথনের দায় নিয়ে চেয়ারম্যান পদত্যাগ করেছেন। কোনো প্রতিবাদ হয়নি। এমনকি আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি কীভাবে চেয়ারম্যানকে ৩টা রায় দেয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করেছিলেন এবং রায়ের বিনিময়ে প্রমোশনের কথা বলেছিলেন সেটাও প্রকাশিত বিষয়। এই আপিল বিভাগেই এখন ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে। সেই আপিল বিভাগই আবার শুনানি করে রায় দেবেন। তারপরও এই বিচার নিয়ে কে্উ কথা বলতে পারবেন না। বললেই অভিযোগ উঠবে যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। বিচার বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে।
এরই মধ্যে এই বিচারালয় থেকে ঘোষিত রায়ে কাউকে সরাসরি যুদ্ধাপরাধী হিসেবে বলা হয়নি। বলা হয়েছে হত্যাকাণ্ড ও অন্যান্য অপরাধ সংগঠনে পাকিস্তানি আর্মিকে সহযোগিতা করেছিলেন। পাকিস্তানি আর্মির সহযোগিতার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও মৃত্যুদণ্ড দেয়া হলো। কিন্তু সেই পাকিস্তানি আর্মির চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের স্বাধীনতা পরবর্তী শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। তাদের নিরাপদে পাকিস্তান চলে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছিল শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার। তারপরও এটা বলা যাবে না। বললে যুদ্ধাপরাধীকে বাঁচানোর অভিযোগ উঠবে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ১৯৫ জন চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীকে ক্ষমা করে দিয়ে সহযোগীদের এখন দণ্ড দেয়া হচ্ছে। এদিক থেকেও একটি ব্যতিক্রমী বিচার বলা চলে। এই বিচার অবশ্যই পৃথিবীর ইতিহাসে আন্তর্জাতিক নামের আদালতে দেশীয় স্টাইলে দণ্ড দেয়ার নজির সৃষ্টি করবে। সেই নজির ও ইতিহাসের পাতায় স্থান পাবে রায় ঘোষণাকারী বিচারপতিদের প্রজ্ঞা।
সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, ইসলাম-বিদ্বেষী ব্লগারদের বিরুদ্ধে আন্দোলন কর্মসূচিকেও যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর অভিযোগ হিসেবে তোলা হয়েছে। যেসব পত্রিকা মাথায় টুপি ও মুখে দাড়িওয়ালা ব্যক্তিদের সংবাদ প্রকাশ করতে লজ্জা বোধ করে সেই প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি সংবাদ দেখে আমি চমকিত হয়েছিলাম। গত ৫ দিন আগে ইমাম ও ওলামা মাশায়েখ ঐক্য পরিষদের ব্যানারে একজনের সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্য ওই পত্রিকাটির ওয়েবসাইটে ফলাও করে প্রকাশ করা হয়। শিরোনাম ছিল হেফাজতে ইসলাম আসলে হেফাজতে জামায়াতে ইসলাম। অর্থাত্ মুফতি আল্লামা আহমদ শফির নেতৃত্বাধীন হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনকেও একটি মহল যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। ইসলাম-বিদ্বেষী নাস্তিকদের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা আন্দোলন, সরকারের ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে আগামী ৬ এপ্রিল আল্লামা আহমদ শফির নেতৃত্বে ঢাকা অভিমুখে সারাদেশ থেকে ধর্মপ্রাণ মানুষদের লংমার্চকে বিভ্রান্ত করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এই সরকারি ষড়যন্ত্রে হাওয়া দিচ্ছেন তথাকথিত আওয়ামী পক্ষের মিডিয়াগুলো। আল্লামা আহমদ শফির আন্দোলনের বিপরীতে এরই মধ্যে ভ্রান্ত আলেম হিসেবে খেতাবপ্রাপ্ত ফরিদ উদ্দিন মাসুদকে দিয়ে কাউন্টার আন্দোলন গড়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল সরকার। গত শনিবার তাদের আহূত মহাসমাবেশ দেখার জন্য উদগ্রীব হয়ে তাকিয়ে ছিলাম মিডিয়ার দিকে। বিশেষ করে বর্তমান সরকারের তাঁবেদার হিসেবে খ্যাত দৈনিক ইনকিলাবের প্রচারিত প্রতিবেদনেও এই মহাসমাবেশের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। ইনকিলাব বলেছে, মহাসমাবেশে লোকসমাগম না দেখে ইলেকট্রনিক মিডিয়াগুলো বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়েছিল। যারা লাইফ টেলিকাস্ট করার জন্য যন্ত্রপাতি এখানে এনেছিল তারা রীতিমত বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে। এতেই বোঝা যায় আওয়ামীপন্থী কোনো আন্দোলন সংগ্রামে জনসমর্থন নেই। দেশের গোটা আলেম সমাজ আজ সরকারের ইসলামবিরোধী কার্যক্রম প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ। ষড়যন্ত্র করে টাকা বিলিয়ে আলেম সমাজের ঐক্যে ফাটল ধরাতে পারবে না এটা পরিষ্কার হয়ে গেছে মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসুদের ডাকা মহাসমাবেশ সুপার ফ্লপ হওয়ার মধ্য দিয়ে।
অথচ তারপরও যেই সংগঠনের মূল নেতা নিজেকে নষ্টভ্রষ্ট বলে দাবি করেন সেই সংগঠনকে সরকার আস্কারা দিচ্ছে। ৩ স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে তাদের জন্য। ২০০৬ সালে ২৮ অক্টোবরে লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ হত্যা করে রাজপথে লাশের ওপর নৃত্যকারী স্বঘোষিত মানবতাবিরোধী অপরাধীদের শাহবাগে সরকার ৩ স্তরের নিরাপত্তা দিলেও মুসল্লিদের হত্যা করছে পাখির মতো গুলি করে। অভিযোগ হচ্ছে তারা যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে চায়। তারা ইসলাম-বিদ্বেষী ও আল্লাহর রাসুলকে কটূক্তিকারীদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। তারা ন্যায়বিচার ও আইনের শাসনের দাবি জানায়। এজন্য তাদেরকে গুলি করে হত্যা করা হয়। আর প্রধানমন্ত্রী এই হত্যার জন্য দায়ী করেন বিরোধীদলীয় নেত্রীকে। সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করলেন প্রধানমন্ত্রী। তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলন করলে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সবকিছুতে কথা একটাই যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এই আওয়াজ দিয়েই সব ব্যর্থতা, অপশাসন আড়াল করতে মরিয়া সরকার।
২৭.০৩.২০১৩ লেখক : যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত সাংবাদিক(দৈনিক আমার দেশের ২৮ মার্চ থেকে সংকলিত)

To malala




 How are you? hope you are very well for this grace of almighty Allah. I continue my latter, it is night, everybody is sleep. I am sitting up late writing to you. the air is warm. can you fell how much I miss you? please try to understand me
Really! I can’t make my mind patience after seeing you first time. I know you go know my latter now and it is kind of dream to me. please don’t make wait. I think love is a word that’s bring joy and pain but I like a love this will never end.
As you not interested to know that so. I have nothing to do. But I will wait for you, please call me You believe or not I Love you more then I say

Really! I take pride if I will be life partner of you

সোমবার, ২৫ মার্চ, ২০১৩

শিশুদের যৌন শিক্ষা

হাতে কলমে যৌনশিক্ষা দিযে কোমলমতি শিশুদের বাস্তবতা অনুধাবন করার আগেই ধ্ধংসের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। আমাদের মনে রাখা উচিৎ পশ্চিমারা ইসলামের সব উপজিব্য গ্রহণ করেও নিজেদের কি কখনো ইসলামী করণ করেছে? আর আমরা পশ্চিমা সংস্কৃতি কিংবা দর্শন লালনকে আধুনিকতা বলে দাবি করি। যেখানে নারী-পুরূষের অবাধ মেলামেশা সেখানে প্রতি সেকেন্ডে ধর্ষন হচ্ছে..... (দৈনিক আমার দেশ,২৬ মার্চ প্রকাশিত)

আলেমদের ঐক্য দরকার(অধ্যাপক আমিনুল হক)

যখন থেকেই এই জগত্ সংসার শুরু তখন থেকেই শুরু মতের অমিল বা চিন্তার ভিন্নতা। আল্লাহ যখন চাইলেন এই দুনিয়ায় মানুষ প্রেরণ করবেন তখন ফেরেশতারা দ্বিমত পোষণ করে বসলেন এই বলে যে, হে খোদা! আমরাই তো তোমার ইবাদত-বন্দেগি করার জন্য যথেষ্ট, আবার মানুষ কেন? আদমপুত্র হাবিল-কাবিলের মধ্যে চিন্তার অমিল ছিল। বিয়ের প্রশ্নে হজরত আদমের সিদ্ধান্তের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে তারা। সেই পুরনো যুগ থেকে আজ পর্যন্ত মানুষে মানুষে মতবিরোধ চলে আসছে। এই মতপার্থক্য অবধারিত। এর থেকে বাঁচার কোনো উপায় নেই। বলা হয়, ‘মৃতরা মতবিরোধ করে না, যেখানে জীবন আছে সেখানে মতদ্বৈধতা আছে।’
আল্লাহতায়ালা আমাদের বহু রূপে, বহু গুণে সৃষ্টি করেছেন। এক ব্যক্তি থেকে আরেক ব্যক্তির মধ্যে অনেক ব্যবধান রেখেছেন। সেই ব্যবধান চিন্তার, সেই ব্যবধান রুচিবোধ ও মননের। কিন্তু তারপরও তিনি আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে বলেছেন আমাদের স্বার্থেই। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘তোমরা আল্লাহর রজ্জুকে ঐক্যবদ্ধভাবে আঁকড়ে ধর এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না’ (সুরা আল ইমরান : ১০৩)। অথচ আমাদের মাতৃভূমি সোনার বাংলাদেশ এখন অশান্তির সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে। এর একমাত্র কারণ জাতীয় অনৈক্য। দলে দলে বিভক্ত হয়ে পড়েছি আমরা। একে অপরের দিকে কাদা ছোড়াছুড়িতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। অনৈক্য তো চোখে পড়ার মতো। আলেম-উলামা, দল-মত নির্বিশেষে সবার এই অনৈক্যকে সুযোগ হিসেবে কাজে লাগিয়েছে ইসলামবিরোধী অপশক্তি। তারা ইংরেজদের নীতি ‘উরারফব ধহফ জঁষব্থ তথা ‘বিচ্ছিন্ন করে শাসন করো’কে গ্রহণ করে আমাদের তছনছ করে দিচ্ছে। আজ আল্লাহকে গালি দেয়া হচ্ছে। গালি দেয়া হচ্ছে আমাদের প্রিয় রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.)কে। রাসুলের সহধর্মিণীদের চরিত্র হনন করা হচ্ছে অশ্লীল কায়দায়। কোরআন, হাদিস, মসজিদ, মাদরাসা, ইসলামি রাজনীতি, ইসলামি অর্থনীতি, ইসলামি সংস্কৃতি ও মূল্যবোধকে বিদায় করার সব আয়োজন আজ সম্পন্ন। এককথায়, তাওহিদপন্থী মুসলমানের বিরুদ্ধে বাতেল শক্তি আজ একাট্টা।
এদেশের ইসলামপন্থী শক্তির এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার। এদেশে ইসলামের পতাকা উড্ডীন রাখতে হলে সবাইকে আজ একতার শপথ গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু কীভাবে হবে এই ঐক্য? এ বিষয়ে খোঁজ করতে গিয়ে আমরা সুন্দর একটি তত্তের সন্ধান পেয়েছি। সেই তত্ত্বটি হচ্ছে, ‘আল-ইত্তেহাদ মায়াল ইখতেলাফ’ তথা ‘মতানৈক্যসহ ঐক্য’। এই তত্ত্বটির কথা এ দেশে প্রথম উচ্চারণ করেছিলেন প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন মাওলানা আযীযুর রহমান নেছারাবাদী কায়েদ সাহেব হুজুর (র.)। ‘মতানৈক্যসহ ঐক্য‘র তত্ত্বটি বাস্তব রূপ দিতে তিনি এদেশের আনাচে-কানাচে ঘুরেছেন। ছারছীনা, চরমোনাই, ফুরফুরা, জৌনপুরী, বায়তুশ শরফ, আটরশি, মাইজভান্ডার, তাবলীগ, জামায়াতে ইসলামীসহ অসংখ্য পীরের দরবার এবং দেশপ্রেমিক ও জাতীয়তাবাদী ইসলামি শক্তিকে ইস্যুভিত্তিক ঐক্য গড়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তাঁর এই ঐক্য প্রচেষ্টা শুরু হয়েছিল ১৯৫২ সালে (ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা ও উহার পথ, পৃ. ০৩)। হজরত কায়েদ সাহেব হুজুর (র.) ঐক্যের যে রূপরেখা তুলে ধরেছেন অতি সংক্ষেপে তা হচ্ছে, দেশ-জাতি ও রাষ্ট্রের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দল মত ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হওয়া, নাস্তিকদের বিরুদ্ধে সব আস্তিক্যবাদী শক্তির ঐক্য, ইসলামবিরোধী তত্পরতার বিরুদ্ধে সব আলেম-উলামার ঐক্য। ভণ্ড ও জালিম নির্মূলেও সবার মধ্যে সাধারণ ঐক্য হতে পারে। এই ঐক্য হবে ইস্যুভিত্তিক। ইস্যুভিত্তিক ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করতে গিয়ে কোনো দল বা মতকে তার নিজস্ব কর্মসূচি বাদ দিতে হবে না।
যুগে যুগে ইস্যুভিত্তিক ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন যে সফলতার মুখ দেখেছে তার প্রমাণও আমরা পেয়েছি। ঈমান, ঐক্য ও শৃঙ্খলা—এ ত্রিনীতির ভিত্তিতে সংগঠিত ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ফলেই পাকিস্তান অর্জন হয়েছিল। ১৯৫১ সালে করাচিতে শিয়া-সুন্নী নির্বিশেষে সর্বদলীয় উলামা ও মাশায়েখ সম্মেলনে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলেন বলেই পাকিস্তানের ২২ দফা মূলনীতি রচনা করা সম্ভব হয়েছিল।
আমাদের পাশের দেশ ভারতেও আলেমদের ঐক্য প্রচেষ্টা সফলতার মুখ দেখেছে। ভারত সরকার যখন মুসলমানদের পারিবারিক বিধি-বিধান পরিবর্তন করতে চাইলো তখন বিশ্ববিখ্যাত আলেমে দ্বীন আল্লামা আবুল হাসান আলী আন-নাদভীর (র.) নেতৃত্বে ভারতের সব শ্রেণীর উলামা ও ইসলামি গ্রুপ একই প্লাটফর্মে এসে ‘অষষ ওহফরধ গঁংষরস খধ িইড়ধত্ফ্থ গঠন করে। যেখানে বেরলভী সুন্নী, দেওবন্দী, আহলে হাদিস এমনকি শিয়া মতাদর্শের আলেমরাও যুক্ত হয়ে সমগ্র ইন্ডিয়ার সাধারণ মুসলমানদের স্বার্থে ইস্যুভিত্তিক ঐক্য গড়ে সফল হয়েছেন। ইন্ডিয়ার সরকার মুসলমানদের ব্যাপারে কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে হলে এই ননগভর্নমেন্ট সংগঠনের মতামত নিতে হয়। পারভেজ মোশাররফ সরকারের আমলেও সমগ্র পাকিস্তানে আলেমদের ঐক্য সাধিত হয়েছিল। পাকিস্তানের ইসলামী সংগঠন জমিয়াতুল উলামার আমির মাওলানা ফজলুর রহমান সেই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের প্রধান ছিলেন। যেখানে পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা অন্যান্য দল অন্তর্ভুক্ত হয়ে পার্লামেন্টে শক্ত ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হয়েছিল। সেই আমলে পাকিস্তান সরকার মাদরাসা শিক্ষা সংস্কারের নামে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিলে তাও আলেমরা সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ করেন। সেই প্রতিরোধ আন্দোলনে বেরলভী গ্রুপ, আহলে হাদিস গ্রুপ, দেওবন্দী গ্রুপ এবং শিয়া গ্রুপ নিয়ন্ত্রিত মাদরাসাগুলোর বোর্ড ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারের অযাচিত হস্তক্ষেপকে প্রতিহত করে। ২০১০ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব তুন রাজাক সংসদ, সরকার ও জনগণকে ‘ঙহব গধষধুংরধ্থ তথা এক মালয়েশিয়া কনসেপ্টকে ব্যাপকভাবে কাজে লাগিয়ে সবাইকে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান। ২০১০ সালে প্রায় ৩৮ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হয় ‘ওয়ান মালয়েশিয়া’ কনসেপ্টকে সবার কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য। ‘ওয়ান মালয়েশিয়া’ কনসেপ্ট সেদেশে যাদুর মতো কাজ করে। জাতি, ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাই দেশ গড়ার কাজে ঐক্যবদ্ধভাবে নেমে পড়ে। ‘আরব বসন্ত’ নামে খ্যাত মিসর ও তিউনিসিয়ার বিপ্লবের পেছনেও রয়েছে সব ইসলামি সংগঠন ও আলেম-উলামার ইস্যুভিত্তিক ঐক্যের বিশাল অবদান। আরব দেশের বর্তমান ইসলামী সংগঠনগুলো এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে, ‘না‘মালু ফি মা ইত্তাফাকস্ফনা ওয়া নাসকুতু আম্মা ইখতালাফনা’ অর্থাত্ আমাদের মধ্যে যেসব বিষয়ের মিল আছে সেগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে করব আর যেসব বিষয়ে ইখতেলাফ আছে সে বিষয়ে চুপ থাকব, কেউ কারো সমালোচনা করব না।
বাংলাদেশে নাস্তিক ব্লগারদের বিরুদ্ধে প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন আল্লামা আহমদ শফী আলেমদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তার এই আহ্বানও যাদুর মতো কাজ করেছে। অপ্রতিরোধ্য শাহবাগিরা আত্মসমর্পণ করেছে চট্টগ্রামের তাওহিদী জনতার কাছে। অতএব নির্দ্বিধায় বলা যায়, ‘মতানৈক্যসহ ঐক্য’ একটি ফলপ্রসূ আন্দোলনের নাম। যেখানে সব মতের লোকজন তাদের নিজস্ব মত ও পথকে আঁকড়ে ধরে মুসলিম উম্মাহর মৌলিক ইস্যু কিংবা দেশ-জাতির প্রধান ইস্যুতে ঐক্য গড়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে পারে। এই ঐক্য হতে পারে নাস্তিকদের বিরুদ্ধে সব আস্তিকের, দেশের স্বাধীনতা রক্ষায় দল-মত নির্বিশেষে কিংবা ইসলামবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে সব ইসলামপন্থীদের।
এদেশে তাবলিগ জামাত বিশাল একটি শক্তি। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অবস্থানও বেশ শক্ত। ইসলামি আন্দোলন, খেলাফত মজলিসসহ অন্য ইসলামি দলগুলোরও কমবেশি শক্তি আছে। সব মিলিয়ে কওমী ধারার আলেম-উলামার প্রভাব খাটো করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। তেমনিভাবে ছারছীনা, ফুরফুরা, চরমোনাই, ফুলতলী, জৌনপুরীসহ সুফী ধারার বিভিন্ন আধ্যাত্মিক দরবারের প্রভাবও রয়েছে দেশজুড়ে। সব ইসলামি দল ও পীর সাহেবরা যদি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন যে, এদেশে কোনো কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী আইন পাস হতে দেয়া হবে না, আল্লাহ, রাসুল ও সাহাবীদের বিরুদ্ধে যে কোনো ষড়যন্ত্র সহ্য করা হবে না এবং কোনো ইসলামি দল কিংবা আলেমের ওপর নির্যাতন সহ্য করা হবে না তাহলে তা অবশ্যই সম্ভব। ইসলামবিরোধী তত্পরতা মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। কিয়ামত পর্যন্ত মতের পার্থক্য থাকবে। আমাদের উচিত এই মতপার্থক্যকে সঙ্গে নিয়েই মৌলিক বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়া। মনে রাখবেন, ঐক্যবদ্ধ শক্তি যত ক্ষুদ্র হোক তার বিজয় আসন্ন এবং বিচ্ছিন্ন শক্তি যত বড়ই হোক না কেন, তার পরাজয় নিশ্চিত। আল্লাহ আমাদের এ সত্যটুকু বোঝার তৌফিক দিন। আমিন!
লেখক : অধ্যাপক আমিনুল হক,বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও কলামিস্ট

রবিবার, ২৪ মার্চ, ২০১৩

ইমরানের ব্যাক্তিত্বহীন আচরণ

পৃথিবীতে সবচেয়ে কঠিন কাজ কি? আমার মনে হয় মানুষ চেনা। টাকার জন্য মানুষ সব কিছু করতে পারে। টাকার কাছে সব সম্পর্ক পরাজিত হয়। এই পৃথিবীতে টাকাই সবকিছু। যেমনটি করেছে ইমরান আমার সাথে। ইমরানের টাকার লোভের কাছে আমার রক্তের সম্পর্ক হার মেনেছে। আসলে মানুষের বাইরের রূপ দেখে মানুষকে চেনা যায়না। সকল মানুষ বাইরে এক রকম ভিতরে অন্য রকম....ইমরান কতো বড় ছোটলোকামি কাজ আমার সাথে করেছে তা হয়ত বুঝবে। তবে একটু দেরিতে...অবশ্য স্বার্থপর মানুষরা নিজের স্বার্থই বুঝে অন্য কিছু না

'ইচ্ছগেুলো'(অর্শির কবিতা)



কখনো এমন হত যদি
হতাম আমি ছোট্র গাঁয়রে
ছোট্র একটা নদী!
সকাল-দূপুর সন্ধ্যা হলওে
বইতাম নরিবদী!
এমন যদি হয় মনটা আমার হারয়িে যতে
সূদুর নীলমিায়!
এমন হত যদি হতাম আমি রঙনি ফুলরে
রঙনি প্রজাপত!ি
ফুলরে বনে ফুলরে সনে
বলব কথা আপন মনে
পাখাওয়ালা অলি হয়ে
যাই কখনো যদ!ি
বল এমন কনে হয়?
ছোট্র মনরে স্বপ্নগুলো
শুধু ইচ্ছে হয়ইে রয়!



সাফা জান্নাত র্অশী
বন্দর শশিু নকিতেন কন্ডিারর্গাডনে,
প্রথম শ্রণেী, রোল নং-৬
বন্দর, নারায়ণগঞ্জ।

মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০১৩

বি,এন,পি’র অফিস হামলা

মিডিয়িার ওপর আক্রমণ. বিরোধী দল দমন, একনায়কতন্ত্র, এসব মরহুম শখে মুজবিরে রাজনতৈকি র্দশন আর আওয়ামী লীগ তা-ই লালন করে। সুতরাং বএিনপরি অফিসে হামলা নিয়ে নতুন করে কী বলার থাক?স্বৈবরৈাচার এরশাদ নন্দিা জানয়িছে সেখানে আওয়ামী লীগ সরকারকে কী নাম দয়ো যায়? কছিু মানবরূপী দানব শখে হাসনিার পাশে বসে আছ। এরা দেশ ও জাতরি শত্রু.....প্রকাশিত;দৈনিক আমার দেশ;১৯ মার্চ’১৩)

বুধবার, ১৩ মার্চ, ২০১৩

ইসলামের একটি ক্ষুদ্র বিজয়

শাহবাগের আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যেকোনো ধরনের আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম।
 আল্লামা শাহ আহমেদ শফী বলেছেন, যারা ইসলামের অবমাননার দোষে দোষী, তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা হতে পারে না।এর আগে আল্লামা শাহ আহমেদ শফীর সাথে দেখা করতে শাহবাগকারীদের একটি প্রতিনিধি দল হাটহাজারী যাওয়ার কথা ছিল। আলেম ওলামাদের চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত শাহবাগীরা চট্টগ্রাম আসতে পারেনি। প্রশাষন এবং উচ্চ মহলের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টার পরও আপোষহীন ছিলেন আল্লামা শাহ আহমদ শফী.....এটি ইসলামের একটি ক্ষুদ্র বিজয়

দেশ কি গৃহযুদ্ধরে দিক এগিয়ে যাচ্ছ?

কী ঘটছে দেশে?  মাওলানা দলোওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসরি রায় ঘোষণার দনি হরতালরে ডাক দিযেছিল বাংলাদশে জামায়াতে ইসলামী। সারা দেশে হরতাল পালনও হয়ছে।কিন্তু  এর জন্য অকল্পনীয় মাসুল দিতে হয়েছে জামায়াত-শবিরিরে নেতার্কমী আর হরতাল সর্মথনকারীদরে তো বটইে, এমনকি নিরীহ সাধারণ মানুষকওে? দেশ কি গৃহযুদ্ধরে দিক এগিয়ে যাচ্ছ? এইভাবে একটি গণতান্ত্রকি সরকার দেশে পুলিশ বাহনিীকে ব্যবহার করছে তাদরে প্রতিপক্ষকে দমন, নিপীড়ন, নর্যিাতন আর হত্যা করার জন্য; তা অবলোকন করে আমরা আসলইে শঙ্কতি। এর শেষ কোথায়? কী পরণিতি অপক্ষো করছে সামন?
 ব্লগারদরে একজন রাজীব  খুন হয়ছেনে তা পরষ্কিার হওয়ার আগইে তাকে দিতীয মুক্তযিুদ্ধরে প্রথম শহীদ হিসেবে এরই মধ্যে ঘোষণা দয়ো হয়ছে। এর মাধ্যমে সরকার আসল মুক্তযিুদ্ধকইে অপমান করল। অথচ আরকে মিছিলিকারী শ্লোগান দিতে গিয়ে শাহবাগে ঘটনাস্থলইে মৃত্যুবরণ করনে। কই তাকে তো শহীদ ঘোষণা দয়ো হয়ন
 সরকার বাকস্বাধীনতার কথা বলে র্ধমরে অবমাননকারী ব্লগারদরে নরিাপত্তা দিচ্ছে। অপরদিকে ববিকেরে তাড়নায় যখনেআরেম ওলামারা আন্দোলনে নামলো সরকার তাদের দমাতে অস্ত্র চালাচ্ছে? ইসলাম র্ধম, নবী মোহাম্মদ (সা.) আর ইসলামরে বভিন্নি রীতনিীতক অশ্লীল-ঘৃণ্য আর অশ্রাব্য ভাষায় আক্রমণ করে তাদরে কাছে তা কোনো অপরাধ বলে ববিচেতি হয় না। কারণ তারা এই সরকাররে অন্যায় আচরণরে বরিুদ্ধে কথা বলছে না। সরকাররে র্ব্যথতা আর পাহাড় সমান র্দুনীতি থেকে মানুষরে মনোযোগকে তারা অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিচ্ছে সরকার। তাই তাদরে লালন করে যাচ্ছে।
এত খুন, রাহাজানি, নির্যাতন, নষ্পিষেণ, দমন, অত্যাচার কসিরে আলামত বহন করছ? আমরা ’৯০-এ স্বরৈাচারী সরকাররে বরিুদ্ধে আন্দোলনের কথা শুনেছি। সেই স্বরৈাচারী সরকারও এভাবে গুলি করে পাখরি মতো এত মানুষ হত্যা করেনি।সেই স্বরৈাচারী সরকাররে প্রধান জনোরলে এরশাদও র্বতমান সরকাররে নব্য ফ্যাসবিাদী র্কীতি দেখলে লজ্জা পাচ্ছনে। যে পাকস্তিানি হানাদার বাহনিীর সহযোগতিার কথা বলে আমরা যুদ্ধাপরাধীদরে বচিাররে কাঠগড়ায় দাঁড় করয়িছে,সেই পাকস্তিানি হানাদার বাহনিীও মছিলি-মিটিং করার অপরাধে এভাবে এত মানুষ হত্যা করনে। স্বাধীন দেশে এভাবে নর্বিচিারে মানুষ হত্যা করে এ সরকার তাদরে ফ্যাসবিাদী মনোভাবরে বহি:প্রকাশ ঘটাল।
 সরকারি মদদে যখন নাস্তিক ব্লগাররা জামায়াতকে গালি দিতে গিয়ে প্রকৃত ইসলামকে গালি দিয়ে নিজেদের আসল আসল উদ্দেশ্য ইসলাম ধ্ধংসের চেহারা ভেসে উঠল, তখন মুসলমান হিসেবে সবারই অনুভূতিতে আঘাত লাগার কথা। টুপ-দাড়ি এদশেরে মুসলমানরে র্ধমীয় লবোস। যারা এ র্ধমীয় পবত্রি লবোসকে রাজাকাররে ভূষণ হিসেবে অপমানতি কর; তারা সত্যকিার র্অথে দশেকে ভালোবাসে না। স্বাধীনতা-উত্তর একদল লখেক-নাট্যকার গ্রামরে লম্পট মাতব্বরকে টুপ, দাড়ি আর লুঙ্গ-পাঞ্জাবতি উপস্থাপন করতনে। মধ্যখানে বশে কছিুদনি বরিত থাকলওে নব্য ফ্যাসবিাদীদরে দ্বারা তা আবার ফিরে আসছ। যাতে মুসলমান হসিবেে প্রতটিি নাগরকিই শঙ্কতি হওয়ার কথা। নব্য নাস্তক্যিবাদরে এ হোতারা কোনো এক বৃহত্ শক্তরি পরোক্ষ ইঙ্গতিে ইসলামকে অবমাননা করার এমন দুঃসাহস দখোচ্ছ।ে মুসলমান হসিবেে সবারই সে অবমাননার বরিুদ্ধে সোচ্চার হওয়া র্কতব্য। আমরা প্রত্যক্ষ করলাম কীভাবে সসেব র্ধমপ্রাণ মুসল্লরি বরিুদ্ধে পুলশিকে ললেয়িে দয়িছেলি সরকার। সরকাররে এ র্কমকাণ্ড অবশ্যই ঘৃণ্য, আর এর নন্দিার ভাষা আমাদরে জানা নইে।


বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচবিকে এক মামলায় জামনি হলে জলেগটে থকেইে অন্য মামলায় গ্রফেতার দেখিয়ে আইনরে অপব্যবহার করা হয়ছেলি। ওগুলো কি মানবতাবরিোধী অপরাধ নয়?
এ সরকাররে আমলে দশেরে অনকে বরণ্যে ব্যক্তত্বিকে অপমানতি হতে হয়ছে। ড. ইউনূসসহ আরও অনকেকইে। আর্ন্তজাতকি অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রায় ঘোষতি হওয়ার পর মাওলানা সাঈদীও বচিারক আর পুলশিরে সামনইে আওয়ামীপুষ্ট কছিু ব্যক্তরি দ্বারা অশালীন আচরণরে শকিার হন। দশেরে স্বনামধন্য একটি বশ্বিবদ্যিালয়রে একজন উপার্চায, দশেরে শ্রষ্ঠে বদ্যিাপীঠরে একজন অধ্যাপক, আওয়ামীপুষ্ট সাংস্কৃতকি দলরে প্রধান যখন আদালতে কাউকে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করে এবং মারতে উদ্ধত হন, তখন বুঝতে হবে এ সমাজরে কত গভীরে পচন ধরছে।ে অপরাধীর অপরাধ যত বড়ই হোক, তাকে কথায়-আচরণে কংিবা শারীরকিভাবে লাঞ্ছতি করা কোনো সভ্য মানুষরে কাজ নয়। র্সাবয়িার যুদ্ধরে পর হগেরে আর্ন্তজাতকি আদালতে র্সাব নতো স্লোবোদান মলেোসোভচিরে বচিার হয়ছে।ে যারা টভিতিে সে বচিাররে দৃশ্য দখেছেনে তারা বলতে পারবনে, বসনয়িার মুসলমানদরে ওপর গণহত্যার দায়ে দোষী ওই র্সাব নতোর সঙ্গে আদালত কত ভদ্রতার সঙ্গে আচরণ করছে।ে ইউরোপয়িানদরে এই ভদ্র আচরণ সত্যইি অনুকরণীয়। আইনে অপরাধীর যা শাস্তি প্রাপ্য, তা সে পাব।ে মাওলানা সাঈদীর সঙ্গে অশালীন আচরণ করে সরকারপক্ষীয় লোকগুলো নজিদেরে হীনমন্যতাকে তো সবার সামনে উন্মোচন করলনেই, সঙ্গে ট্রাইব্যুনালরে বচিারর্কাযকে প্রহসনরে বচিার হসিবেে প্রমাণতি করলনে। এক বচিারকরে স্কাইপরে কথোপকথন প্রকাশ হয়ে যাওয়ার পর ট্রাইব্যুনালরে বধৈতা নয়িওে প্রশ্ন উঠছেলি। যদওি আগে থকেইে এ বচিার নায়েবে আর্ন্তজাতকি অনকে সংস্থাই সন্দহে পোষণ করে আসছলি।
জামায়াত-শবিরিরে বরিুদ্ধ, র্ধমপ্রাণ মুসলমানদরে বরিুদ্ধ, বরিোধী দলরে বরিুদ্ধ, জনগণরে বরিুদ্ধে আওয়ামী সরকাররে এই ফ্যাসবিাদী আচরণ দশেকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছ? সরকার এক যুদ্ধাপরাধরে বাহানা দয়ি দশেরে মানুষকে আর কত বোকা বানাতে চায়? বগিত কয়কেদিনে সরকাররে যে মারমুখী নষ্ঠিুরতা দখেছে, এর পরণিাম কি ভালো কছিু বয়ে আনব? আওয়ামী লীগ আজ বরিোধী দলকে যভোবে দমন করে আসছ, ভবষ্যিতে তারা বরিোধী দলে গেলে তাদরে সঙ্গে একই আচরণ করা হলে তারা কি তখন মানবতার প্রশ্ন তুলবনে?

গণহত্যা -গণগ্রফেতার


 গণহত্যা কিংবা গণগ্রফেতার নিয়ে নতুন করে কছিুই মন্তব্য করার নেই। কারণ এটি আওয়ামী লীগরে পুরনো চহোরা। মিডিয়ার ওপর হস্তক্ষপে, একনায়কতন্ত্র এবং বামদরে অতিমাত্রায় আশ্রয়-প্রশ্রয় মরহুম শখে মুজবিও করছেলি; কিন্তু এর ফলাফল শুভ হয়নি। শেখ হাসনিাও বাবার মতো একই ভুল করে যাচ্ছে বার বার। তবে জনগণ এবার উচতি শক্ষিা দিবে।(আমার মন্তব্যটি দৈনিক আমার দেশ ১২ মার্চ’১৩ প্রকাশ করে)

খালেদা জিয়া’র আন্দোলনের ডাক

আমি খালদো জয়িার আন্দোলনরে ডাককে সর্মথন করি তবে তিনি খুব দেরিতে ডাক দিলেন। বাংলাদশেরে মানুষ বুঝতে পারছে না বিএনপি’র মেয়েলি আন্দোলনে স্বরৈাচার আওয়ামী লীগকে কতটা নাড়াতে পারব? (উল্লেখ্য আমার এই মন্তব্যটি দৈনিক আমার দেশ ৫ মার্চ ২০১৩,১০ পৃষ্টায় প্রকাশ করে)

শুক্রবার, ৮ মার্চ, ২০১৩

নারীর অধিকার প্রদানে মহানবী



   

বিশ্ব মানবতার মুক্তিদূত, হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর নারী জাতির প্রতি ছিল গভীর ভালবাসা। তার আবির্ভাবের পূর্বে পৃথিবীতে নারী ছিল ঘৃণিত অবহেলিত,নির্যাতিত,পদদলিত। নারীর কোন মানবাধিকার ছিলনা। যুগে যুগে কালে কালে নারী হয়েছে নিষ্ঠুরতা,বর্বরতার শিকার। নারী ছিল একটি পরিবারের জন্য কলঙ্খ, তাই সদ্যজাত মেয়ে শিশুকে তারা জীবন্ত কবর দিত। কেবল আরবের মাটিতেই নয়, গোটা দুনিয়ায সর্বত্র নারী সমাজের উপর চলেছে নিপীড়ন,নির্যাতন,অবহেলা। সে যুগে গোটা বিশ্বের কোথাও মানবাধিকার পেয়েছে পরিবার ও সমাজের সম্মানের আসন পেয়েছে,তাদের সাথে মানবিক আচরণ করা হয়েছে এমন কোন নজির খুজে পাওয়া যাবে বলে আমার মনে হয়না। বিশ্ব নবী (সাঃ) এর পূর্বে কোন সমাজ সংস্কারক,কোন সমাজ সেবী,কোন রাজা বাদশাহ,কোন দার্শনিক কিংবা ধর্ম প্রবর্তক, নারী জাতির কোন প্রকার সম্মান মর্যাদা প্রদান করেছেন এমন নজির ইতিহাসে পায়নি। এ ছাড়া নারী জাতির প্রতি ইতিহাসের বড়মাপের মানুষগুলো ব্যাক্তিগত ধ্যান ধারণা,আচার-আচরণ,মেলামেশা,চলাফেরা কাজ- কারবার কেমন ছিল, অথবা কি ধরনের লেনদেন হতো এরও কোন সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। মহানবী (সাঃ) নারী জাতিকে দিয়েছেন যথার্থ মর্যদার আসন। তিনি নারীকে দিয়েছেন, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষা ও সংস্কৃতির পূর্ণ অধিকার। কুসংস্কার,অবিচার,আনাচার অত্যচারের বন্দীশালা থেকেই নারীকে মুক্ত করেন। মানব জাতির ইতিহাসে নবী কারীম সাঃ প্রথম নারী জাতিকে পরিপূর্ণ মানবাধিকার দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনের আলোকে তাদেও জন্য পুর্ণাঙ্গ বিধি বিধান  ও আইন কানুন প্রবর্তন ও প্রয়োগ করেন। মহানবী (সাঃ) ছিলেন পবিত্র কোরআনের বাস্তব নমুনা। তিনি কোরআনের আলোকে নারী সমাজের সাথে সম্মানজনক আচার আচরণ কওেছেন। তাদের সাথে মর্যাদাপূর্ণ  ব্যবহার করার জন্য অন্যদেরকে আদেশ দিয়েছেন। ফলে ইসলামী পরিবার ,সমাজ, রাষ্ট্র নারীর মর্যাদা ব্যাপক প্রতিষ্টা লাভ করে যা বিধর্মী দার্শনিকরাও শিকার করতে বাধ্য হয়েছেন। খায়বার বিজিত হওয়ার পর আসমা বিনতেদ উমাইশ রাঃ নামে এক মহিলা সাহাবী হাবশা  থেকে মসদীনায় হিজরত করেন। তিনি মক্কার কাফেরদের অত্যাচারে, অত্যাচারিত মুসলমানদের সাথে আবিসিনিয়া হিজরত করেছিলেন। একদিন তিনি হযরত হাফসার  সাথে দেখা করতে যান। হঠাৎ হযরত ওমর ফারূেক (রাঃ)সেখানে উপস্থিত হলেন। হযরত আসমাকে দেখে হযরত ওমর (রাঃ) প্রশ্ন করলেন ওনি কে? হযরত হাফসা (রাঃ) নাম বললেন। হযরত ওমর (রাঃ) বললেন হাবশায় যে আসমা হিযরত করেছিলেন, উনি কি সেই নাকি? হযরত আসমা (রাঃ) জবাব দিলেন, হ্যা আমি সেই। আলাপচারিতায় এক সময় হযরত ওমর (রাঃ) বললেন- আমাদের তোমাদের আগেই মদীনা হিযরত করে এসেছি। তাই মহানবী (সাঃ) এর উপর তোমাদের চাইতে আমাদের দায়- দায়িত্ব ও হক অনেক বেশী। হযরত আসমা (রাঃ) ওমর (রাঃ) এর এ দাবী মেনে নিতে পারছিলেন না। তিনি প্রতিবাদী কন্ঠে বলে উঠলেন না তা কখনো হতে পারেনা। তোমরা নবী কারীম (সাঃ) এর আশ্রয়ে ছিলে। তোমাদের নিরাপত্তার বিধান তিনিই করেছিলেন। আর আমরা স্বজন হারা হয়ে সুদূর হাবশায় অপরিচিত হাবশিদের মাঝে দিন কাটিয়েছি। আমাদের জান-মালের কোন নিরাপত্তা ছিলনা। আমাদের মনে সব সময় মৃত্যুর ভয় লেগ থাকত। নানা রকম অত্যচার- অবিচার চলত। আমরা কখনো স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার অবকাশ পেতামনা। আমাদের কোন সাহায্যকারী ছিলনা। তাদের আলাপচারিতায় নবী কারীম (সাঃ) উপস্থিত হলেন  হযরত আসমা নবী কারীম (সাঃ) এর নিককট ঘটনা খুলে বললেন । মহানবী ঘটনা শুনার জবাব দিলেন আমার কাছে ওমরের হক তোমাদের চাইতে বেশি নয়। রাসূল (সাঃ) আল্লাহর নির্দেশ মুতাবিক পিতা এবং স্বামীর সম্পদে নারীর অংশগ্রহন নিশ্চিত করে গেছেন। যেই যুগে নারীর ইজ্জত দিন দুপুরেও নিরাপদ ছিলনা সেখানে একজন নারী যদি গভীর রানেও দীর্ঘপথ অতিক্রম করতো তাহলে নিরাপত্তার ব্যাপাÍ বিন্দুমাত্র ভয়ও থাকতোনা। ঘৃন্য দাসপ্রথা বিলুপ্তির মাধ্যমে পরাধীন জীবন যাপন থেকে নারী সহ সকলকে মুক্ত করে গেছেন আল্লাহর রাসূল। তিনি দাস-দাসীর মুক্তির জন্য সাহাবায়ে কেরামদের উৎসাহ দিয়েছেন। একদা খানসা বিনতে খাদ্দাম আনসারী নামক এক মহিলা রাসুল (সাঃ) এর কাছে অভিযোগ দিলেন, তার বাবা তার মতের বিরূদ্ধে এক পুরূষের সাথে বিয়ে দিচ্ছেন। তখন রাসূল (সাঃ) ঐ বিয়ে বাতিল করে দেন(সহীহ বুখারী ও মুসলিম) শিক্ষার ক্ষেত্রেও মহানবী (সাঃ) নারী ও পরূষের ক্ষেত্রে সমান গুরূত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন- শিক্ষা অর্জন করার জন্য প্রয়োজনে সুদূর চীন দেশে যাও। এখানে নারী কিংবা পুরূষের কথা উল্লেখ করেননি। এভাবেই নবী করীম (সাঃ) নারীর অধিকার সংরক্ষনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে বর্তমানে মুসলিম প্রধান দেশ বাংলাদেশে যে নারীদের অধিকারের নামে সম্পদের অধিকারের ক্ষেত্রে কোরআন-হাদীস বিরোধী আইন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তা সম্পুর্ন ইসলাম ধর্মের প্রতি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। ইতিহাস সাক্ষি ইসলাম ধর্মে নারীদের যে রকম সম্মান দেওয়া হয়েছে তা আর কোন ধর্মে দেওয়া হয়নি। শিক্ষা ক্ষেত্র থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রে নারীরা এখন পুরূষের চেয়ে অনেকগুন এগিয়ে সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে। এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে এমন অবস্থা যে অধিকার আদায়ের জন্য পুরুষদেরকে আন্দোলন করার জন্য মাটে নামতে হবে।যেখানে ইসলামী শাসনব্যবস্থা আছে সেখানে নারী ধর্ষনের খবর আমরা পায়না আর ভারত কিংবা পশ্চিমাতে যেখানে আধুনকতার নামে বার স্লোগান দেওয়া হচ্ছে??

বিধবা বিয়ে করতে চায়

প্রত্যেক মানুষের একটি লালিত স্বপ্ন থাকে। মানুষতো স্বপ্নের মাঝেই বেচেঁ থাকে। স্বপ্ন ছাড়া হয়ত মানুষ একদিনও বাঁচবেনা। আশি বছরের বৃদ্ধের কাছেও থাকে স্বপ্ন। আমিও দু’টি স্বপ্ন লালন করে বেচেঁ আছি। তার মধ্যে একটি হলো একজন বিধবাকে বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে জীবনসঙ্গী করা।অবশ্য আমি বিশ্বস করি বিয়ে নিয়তির লিখন। কার সাথে কার বিয়ে হবে এটা আগে থেকে বলা মুশকিল। সবই আল্লাহ নির্ধারন করেন।তবে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি আমার কপালে যেন একজন বিধাব থাকে। আমি সমাজকে আমার অবস্থান থেকে বদলাতে চায়

আমাদের সমাজে বিধবা এবং বিপত্নীককে ভীন্নভাবে দেখা হয়।একজন ষাটোর্ধ বিপত্নীক একজন ষোড়শী কুমারি মেয়ে বিয়ে করতে পারে পক্ষান্তরে একজন বিধবাকে পাঁচ সন্তানের বাবা কিংবা কোন বৃদ্ধকে বিয়ে করে বাকি জীবন মানবেতর জীবন যাপন করতে হয়।
সমাজের দৃষ্টিভঙ্গিটা এমন যে, বিধবা মহিলাটি শুধু বাসর করেই বিধাব হলেই অনেক কিছু হারিয়ে ফেলেছ আর পুরূষ বিয়ে পঞ্চাশটা করলেও সে আজীবন কুমার। কিন্তু কেন??আমাদের প্রিয়নবী মোহাম্মদ (সা:) এর বিবিদের মধ্যে আযেশা র: ছাড়া সবাই ছিল বিধাব কিংবা কোন না কোন ক্ষেত্রে অবহেলিত। আসুন নিজের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাই সমাজও পাল্টে যাবে।

বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ, ২০১৩

কেমন বন্ধু চাই?

              

বন্ধুত্বের কোন বয়স নাই,গড়ার মতো মন চাই। বন্ধুত্ব কি? এর কোন বাস্তব ধর্মী সংজ্ঞা আছে  কিনা  আমি জানিনা ,তবে আমি মনে করি বন্ধুত্ব মানে  দুইটি দেহের মধ্যে এক অভিন্ন হৃদয়ের নাম। ডেল কার্নেগী  যথার্থই বলেছেন কোন মানুষের সাথে বন্ধুত্ব গড়ার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো তার প্রতি অনুগত থাকা তার কথা মনযোগ দিয়ে শুনা এবং তার কথা এবং কাজে আন্তরিক আগ্রহ দেখানো। বন্ধু সাধারনত তিন প্রকার যথা:.Guest friend ,Best  friend ,pest friend. guest friendসু -সময়ের বন্ধু অর্থাৎ সমস্যা দেখলে কেটে পড়ে।
Best  friend (প্রকৃত বন্ধু) সুখ-দুঃখে আপদ বিপদে সব সময়ের সাথী।
pest friend. স্বার্থপর বন্ধু অর্থাৎ বসন্তের কোকিল রূপ ধরে আসে কিন্তু স্বার্থ উদ্ধার হওয়ার পর চলে যায়।  কে ব্যাখ্যা করলে ঠিক এভাবে দাড়ায়  বিশ্বাসী  যৌক্তিক বুদ্ধিমান বিচারক   অকপট কর্তব্যপরায়ন সামাজিক  ব মিষ্টভাষী অন্তরঙ্গ শান্ত। কিন্তু ভালোবাসা আর বন্ধুত্বের মাঝে পার্থক্য আছে ,যেমন ফ্রান্সেস বেকন বলেছেন-ভালোবাসা লাল গোলাপের মতো কিন্তু বন্ধুত্ব হচ্ছে ছায়া দেয়া বৃক্ষের মতো যা জীবনের প্রতিটি মুহুর্তে প্রয়োজন এবং বাস্তবতার মধ্যেই তার সরল বিচরণ। তাই এমন বন্ধু প্রয়োজন যে হবে প্রকৃত বন্ধু  যা কখনো শেষ হবেনা মূলত যে বন্ধুত্ব শেষ হয়ে গেছে তা কখনো শুরুই হয়নি। চার্লসম্যান যথার্থই বলেছেন একজন সত্যিকার বšধু কখনো তার বন্ধুর আচরনে ক্ষুদ্ধ হয়না। হেনরি ডেবিড বলেছেন-
The only danger is friendship is that it will end  অর্থাৎ বন্ধুত্বের ট্রাজিক দিক হলো এটি শেষ হয়ে যাবে,আসুন এমন বন্ধুর সন্ধান করি যা কখনো শেষ হবেনা।
ভালোবাসার কোন যথার্থ সংজ্ঞা আমি এখনো পায়নি তবে আমি বিশ্বাস করি ভালোবাসা দুইটি দেহের এক অভিন্ন হৃদয়ের নাম।  সকল ভালোবাসার বন্ধনের সকল বন্ধুর বন্ধুত্বের স্থায়ী বন্ধন কামনা করছি।









মওদুদীবাদ একটি ইস্যু


আলেমদের ঐক্য ফাটল ধরাতে মওদুদীবাদ নামে ধুয়া তোলা হচ্ছে। দু:খজনক হলেও সত্য যে মিছবাহুল আলম চৌধুরী কিংবা শামীম আফজালের মতো কিছু অর্থলোভী আলেম নিয়মিত টিভি টকশো’তে গিয়ে ইসলাম বিরোধী মনগড়া বক্তব্য রেখে নাস্তিকদের ইন্ধন যোগাচ্ছে।
আমাদের বোঝা উচিৎ মওদুদীবাদের আড়ালে আছে আলেমদের ঐক্যে ফাটল ধরানোর ষড়যন্ত্র। সুতরাং এই মুহুর্তে সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে আমাদের ইসলাম,নবী (স:) এবং নায়েবে রসূল আলেমদের আত্বসম্মান রক্ষায একমঞ্চে আসা সময়ের অপরিহার্য দাবি বলে আমি মনে করি। আলেম ওলামারা থাকলেতো ইসলাম থাকবে

আল্লামা সাঈদী রাজাকার দেলা সিকদার প্রসঙ্গ



  


২৬ মার্চ বাঙালির বীরত্ব গাথা অবিস্বরনীয় স্বাধীনতা দিবস। হাজার বছরের বাঙালির শ্রেষ্ট অহংকারের বর্ণাঢ্য আনুষ্ঠানিতার শুভ উদ্বোধনের হৃদয় নিংড়ানো দিন। মুক্তিযুদ্ধের অবিনশ্বর চেতনার প্রতীক দিবস আত্বজিজ্ঞাসার স্ফুরন বিজয় দিবস বাঙালিকে চিরদিন রজনি গন্ধা ফুলের মত গন্ধ বিলিয়ে যাবে। স্বাধীনতা দিবস বাঙালির নিকট চিরদিন স্বতঃস্ফুর্ত মিলনমেলার মাহেন্দ্রক্ষণ হয়ে থাকবে চিরকাল। স্বাধীনতা দিবস আমাদের গর্ব, একতারা সেতুবন্ধন। এ বন্ধন শতাব্দীকাল ধরে অঠুট থাকুক প্রাণে প্রাণে ছন্দে ছন্দে, কবিতায় আর সনেটে গর্বে ও আনন্দে। বিজয়ের গর্বিত নন্দিত শৌর্যবীর্যের উল্লাস ছড়িয়ে পড়–ক প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে। বীরত্ব ব্যঞ্জক এবং বেদনা বিদুর স্বাধীনতা দিবস হৃদয়ে মনুষ্যত্বের গোলাপ ফুটায় জীবনের উচ্ছাস আর উচ্ছলতার আতিশর্যে। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস। ইতিহাসের স্বর্ণালী এ মাহেন্দ্রক্ষনে আনন্দে আর উচ্ছাসে হৃদয় যেন আকাশের নীলিমা স্পর্শ করতে চায়। হাজার বছরের বাঙালীর ইতিহাসে ৭১ দিয়েছে আমাদেরকে অভিসিক্ত করেছে বীরের মর্যাদায়। স্বাধীনতার জন্য বাঙালি যে এক সাগর রক্ত, ত্রিশ লক্ষ মানুষের জীবনের বিনিময়ে দিতে পারে, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ তার উজ্জল দৃষ্টান্ত। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বিজয় অর্জন আকাশ ছোয়া সম্মান আর মর্যাদায় বাঙালিকে পৃথিবীর ইতিহাসে করেছে অনন্য। একাত্তরের চেতনা অবিনাশি। আমাদের অহংকার ও গৌরবের এক ইতিহাস শ্রেষ্টদিন। এ দিনের অর্থ ও মাহত্ব ও গুরুত্ব বিশ্বজনীন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে আজও আমরা অনেক ক্ষেত্রে পরাধীন।  স্বাধীনতার ৪২ বছর পরও আমরা সন্ত্রাসীরদের হাতে জিম্মি। এখনো পর্যন্ত আমাদের মা-বোনদের ইজ্জত ধর্ষকদের হাত থেকে নিরাপদ নয়। আজও আমরা অনেক ক্ষেত্রে ৭১ এর মতো পাকিস্তানি হানাদারদের ন্যায় রাতের অন্ধকারে কিংবা দিবালোকে কোন আকস্মিক হামলার আতংকে থাকি। আজো আমাদের দেশে প্রতিনিয়ত পুলিশের গুলিতে নৃশংস দিবালোকে রাজপথে মানুষ হত্যা  জনগনের বন্ধু পুলিশকে সাথে নিযে মানুষ হত্যাকারী আর কোন জাতি পৃথিবীতে আছে বলে আমার মনে হয়না, যা আইয়্যামে জাহিলিয়া কিংবা ৭১ এর নৃশংস ঘটনাকেও হার মানায়। আমার অবাক লাগে তারাই আবার দাবি করে এই দেশকে নাকি তারা স্বাধীন করেছে, তারাই নাকি প্রকৃত মুক্তিযুদ্বা কিংবা দেশপ্রেমিক। তারাই সংসদে এখন গলা ফাটিয়ে বলতেছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই। কিন্তু প্রকৃত যুদ্ধাপরাধী কারা? বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর যারা সরাসরি হত্যা এবং  নারী ধর্ষনে লিপ্ত ছিলনা তাদেরকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষনা করেছেন। সেই হিসেবে বাংলদেশে কোন আলেম কিংবা ইসলামী দল রাজাকারের তালিকায় পড়েনা।

স্বাধীনতা অর্জনে ভারতের ভূমিকা ছিল তা অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই। আমরা বাঙ্গালী জাতির কাছে ভারত হয়ে থাকবে চিরকাল স্বরনীয,বরনীয়। কিন্তু তখনকার ইসলামী ভাবধারার ব্যক্তিরা ভারতের সেই সহযোগীতাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখেনি  কারন ভারতের সেই সহযোগতিার মাঝে বড় ধরনের স্বার্থ এবং বাংলাদেশীদের উপর আধিপত্য বিস্টতারের এক নীল নকশা ছিল। এবং তার ফলাফল আমরা এখনো ভোগ করছি। পাখীর মতো সীমান্তে বাঙ্গালী হত্যা বিএসএফের রূটিন। মুসলিম বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী রাষ্ট্র পাকিস্তানের বিরূদ্ধে এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র বাংলাদেশের পক্ষে ভারতের অবস্থানকে অত্যন্ত সন্দেহের চোখে দেখেছিল তৎকালীন ইসলামী  থিংকার এবং রাজনীতিবীদরা। আর সেই জন্যই তারা রাজাকার হিসেবে অপরাধী ছিল। ( মানুষ হত্যা এবং ধর্ষনে লিপ্ত না থাকায় বঙ্গবন্ধুর কাছে তারা সাধারণ ক্ষমা প্রাপ্ত) ভারতের তৎকালীন সরকার প্রধান বিদেশেসফর করে করে বাংলাদেশের পক্ষে সমর্থন চেয়েছিল। কিন্তু স্বাধীনতা পরবর্তী ভারতের প্রত্যেকটি আচরনই প্রমান করেছে ভারত কেন সে দিন বাংলাদেশের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল।

 সীমান্তরক্ষী বাহিনীর দায়িত্ব হচ্ছে সীমান্তের প্রতি ইঞ্চি ভূমির উপর দেশের সার্বভৌম অধিকার নিশ্চিত করা আর সশস্ত্রবাহিনীর দায়িত্ব হচ্ছে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সংরক্ষন করা। দেশের এই দুই শক্তির উপর যখন ষড়যন্ত্রমূলক আঘাত আসে তখন নিঃসন্দেহে দাবি করা যায় যারা এ দেশের ভূমিকে জোরপূর্বক ব্যবহার করতে চায় । ভারতের এসব আচরন প্রমান করে ভারত বাংলাদেশকে সব সময় অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায়। আজ জাতির কাছে সুস্পষ্ট কেন ৭১-এ ইসলামী দলগুলো ভারতের সহযোগীতাকে কেন মেনে নেয়নি। আজ আমরা পাকিস্তান থেকে স্বাধীন হয়েও ভারতের কাছে ৩৯ বছর যাবৎ পরাধীন কেন? বাংলাদেশের গরীব-দুঃখী মানুষের পেটে লাতি মেরে ভারত একচেটিয়ে বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। ভারতের সব টিভি চ্যানেল বাংলাদেশে বৈধ কিন্তু বাংলাদেশের কোন চ্যাণেল ভারতে কেন চলতে পারবেনা? আমি মহান স্বাধীনতার মাসে ভারতের সেই স্বার্থনেষী সহযোগীতাকে অত্যন্ত ঘৃনার ভাষায় ধিক্কার জানাচ্ছি এবং প্রত্যাখ্যান করলাম। কেননা আজ আমাদের কাছে স্পষ্ট ভারত পাকিস্তান হটিয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছে আমাদের ভূখন্ডকে চূষে খাওয়ার জন্য। আমাদের উপর আধিপত্য বিস্তার এবং ইসলামী শক্তিকে দুর্বলকরার জন্যে।


মাও.ইউনুস সাঈদীর ছেলে আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীকে রসুল সিকদারের ছেলে দেলো সিকদার সাজিয়ে আজ অপমানিত করা হচ্ছে। শাহবাগীদেও চাপের মুখে বিচারক সাঈদীকে মৃত্যুদন্ডের রায় দিল। বিচারক মহোদয় বললেন-আমরা একাত্তরের সাঈদীর বিচার করেছি। আমরা বলব আপনি একাত্তরের দেলো সিকদারকে খুজে বের করে ফাসি দিন আর আমাদের কোটি জনতার প্রাণপ্রিয় নেতা আল্লামা সাঈদীকে স্বসম্মানে মুক্তি দিন।
বরং যারা এখন দাবি জানাচ্ছে তারাই হবে সেই সব যুদ্ধাপরাধী, যাদেরকে বঙ্গবন্ধু পর্যন্ত ক্ষমা ঘোষনা করেনি।সম্প্রতি দিগন্ত টিভি’র এক টক শো’তে  বিএনপি সাংসদ পাপিয়া প্রধানমন্ত্রীর বেয়াই প্রবাসীকল্যানমন্ত্রী সহ আওয়ামীলীগের কোন কোন রাজনীতিবীদ যুদ্ধাপরাধী তার তালিকাও দিয়েছে। কাদেরসিদ্দিকীতো সরাসরি বলেই যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীম.খাআলমগীর রাজাকার ছিলেন। মূলত রাজাকার কোন দল কিংবা গোত্র হিসেবে নয় বর্তমানে প্রত্যেকটি দলের মধ্যই রাজাকার ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে। যদি তদন্ত করা হয় নিরপক্ষভাবে তাহলে বর্তমান কেবিনেট,পার্লামেন্টেও পাওয়া যাবে অনেক রাজাকার।

আমরাও চায় এ দেশে রাজাকারদের বিচার করা হউক। কিন্তু এখন শুধু চিহ্নিত করা হচ্ছে ইসলামী দল কিংবা ডানধারার রাজনীতিবদিকে। ইলেক্ট্রনিক্য মিডিয়া সহ পথ নাটকেও রাজাকার একটিং করা হচ্ছে পানজাবী-টুপিওয়ালাকে।  আমি সেই সমস্ত তথাকথিত বুদ্ধিজীবি এবং স্বার্থবাদী 
রাজনীতিবীদদের উদ্দেশ্যে বলতে চায়। আসুন আমরা হিংসা বিদ্ধেষ ভুলে গিয়ে, হত্যার রাজনীত বাদ দিয়ে প্রকৃত গণতন্ত্র চর্চা করি। তবেই হবে স্বাধীনতার স্বার্থকতা। এই বাংলার সংগ্রামী জনতা বাংলাদেশে প্রকৃত গণতন্ত্রের জন্য ৭১-এ ত্রিশ লাখ জীবন দিয়েছে,৫২-তে দিয়েছে ভাষার জন্যে জব্বার,রফিকরা তাজা রক্ত,৭৫-এ সিপাহি-জনতা একসাথে রাজপথে নেমেছিল বাকশাল বিরোধী আন্দোলনে,স্বৈরচার বিরোধী আন্দোলনেও এই দেশের জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের অধিকার আদায় করেছে। সুতরাং আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চায় এই বাঙালি বীরের জাত  কোন দেশ ও গণতন্ত্র বিরোধী আইন কিংবা ষড়যন্ত্র রুখে দাড়াতে সর্বদা প্রস্তত। আমি পরিশেষে বলতে চায়। আসুন-আমরা এই মহান স্বাধীনতার মাসে প্রকৃত গণতন্ত্র চর্চা করার শপথ নিই। আমি এই স্বাধীনতার মাসে হাজার হাজার সালাম জানাই সেসব বীরদের যারা নিজেদের জীবনের মায়া ত্যাগ করে এই বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য হাসিমুখে জীবন উৎসর্গ করেছেন।







বুধবার, ৬ মার্চ, ২০১৩

সৌদি আরবে উচ্চশিক্ষার সুযোগ

islamic university of madina

 
জাতীয় কবি নজরূল ইসলাম বলেছেন-ধন্য এশিয়া,ধন্য আরব ধন্য মক্কা পূণ্য দেশ,তোমাতে এসেছে প্রথম নবীগো তোমাতে এসেছে শেষ।মুসলমানদের তীর্থ স্থান মক্কা-মদীনার দেশ সৌদিআরবের উচ্চশিক্ষা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অনেক আগে থেকেই স্বীকৃত। বিশ্বের কয়েকটি খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়ও রয়েছে এই পূণ্যভ’মিতে অবস্থিত। তবে অন্যান্য দেশের চেয়ে সৌদি আরবের উচ্চশিক্ষা ভীন্ন। দেশি-বিদেশী সবার শিক্ষার ব্যয়ভার বহন করে সৌদি সরকার।
শিক্ষার ভাষা:- আরবি সৌদি আরবের রাষ্ট্রিয় ভাষা হওয়ায় এখানকার পড়ার ভাষাও আরবি,আরবি ভাষায় যাদেও দক্ষতা  রয়েছে তারা এখানে পড়ার অগ্রাধিকার পাবেন। বিদেশি শিক্ষার্থীদেও মূল ডিপার্টমেন্টে ভর্তি করানোর আগে আরবি ভাষা ইনষ্টিটিউটে ভর্তি করানো হয়। তবে সৌদি আরবের কিং ফাহাদ ফেট্টোলিয়াম ইউনিভার্সিটি সহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যঅলয় গুলোতে ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষা দান করা  হয়।সে ক্ষেএ   থাকলে ভাল হয়।
শিক্ষা ব্যবস্থা:- শিক্ষা ব্যবস্থার উচ্চস্থরে সৌদি আরবে স্নাতক,স্নাতকত্তোর,এমপিল,পিএ্ইচডি সহ ইত্যাদি কোর্স গুলো চালু আছে।
পড়াশুনার বিষয় :- উচ্চ শিক্ষার অনেক বিষয় এখানে রয়েছে। উল্লেখ যোগ্য কিছু বিষয় দেওয়া হলো- দাওয়া-তাফসীর
হইসলামিক ল-আর্টস এন্ড হিউমেনিটিজ-সোশাল সায়েন্স-সিস্টেম ইজ্ঞিনিয়ারিং-মেরিন সায়েন্স-ফার্মেসি-বিবিএ-কেমিস্ট্রি-ঊঊঊ-ঈঝঊ
 সুযোগ সুবিধা :-অন্যান্য দেশের তুলনায় সৌদি আরবের প্রেক্ষাপট ভীন্ন। এখাপনে শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা এবং থাকা-খাওয়ার সব খরচ সরকারই বহন করে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন টিউশন ফি নাই। কোরআনে হাফেজদের জন্য রয়েছে স্কলারশীপের ব্যবস্থা। প্রতিমাসে একজন ছাত্রকে তার খরচ বাবদ দেওয়া হবে ৮৪০ রিয়াল। মক্কা-মদীনা জিয়ারত ফ্রি,প্রতি বছর দেশে আসা যাওয়ার জন্য বিমান টিকিট ফ্রি। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেস্টুরেন্টে রয়েছে খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা। ব্যাচেলর হলে দুই তিন বিশিষ্ট রূম আর সস্ত্রীক হলে ফ্যামিলি বাসা দেওয়া হবে।
কিভাবে ভর্তি হবেন:- সৌদি আরবের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চান আগে তা নির্ধারন করূন। তারপর সে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ফরম সংগ্রহ করূন। আবেদনপত্র পাটানোর জন্য নিম্মবর্ণিত কাগজগুলি অবশ্যই রেডি থাকতে হবে। দাখিল/আলিমের মার্কসিট (সত্যায়ন করতে হবে যথাক্রমে আরবি অনুবাদ-নোটারি-মাদ্রাসাবোর্ড -শিক্ষা মন্ত্রানালয়-পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়-সৌদি দূতাবাস। জন্ম নিবন্ধন সনদ,স্বস্থ্য সনদ সত্যায়ন করতে হবে হবে যথাক্রমে আরবি অনুবাদ-নোটারি-প্রথম শ্রেণী ম্যাজিস্ট্রেট -পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় সত্যায়িত এছাড়াও বাংলাদেশের কোন ইসলামী সংস্থা অথবা ইসলামিক ব্যাক্তিত্বের কাছ থেকেতাযকিয়া(প্রশংসা পত্র) নিতে হবে। উল্লেখ্য যে ফ্যাকাল্টি অব কোরআন এবং মাস্টার্স করার জন্য ছাত্রকে কোরআনে হাফেজ হতে হবে।আলিম পাসর পর ৫ বছর অতিক্রম হতে পারবেনা। বয়স ২৫ বছরের বেশি হতে পারবেনা। ছয় কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি। পাসপোর্টের ফটোকপি জমা দিতে হবে। এছাড়া আপনি যদি দাওরায়ে হাদীস অথবা আলিম পাস হন তাহলে আপনার ফাইল তৈরি,  প্রসেসিংয়ে এবং সার্বিক সহযেগীতা,পরামর্শের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন। dolubichitra@gmail.com
কিছ সৌদি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইট দেওয়া হলো:-
 www.iu.edu.sa
 www.uqu.edu.sa
 www.imamu.edu.sa
www.ksu.edu.sa
www.tu.edu.sa
www.alfaisel.edu.sa
www.psu.edu.sa
www.dut.edu.sa
www.kaust.edu.sa
                                                                                         
                                                                    
 

মঙ্গলবার, ৫ মার্চ, ২০১৩

Dolu river


পরকালের জন্য চাই খোদাভীতি


              
                                                                
যে বোধ মানুষকে পরিশীলিত রাখে অন্যায় অশ্লীল মন্দ ও অনিষ্টকর কথা ও কাজ থেকে বিরত রাখে এবং সৎ কাজের দিকে পরিচালিত করে সেটাই তাকওয়া। কোন অন্যায় কাজ করার সময় যদি শুধুমাত্র এই কথায় মনে পড়ে যে, আমাকে এই  পাপের জন্য আল্লাহর কারছ জবাবদিহী করতে হবে  এবং সে কাজ না করে ফিরে আসে তবেই সে তাকওয়াবান। তাই মানুষের জীবনকে সুন্দর ও সাফল্যময় করে তোলার জন্য তাকওয়ার প্রভাব সুদূরপ্রসারী। রঈসুল মুফাসসিরীন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন তাকওয়া হচ্ছে আল্লাহর শাস্তির ভয়ে তার নিষেধাজ্ঞাগুলি থেকে বিরত থাকা এবং তার দয়া ও রহমতের আশা নিয়ে বেচে থাকা। একদা হযরত ওমর ফারুক (রাঃ) কে  ইবনে কাব (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেন আপনি কি কখনো কন্টকাকীর্ণ পথে চলেছেন। ওমর বললেন হ্যা। ইবনে কাব (রাঃ)  বললেন তখন আপনি কি পন্থা অবলম্বন করেছেন। ওমর বললেন আমি সতর্ক হয়ে কাপড় গুটিয়ে নিয়েছি। কাব বললেন এটাই হচ্ছে তাকওয়া। আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাঃ বলেন তাকওয়া হচ্ছে যে কারো তুলনায় নিজেকে বড় মনে না করা তথা অহংকার না করা। আরবের এক কবি বলেছেন ছোট বড় সব পাপ ছাড় এটাই তাকওয়া। কারণ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কাকর থেকে পাহাড়ের সৃষ্টি। কাজি নাসির উদ্দীন বায়জাবি তার বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ বায়জাবিতে বলেছেন তাকওয়ার তিনটি স্তর রয়েছে ০১- জাহান্নামের ভয়ে শিরক হতে নিজেকে রক্ষা করা।০২- ছোট বড় সব গুনাহ থেকে নিজেকে বাচিয়ে রাখ্ ০৩-হক বা সত্য হতে দূরে রাখে কিংবা গাফিল করে এমন সব কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখা। সবাইকে এই কথা মনে রাখা দরকার যে আমাদের আসল ঠিকানা হলো কবর।নিশ্চয়  প্রতিদিন কবর এই কথা বলে থাকে আমি পান্থনিবাস,আসি নির্জন কুটির, আমি মাটির ঘর,আমি কীট পতঙ্গের আস্তানা যখন কোন মু’মিন বান্দাকে কবরে শায়িত রাখা হয় কবর বলে তোমাকে স্বাগতম সম্ভাষন। আমার উপর (যমীনের উপর)বিচরন কারীদের মধ্যে তুমিই আমার নিকট সবচেয়ে বেশি প্রিয় ছিলে। আজ যখন তোমাকে আমার অীধনে ছেড়ে দেয়া হয়েছে তুমি দেখতে পাবে আমি তোমার সাথে কতো ভাল আচরন করি।  মহাগ্রন্থ আল কুরআনের সূরা মুমিনের শুরতে আলাহ পাক সফল মু’মিনদের গুনাবালির কথা বলেছন। তারা(মু’মিনরা) চিড়তার সাথে নামায আদায় করেছে। অযথা কথাবার্তা থেকে বিরত থেকেছে। যাকাত আদায় করেছে। এবং লজ্জস্থানকে হেফাযত করেছে(স্ত্রী ও দাসীদের বেলায় ভীন্ন কথা) অনুরূপভাবে রাসুল (সাঃ) আমাদের সাথে ওয়াদাবদ্ধ। তিনি বলেছেন তোমরা আমাকে জিহবা(কথাবার্তা)ও লজ্জাস্থানের (যৌনক্ষুধার) গ্যারান্টি দাও আমি তোমাদেরকে বেহেশ্তের গ্যারান্টি দেব। আল্লাহ পাক বলেছেন তিনি কোন বান্দার অবস্থার পরিবর্তন করেন না যতক্ষন্ না মানবজাতি নিজে নিজের অবস্থার পরিবর্তন না করে(রাদ আয়াত ১১)

ভুল নয় সব অবিজ্ঞতা



 কেমন আছো? নিশ্চয় রাসেলকে নিয়ে খুব ভাল আছ। কতোদিন থাকবে রাসেলের বুকে?ক্ষনস্থায়ী কিংবা দীর্ঘস’ায়ী হউক যতোদিন থাকো ভাল থেকো। ইমন,,মাসুম,,মাসুদ,,রাতুর,,,রাসেল,,,?

আমার কোন দু:খ নাই,তোমার ব্যক্তি স্বাধনিতার হস্তক্ষেপ করার অধিকার আমার নাই। তবে অধিকার কিংবা স্বাধীনতার নামে তথাকথিত এই মডার্ন লাগামহীন বেসামাল জীবনকে আমি ধিক্কার জানাই। আমি অনেক পাপী হলেও সব সময় আমার পবিত্র ধর্ম ইসলামের অনুশাসনগুলো মেনে চলার চেষ্টা করি। আমার পারিবারিক ্এতিহ্য এবং নিজের আদর্শকে বিসর্জন দিতে পারবনা তাই আমি নিজেকে শত অনিচ্ছা থাকার পরেও নিজেকে তোমার জীবন থেকে সরিয়ে নিচ্ছি।

আমি একজন কলামিস্ট এবং ব্লগার হিসেবে আমার নং মিডিয়ায় থাকাটা অস্বভাবিক কিছু না আর তুমি সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে মোবাইলে বার বার ফোন অত:পর বাধ্য হয়ে আমার রিসিভ করা পরিচয় থেকে পরিনয়,,,,

গত ফেব্রুয়ারী’১০ তুমি আমাকে বিরক্ত করা শুরু করো,পরবর্তীতে হাসি-কান্নায আমাদের দুইটা বছর গেল। তোমাকে নিয়ে আমার অনেক স্মৃতি অভিজ্ঞতা। তোমাকে ছেড়ে আমি কখনো আসবো আমার কল্পনাঅতীত ছিলো। ইচ্ছা ছিলো আমি তোমার হয়ে তোমাকে সারা জীবন আমার করে রাখবো। কিন্তু সম্ভব হলোনা। তোমার বুকটা সবার জন্য উম্মুক্ত। তোমার গর্ভে আমার সন্তানের জন্ম হবে আর সেই সন্তানের নাম রাখব তোমার নামের সাথে মিলিযে,,,,আমার এই আকাঁশছোয়া স্বপ্ন সমুদ্র সমান আবেগকে পদদলিত করে তুমি লিভ টুগেদারে নেমে গেছো। তোমাকে অভিশাপ দিবোনা। যার কাচে থেকো ভালো থেকো

তুমি সব সময় নিজেকে ভাল মানুষ দাবি করে থাক। আমিও বলছি তুমি মাদারতেরেসা-রোকেয়া কিংবা এই যুগের মালালা ইউসুপজাই। আমাকে হুমকিও দিয়েছ আনেকবার, বাথরূমে বসে বসে নিজেকে এ্যান্জেলামার্কেল মনে করতে থাকো

আজ আমার ব্লগে লিখে তোমার আমার সম্পর্ক আনুষ্টানিক ইতি টানলাম। আমার প্রতি তোমার কিংবা তোমার প্রতি কোন দায়বদ্ধতা থাকলনা,,,রাসেলের কাছে তুমি সুখে থাকো,রাসেলকে আমার মতো টকাবেনা


জীবনে ভ’ল বলতে কিছ’ নাই সবই অভিজ্ঞতা। তোমাকে ঘিরে আমার অনেক অভিজ্ঞতা হলো যা আমার দাম্পত্য জীবনের চলার পথের পাথেয় হবে।  আর আমাকে নিয়ে তোমার যা অভিজ্ঞতা তা তোমার বিশ্বপ্রেমিকা জীবনে কাজে লাগবে

Arrival of Islam into Chittagong at the first time Arrival of Islam into Chittagong at the first time Arrival of Islam into Chittagong at the first time





   
                                                                                        

History remains always constant.History goes in his own way.Prophet Mohammed (SM) was born in 570 A.D. and he prophet hooded in 610 A.D.But the reseachers still can’t reach at clear opinion about the time of 1st Arrival of Islam in our sub-continent. Prophet Mohammed (s) applied practical  theories and work policies in world to establish Islam. reasonably, his deciples, all the Sufis and saint’s  adopted the similar policies to spread Islam in Chittagong and in entire Bangladesh and also to build a society run by Islamic values and morals.1 followed by the preceding events, Shaba’s arrival to teach Islam in Chittagong at prophet (S) time has been  documented  though it is very hard to find any book that contains any documented his history regarding the introduction of Muslim and Islam in Chittagong,a few evidences are found in a few literatures  written by tourists, businessmen and  historians.Islam was preached in Chittagong in the beginning of 14th century. Hazarat Badar shah® and other  prominent saints (better known as baro aulia) attested to teach the devine true essence of Islam to the natives. As a result,the number of muslims attested increase everyday. All the social  indisciplined and unrest were  terminated  and a  revolution was expended in social, politician and economical sectors. people started to join Islam in larger groups. Chittagong port became the best port in the sub-continent and the center of businessmen Calcutta and Hooghly port were not introduced yet. The Arabs had had monopoly in business in the East. As the Asian sea route was  unkown to the European,they used to trade thorugh the Arabian. Arab muslim businessmen first landed on Chittagong port. In the beginning of 13th  century.Bakhtiar khilgi invaded nadia and established his capital in Lakhou and  introduced  the muslim reign in Bangladesh. The muslim administration  was  introduced in Chittagong 150 years later the antecedent  event by Fakruddin Mubaraksah (1338-1319) Who  conquered Chittagong at first and introduced Chittagong as a Muslim kingdom. Practically from this time  anwords,Islam was preached in Chittagong.even though  it was primarily introduced  by baktiar kilji in the beginning of 13th century. Due to the  clash with the central government in Delhi..Muslim rules in Bangladesh couldn’t make significant progress has almost hundred years.But the sufis started to come in Bangladesh in the beginning of 14th century It can be said without any doubt,though the arrival of Muslims started from 8th /9th century.Islam was preached  14th century  A competetion was held among the sultan of gowra,the king of thripura and the kingdom of Arkan. After all Chittagong was under Muslims while Hossain sahi was a rular. The sultan of Bangle Gias Uddin mahmod shah was defeated by Share Shah on 1538 A.D. as a result, The king of Arkan possessed the pore of Chittagong. But  he governed the Chittagong by the Muslim governers.sometimes Chittagong was adjusted under Gogra from 1538 century to 1576 century. The Muslims lost a large space of Chittagong after the victory of moguls sumrat  in Bangladesh.At the same time Chittagong was under Arkan kingdom.Though the kings of tripura and mugal Subedar tried to usurp Chittagong.Although about for 100 years Chittagong was under Arkan,The tradition of Muslims remined constant 1666 century was a memorable year in the history of Chiitagong. At the beginning of 1666 century saista khan regained Chittagong and Sumrat Aoerangjeb ordered to saista khan to give the new name (Islamabadh) in liew of Chittagong .From that time to 1760 mir kasem agreed to give up the administrative power of modinipor,bortdaman including Chittagong to the British.Though the first time arrival of muslims in arkan is obscure,it is clear that Arabian businessmen haved the muslims to introduce with the people of Arkan.there was a communication between the muslims and Arabian businessman in duration of mohammad (sm). many researchers claim that the muslims estubnlished a independent cauntry near the bay of bengle in 7th century.then,the Muslim sailors gave up there business and the married the women of arkan to live the locally,It is clear that the communication between the people of Arabian and arkan is ancient and  the muslims lived in arkan in the 7th/8th century

The 12 persons of Awlia came in Chittagong from Bagdad by the way of sea on ending period of 15th century. In the way when being prayers time they were looking in surrounding and they looked on island in at a long distance, they land on the island and completed their prayer. They did not find any residence so they identified the island by name Shwnna Dwip (After long time the island became identified by Sandwip) but famous researcher prof.dr.Abu bakar rafique had some coments about the Arrival of Islam in subcontinent:According to dr.Rafique Muslim businessmen had plahed a vital role,sowal is situated which is 40 k.m par from bombai,ten thousand Muslims lived in sowal,in 916A.D,from that we can imagine Islam Arrived before 916 A.D in subcontinent. Some Muslim businessmen were attacked by    king’s sea robber, in 712 A.D, Mohammad bin kasimfought to sake Muslim businessmen,when mohammad bin kasim was only 17 years old.
                              It is proved from the above discussion that Islam was introduced in this subcontinent in before 7th century

দাওয়ার ক্ষেত্রে ইলেক্ট্রনিক্য্র মিডিয়ার প্রয়োজনীয়তা ও আমাদের মতবাদ


        
 বিচক্ষণ তথ্যনীতি প্রবর্তন তথ্য-প্রযুক্তি আধুনিক জীবনধারায় সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে-এ কথা কারো অজানা নয়। বিশ্বময় শান্তি, শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা ও জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে যেমন এর ভূমিকা অপরিহার্য, তেমনি অশান্তি, নৈরাজ্য ও হতাশ সৃষ্টির ক্ষেত্রেও এর ভূমিকা কম দায়ী নয়। তথ্য-প্রযুক্তির বিস্ময়কর উন্নতি গোটা পৃথিবীকে আজ ‘বিশ্বগ্রামে’ রূপান্তরিত করেছে। আর তাই সাম্রাজ্যবাদী, নোংরা, অসভ্য ধ্যান-ধারণা, চিন্তা-চেতনা বিশ্বায়নের স্বপ্নে বিভোর হয়েছে আমেরিকা ও তার পাশ্চাত্য-বন্ধুরা। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের নেশায় প্রমত্ত হয়ে তারা তথ্য ও সংবাদ মাধ্যমগুলোকে আজ মিথ্যাচারের ভারে আক্রান্ত করে বিশ্বজুড়ে নির্বিঘেœ তথ্য সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে ইসলাম ও মুসলিমবিশ্বের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি একযোগে ইউরোপের পত্র-পত্রিকা, প্রচার মাধ্যমে বিশ্বনবী, মানবতার মুক্তির দূত মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ এই তথ্য সন্ত্রাসের একটি স্পষ্ট উদাহরণ। ইসলাম তথ্যাদির আদান-প্রদান, প্রচার-প্রসারের এমন কিছু নিয়ম-নীতি নির্ধারণ করে দিয়েছে, মুসলিম-অমুসলিম নির্বিশেষে গোটা মানবতার কল্যাণে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য এর কোন বিকল্প নেই। যতদিন পর্যন্ত এগুলোর প্রতি মানুষের মনে শ্রদ্ধবোধ না জাগবে, ততদিন তথ্যপ্রযুক্তি উপকার নয়, মানুষের অপকারেই ব্যবহৃত হবে। নিরাপত্তার বাণী নয়, তা সন্ত্রাসের বাণীই প্রচার করবে। কুরআনে ইরশাদ হয়েছেঃ “হে ঈমানদারগণ, আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের সাথে থাক”-(তাওবাহ:১১৯)। ছহীহ আল বুখারীতে যে দীর্ঘ হাদীসে রাসূল (সাঃ) এ স্বপ্নের বৃত্তান্ত দেয়া হয়েছে, তাতে এক জায়গায় মিথ্যা গুজব বা সংবাদ প্রচারকারীর শাস্তির ব্যাপারে রাসূলে কারীম (সাঃ) বলেনঃ “ এক শায়িত ব্যক্তির কাছে আমরা উপস্থিত হলাম । দেখলাম, এক ব্যক্তি তার পাশে দাঁড়িয়ে লোহার একটি অস্ত্র দিয়ে একবার ডানপাশের চোয়াল ও চোখ একবারে পেছন পর্যন্ত ফেড়ে দিচ্ছে। তারপর যখনই বাম দিকে অনুরূপ ফেড়ে দিচ্ছে, তখন ডাক দিকটা আগের মত স্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে। কিয়ামত পর্যন্ত তাকে এভাবে শাস্তি দেয়া হবে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম: এই ব্যক্তি কে? আমার সঙ্গী ফেরেশতাদ্বয় বললেনঃ সে বাড়ী বাড়ী থেকে বেরিয়ে একটা মিথ্যে গুজব রটিয়ে ছেড়ে দিতো এবং তা চারদিকে ছড়িয়ে পড়তো” আর একটি হাদীসে রাসূল কারীম (সাঃ) বলেনঃ “মু’ মিনের স্বভাবে সব রকমের দোষ থাকা সম্ভব, কিন্তু মিথ্যা ও খেয়ানত থাকা সম্ভব নয়”সংবাদের সত্যতা যাচাই করা, নিছক ধারণার বশবর্তী না হওয়া, কারো প্রতি মিথ্যারোপণ না করাঃ  কুরআনে ইরশাদ হয়েছেঃ হে মু’মিনগণ! কোন ফাসিক তোমাদের কাছে কোন সংবাদ পরিবেশন কবে,তবে তার সত্যতা যাচাই করে নাও। এমন যেন না হয় যে অজ্ঞাতবশত কোন মানবগোষ্টির উপর ঝাঁপিয়ে পড়বে যার কারণে তোমরা নিন্দিত ও লজ্জিত হবে। আল্লাহ পাক পবিত্র কোরআনে অন্য জায়গায় ইরশাদ করেছেন তুমি মানুষকে তোমার প্রতিপালকের দিকে ডাক হিকমত ও সদুপদেশ সহকারে এবং তাহাদের সঙ্গে সদ্ভাবে বিতর্ক কর (নাহল ১২৫) লক্ষনীয় বিষয় হলো এখানে দাওয়াতে ইসলামকে কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে সীমাবদ্ধ না রেখে ব্যাপকভাবে রাখা হয়েছে। এতে দাওয়াতের সব মাধ্যম ও উপকরণ অন্তর্ভুক্ত, সুতরাং এই আয়ত অবলম্বনে এই কথা বলতে দ্বিধা নেই যে বর্তমানে প্রযুক্তির যত ধরণ হতে পারে সব কিছুকে ইসলামের দাওয়াতে ব্যবহার করা সময়ের দাবি। মহানবী (সঃ) এর জমানায় বর্তমান সময়ের মতো প্রেস ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার প্রচলন থাকলে আল্লাহর নবী (সঃ) দীনের প্রচারে মিডিয়াকেই হয়তো উত্তম উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করতেন। কেননা  জনৈক ইসলামী চিন্তাবীদ বলেছেন - তখন যত প্রকার প্রচার পদ্ধতি ছিল তার মধ্যে সর্বোচ্ছ প্রচার পদ্ধতি ছিল কোন বিষয়ে মানুষকে সতর্ক করতে হলে পাহাড়ে উঠে দাওয়াত দেওয়া আর রাসূল (সাঃ) সাফা পাহাড়ে উঠে সে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সুতরাং আমি বলতে চাই দীনের কাজেও দেশ গঠনে মিডিয়ার ব্যবহার ইবাদত ও জিহাদের অন্তর্ভূক্তি। যার সঙ্গে যুক্ত আমাদের সাংবাদিকরা। সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা, দেশ ও সমাজের উন্নয়ন ও বিকাশ সাধন, কুসংস্কার দূর এবং সমাজ দেহ হতে নানা সমস্যা দূর করতে সাংবাদিকতা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। সংবাদ এবং সংবাদপত্র, সাংবাদিক অত্যন্ত নিবিড় বন্ধনে আবদ্ধ এবং একটি ছাড়া আরেকটি অসম্পূর্ণ। এই পেশায় সাফল্য অর্জন করতে হলে মেধার পাশাপাশি সততা, আন্তরিকতা ও নিষ্টার প্রয়োজন সর্বাধিক। সত্যবাদিতা ঈমানের প্রধান শর্ত যেখানে সত্যবাদিতা নেই সেখানে ঈমান নেই। তাই আমি বলতে চাচ্ছি সাংবাদিক ভাইদের অবশ্যই সর্বদা সততা অবলম্বন করতে হবে। কেননা আল্লাহ পাক মহাগ্রন্থ আল কোরআনে বলেছেন তোমরা মিথ্যার সঙ্গে সত্যের মিশ্রণ করোনা এবং জ্ঞানত তোমরা সত্য গোপন করোনসা। সক্রেটিস সম্পর্কে আমরা সবাই জানি, তৎকালীন জালিম শাসকের বিরুদ্ধে কথা বলায় তাকে বিষ খাইয়ে কিংবা ফাঁসি দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হল, তখন তার এক ঘনিষ্ঠজন বলল, আপনাকে বাদশাহ মেরে ফেলবে আপনি দেশ ছেড়ে চলে যান। তখন সেক্রটিস দৃপ্তকণ্ঠে বলল ওটাতো ভীরুতার কাজ প্রয়োজনে মৃত্যুবরণ করবো তবুও মিথ্যার আশ্রয় নেবোনা , এবং শেষ পর্যন্ত সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য সক্রেটিস বিষপান করেছিলেন। আমাদের সাংবাদিক ভাইয়েরা যদি সত্যের আশ্রয় গ্রহণ না করে তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার, সাংবাদিকদের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে যে কোন ঘটনার সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ চিত্র তুলে ধরা। ভুল কিংবা মনগড়া সংবাদ পরিবেশন না করা কিংবা কাউকে অহেতুক সমালোচনা করা পেশাগত নৈতিকতার পরিপন্থি। প্রত্যেক সাংবাদিকদেরকে খেয়াল রাখতে হবে পান্ডিত্য দেখানো তাদের মুখ্য উদ্দেশ্য নয় তাদের মৌলিক উদ্দেশ্য হল মানবতা ও সৃষ্টির সেবা করা, মনে রাখতে হবে সাংবাদিকগণ জাতির বিবেক, একজন সাংবাদিকের লেখনীর সামনে কখনো অন্যায় প্রতিষ্ঠিত হতে পারেনা। অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, দেশে এক শ্রেণীর সাংবাদিক বিশেষ মহলের নেক নজরের আশায় অনেক সময় পত্র-পত্রিকায় ভুল তথ্য দিচ্ছেন বা বিশেষ মহলের পক্ষে অন্যায়ভাবে সাফাই গাইছেন। অথচ এর প্রভাব পড়ছে সাধারণ জনগণের উপর। অথচ সাংবাদিক ও কলামিষ্টদের সকল ক্ষেত্রে দায়িত্ব নিরপেক্ষ হতে হবে। আদর্শচ্যুত সাংবাদিক জাতিকে বিভ্রান্ত করে। আরেকটি দুঃখজনক দিক হলো রাসূলের যুগে মিডিয়াকে যথাযথ ব্যবহার করা হলেও বর্তমানে মিডিয়াকে ইসলামের দাওয়াতে ব্যবহার করা হচ্ছে না। প্রেস মিডিয়ার ইসলামী সভ্যতার কিছুটা প্রভাব থাকলেও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় নেই বললেই চলে, অথচ ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া বর্তমান যুগের অন্যতম একটি শক্তিশালি মাধ্যম। অথচ টিভির মাধ্যমে নিউজ মিনিটের মধ্যেই দর্শককে জানিয়ে দেয়া হয়। দৈনিক পত্রিকায় একটি কলামের মাধ্যমে হাজারো লোককে আকৃষ্ট করা হয়। যেটা ব্যক্তিগত উদ্যোগ কখনো সম্ভব নয়। ব্যাপারটি যদি এমন  হতো যে, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কিছু সদস্য থাকবেন যারা দ্বীনের কথা বলবেন, ইসলামকে সুন্দর উপস্থাপনায় যুক্তি ও তথ্যবহুল আলোচনার মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলবেন তাহলে ওই নির্দিষ্ট সময়টুকু ইসলামের কাজে ব্যবহার হতো। তবে বর্তমানে আলহামদুলিল্লাহ ইসলামিক টিভি ইসলামের দাওয়াতের ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে যা বাংলাদেশে আরো অনেক আগে হওয়া উচিৎ ছিল। কিন্তু এ কথা দিবালোকের মতো সত্য যে বামপন্থীরা যে রকম প্রভাব বিস্তার করছে তাদের তুলনায় আমরা অনেক অনেক পিছিয়ে। টিভিতে অশ্লীলতা আর বেহায়াপনা ছাড়া আর কিছু নেই এই ফতোয়া দিয়ে যদি আমরা পিছে চলে আসি তাহলে দেখা যাবে কিছুদিন পর এই বাংলাদেশে নিজেকে মুসলমান হিসেবে পরিচয় দেওয়াটা কষ্টকর হবে। কাবা চত্বরে মহানবী (সঃ) কিছু সময় দ্বীনের  প্রচার করতেন কিন্তু সেখানে কাফেররা তারচেয়ে অনেকগুণ বেশি মূর্তির গুণগান প্রচার করতো। রাসূল (সঃ) মূর্তি পূজার দুর্গন্ধের কারণে কাবা চত্বরকে উপেক্ষা করে যাওয়াতে ইসলামের সুমহান কাজ থেকে নিবৃত্ত হননি। নির্দিষ্ট একটা  সময় পর্যন্ত এভাবেই কাজ চলছে এক সময় কাবা চত্বর মূর্তি মুক্ত হলো। আর যদি মহানবী (সঃ) মূর্তি দেখে কাবা চত্বর ফেলে চলে আসতেন তাহলে কি হতো? সুতরাং আজকে যদি ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় কোরআন হাদীসে পারদর্শী কিছু যোগ্য আলেম থাকতেন তারা তো অন্তত এটুকু করতে পারতেন যে, ইসলামে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ব্যাপারে টিভির পর্দায় মানুষদের সামনে তুলে ধরে দিতে। তাহলে মানুষ বিভ্রান্তি থেকে পরিত্রাণ পেতো, মিডিয়ার নিজস্ব কোন শক্তি নেই ইসলামের ক্ষতি করার। কারণ তা একটি যন্ত্র মাত্র। মিডিয়াকে যারা চালায় আমরা যদি তাদের চালাতে পারি বা মিডিয়া জগতে যারা বিচরণ করে আমরাও যদি তাদের পাশে বিচরণ করি তাহলে নিঃসন্ধেহে আমাদের টিভি চ্যানেল সমূহ ইসলামাইজ হয়ে যাবে। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি তখন বিটিভ, এনটিভি, এটিভি, এটিএন বাংলা, আরটিভি,চ্যাণেল ওয়ানসহ সব টিভি চ্যানেল হয়ে যাবে মরদ মোজাহিদ। তাই আমি পরিশেষে বলতে চাই বর্তমান যুগ মিডিয়ার যুগ সে জন্য ইসলামের দাওয়াতের ক্ষেত্রে একে কাজে লাগানো বর্তমান সময়ের  অপরিহার্য দাবি। ইন্টারনেট, ওয়েবসাইট, ই-মেইল প্রিন্টমিডিয়া ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া প্রভৃতির সাহায্য ইসলামের সৌন্দর্য ও সৌরভকে পৌঁছে দিতে হবে বিশ্বের আনাচে-কানাচে। দাওয়াতের কর্মকৌশল নির্ধারণ হয়ে পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনা করে, ইসলাম চির সত্য ও চির সুবজ একটি ধর্ম। তাই এই যুগের প্রেক্ষাপটে বাস্তবতার নিরিখে ইসলামের প্রচার-প্রসারের মাত্রা নিরুপণ করা একান্ত প্রয়োজন। ইসলামি ভাব ধারার টিভি চ্যানেল গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবী। আদর্শ ও নৈতিকতার মাধ্যমে সমাজে পরিবর্তন আনতে হবে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াকে অবশ্যই কাজে লাগাতে হবে। ইহুদী খ্রীষ্টানরা ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে যে হারে তাদের অসভ্য সংস্কৃতি ও সভ্যতাকে বিশ্বের দরবারে পৌছে দিয়েছে, তারা আকাশ সংস্কৃতির মাধ্যমে সমাজকে দেশকে যেভাবে গ্রাস করেছে তার মোকাবিলার জন্য প্রয়োজন ধর্ম ও নৈতিকতার অনুকূলে টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাণ করা। যেখান থেকে সুষ্ঠু বিনোদন নৈতিক শিক্ষা ও চারিত্রিক মূল্যবোধ উদ্বুদ্ধ করা হবে। এক কথায় ইলেক্টনিক্য্র মিডিয়াকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে ইসলামের অনুপম আদর্শ তুলে ধরতে হবে বিশ্বের দরবারে। তাহলেই দাওয়াত ও তাবলীগের কাজে যথাযথভাবে পালন হবে। -

পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে নানা কথা



   
যখন আমি কোন কাজে যাওয়ার জন্য রাস্তায বের হই তখন সবচেযে বেশি অনুভব করি সময়ের মূল্যটা। কেননা যানজটটা আমাদের বাংলাদেশে নিত্যদিনের ব্যাপার।  শত অনিচ্ছা থাকা সত্তেও আমাদেরকে তা মেনে নিতে হচ্ছে। কারন এটা আমাদের জাতীয় সমস্যা।  শত জরুরী কাজ থাকার পরও আমাদেরকে ঘন্টার পর ঘন্টা রাস্তার মাঝখানে অপেক্ষা করতে হয় ।  ছোট কাল থেকে আব্বু আমাকে একটা কথা বারবার বলে আসছে- সময় আর নদীর স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করেনা। সময়ের চেয়ে মুল্যবান আর কিছুই নেই,( সময়ের ব্যাপারে আমার আব্বু খুবই সিরিয়াস)।  একবার বয়ে গেলে তা আর ফিরে আসেনা কোনদিন। এরপরও আমাদের জীবনে সময়ের অপচয় কিন্তু  যথেষ্ট।  কখনো জেনে শুনে আবর কখনো বাধ্য হয়ে সময় অপচয় করছি। হাজরো অনিচ্ছা থাকার পরও আমরা এই নিরুপায় থেকে বাচঁতে পরছিনা।  এমন কিছু সময় আমাদের প্রত্যেকের জীবনে রয়েছে সেখানে অবশ্যই সময়ের অপচয় করতে হবে।  তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য এবং বহুল আলোচিত হলো আমাদের ছাত্রজীবনে সেশনজট। এই সেশনজটের মোকাবিলা করতে হয়না এমন ছাত্র পাওয়া যাবে বলে আমার মনে হয়না।  বিশেষ করে যারা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে তাদেরকে এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে নিঃসন্দেহে। আর পক্ষান্তরে সেশনজট শব্দটা কল্পনাও করা যায়না সেটা হলো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়।  আমরা উচ্চ শিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আসি কিন্তু সেখান থেকে কখন বের হবো এর কোন নিশ্চয়তা নেই।  একটা বড় ধরনের সময় হাতে নিয়ে আমাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে হচ্ছে।  একসাথে দুইজন ছাত্র যদি একজন পাবলিকে আরেকজন প্রাইভেটে ভর্তি হয় তাহলে দেখা যাবে যখন প্রাইভেটের ছাত্রটা মাস্টার্স কমপ্লিট করলো তখন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রটা সেকেন্ড কিংবা থার্ড ইয়ারের চেয়ে বেশি এগুতে পারেনি।   এইরকম শত-সহস্র ছাত্র-ছাত্রি আটকে যাচ্ছে এই সেশনজটের নিষ্টুর নিরুপায় আবর্তে। হতাশ হয়ে যাচ্ছে মা-বাবা। ছেলে-মেয়ের বিয়ের বয়স পর্যন্ত চলে যাচ্ছে কিন্তু এখনো পর্যন্ত লেখাপড়া শেষ হয়নি। সামাজিক ও রাষ্ট্রিয় জীবনে জটিলতা। অর্থনীতিবীদরা বলেছেন তাদের কথা। রাজনীতিবীদরা আদায় করেছেন তাদের অধিকার আর এই অধিকার আদাযে কতো ভংচুর কতো হরতাল আরো কতো কি। এইভাবে নানা আন্দোলন সহ বিভিন্ন সমস্যার কারনে আমরা আটকে পড়ি সেশনজটে।  সম্প্রতি   দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হয়েছে  বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশনজটের নানা করুন কাহিনী। ১- ঢাবিতে সেশন জট সাড়ে তিনঃ গড় আড়াই বছর। ০২Ñ চবিতে দেড় থেকে তিন বছর গড়ে সোয়া দুই বছর।০৩-শাবিতে দেড় থেকে তিবছর গড়ে আড়াই বছর। ০৪- রাবিতে প্রায় দুই বছর ০৫- জাবিতে প্রায় চার বছর ০৬। ইসবিতে দেড় থকে তিন বছর। ০৭-জগন্নাথে দেড় থেকে দুই বছর। ০৮- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সাড়ে তিন বছর।  পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে আসন সংখ্যা আরো বাড়াতে হবে এবং গুনসম্মত আরো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্টা করা প্রয়োজন্। কেননা উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুমিকা অনস্বিকার্য। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে বড় ভুমিকা রাখছে।  আমি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় মেধাবীদের জন্য আশির্বাদ বলে মনে করি। অবশ্যই এই প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যাতে বানিজ্যমুখি না হয় এবং ইচ্ছেমতো ছাত্রদের কাছ থেকে টাকা নিতে না পারে সেদিকে অবশ্যই সরকারকে আন্তরিক হতে হবে। অনুমোদন দিয়েই সরকারের দায়িত্ব শেষ নয়। কেননা অনেক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় দেখা যায় একটা বাড়ী বাড়া করে শুরু করে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় বাণিজ্য। তাছাড়া আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রদের তুলনায় আসন সংখ্যা খুবই সীমিত। যেমন। ০১-জা-বিতে চারটি অনুষদে ২৫ টি বিভাগে মোট আসন সংখ্যা ১২৮৩টি। ০২-চবিতে ৩৪ টি বিভাগে২৪০০ আসন মাত্র। ই-বিতে৩২০টি বিভাগে আসন সংখ্যা ১২২০ টি। শাবিপ্রবি-তে ১০টি বিভাগে আসন সংখ্যা ১২৫০টি। ৫-খু-বিতে ১৬ টি বিভাগে আসন সংখ্যা ৬০০। ৬- রাবিতে ৩৩৫০টি।৭- বুয়েটে ৮৮৬টি এবং দেশের বর্তমান মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয় ২০৬০ শিক্ষার্থীকে। ছাত্রদের জন্য সবচেয়ে বড় অভিশাপ বলে আমি মনে করি যে পরীক্ষার রেজাল্ট বের হবার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে কাস শুরু হতে একটা বছর চলে যায় অনর্থক। রেজাল্ট বের হবার পর পর ভর্তি শুরু হলে সমস্যা কোথায় আমি জানিনা। এই বিষয়ে আমি সবচেয়ে বেশি দোষারুপ করবো সরকারের অনিচ্ছাকে। অনেকে আবার কোচিং বানিজ্যর ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য পত্রিকায় লেখালেখি করে আসছে  কিন্তু আমি বলবো রেজাল্ট বের হবার পর পর ভর্তিপরীক্ষা হয়ে গেলে কোচিং বানিজ্য এমনিতে বন্ধ হয়ে যাবে। তবে বর্তমান সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে সংস্কারের ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। অতি শীঘ্রই তা বাস্তবায়ন হোক এটাই আমার কাম্য।

উপহার হিসেবে বই শ্রেষ্ঠ

Central library-International Islamic University Chittagong

                                           
পড় তোমার প্রভুর নামে যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন। মহানবী (সাঃ) এর উপর নাযিলকৃত পবিত্র কোরআন পাকের প্রথম আয়াতেই আল্লাহ পাক মানব জাতিকে পড়ার প্রতি আদেশ দিয়েছেন। মানুষের যাবতীয় শিক্ষার মুল উৎস স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামীন। সৃষ্টিজগৎ ও সৌরজগতের সবকিছুর বিবরন বই পুস্তকে লিপিবদ্ধ। এই বই হলো বিশ্বমানবের জন্য একটি মানচিত্রসদৃশ।বই পড়ে সৃষ্টিজগতের সব রহস্য এবং আল্লাহর নির্দেশনাবালির পরিচয় জানা যায়। পৃথিবীর সব জ্ঞানের ভান্ডার হলো বই। এত রয়েছে মানব জাতির ইতিকথা ও জ্ঞানের প্রদর্শন। বই মানব জীবনের এক হিতৈষী বন্ধু এবং জীবনসঙ্গি। মানুষ একা একা বসে থাকতে পারেনা। অবসরে পড়াশুনা করলে বই তখন তার সঙ্গে মনের কথা বলে। বই ধর্মভীরু মানুষকে সৎ পথ দেখায়। জীবনকে উন্নতির উচ্চশিখরে পৌছে দেয়। পৃথিবীর উন্নতি সাধনে ্টাধুনিক জগতের প্রচার-প্রসারে এবং মানুষের মরনব্যাধির প্রতিরোধে,জীবনদানের ব্যাপারে ওষুধপত্র আবিষ্কারের বাহন হচ্ছে মহামুল্য বই। দুনিয়ায় যারা মরেও অমর হয়ে আছেন,সেই সব মহামানব,ধর্মীয় নেতা,জ্ঞানী-গুণীজন,কবি-সাহিত্যিক-সাংবাদিক,বৈজ্ঞানিক সবাইকে এই বইয়ের মাধ্যমে আয়নাস্বরুপ দেখা যায়। জ্ঞান- বিজ্ঞানের চর্চা মানুষকে মহৎপ্রাণ করে তোলে, চিত্তকে মুক্তি দেয়  এবং মানবাত্বকে জীবনবোধে বিকশিত করে। বিভিন্ন বষিয়ে সুশৃংখল ও পুর্ণাঙ্গ জ্ঞানঅর্জন এবং পরিপূর্ণ মানসিক পশান্তি লাভ করতে হলে অবশ্যই বই পড়ার বিকল্প নেই। উপহার হিসেবেও কিন্তু বইয়ের বিকল্প নেই। বলতে গেলে বই উপহার হিসেবে শ্রেষ্ঠ। তাই প্রিয়জনকে উপহার দাও হয় একটি ভাল বই না হয় একটি গোলাপ। তবে গোলাপের চেয়ে বইখানা অনেক দামি, কেননা গোলাপের সৌন্দর্য ক্ষনস্থায়ী পক্ষান্তরে বইখানা অনন্ত যৌবনা ও চিরস্থায়ী যদি তেমন বই হয়। বই মানুষের মনের ভাব প্রকাশের মিডিয়া তথা মাধ্যম। বই মানুষের মুক্ত চিন্তার প্রতীক। বই প্রকাশের মাধ্যমে লেখককুল তাদের মনের সুপ্ত প্রতিভা চিন্তা-ভাবনা- কল্পনার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে থাকেন। বইকে নিয়ে যে কোন স্থানে যাওয়া যায। তাই বলা যায় বই মানুষের নিত্যসঙ্গি। বই-এ নিহিত থাকে একজন লেখকের হৃদয়ে লালিত স্বপ্নের প্রকৃত নির্যাস। বই ছাড়া একজন মানুষ কখনো জ্ঞানী হতে পারেনা। জ্ঞানী হতে হলে অবশ্যই প্রচুর বই পড়তে হবে।একজন লেখক তার তৃতীয় নয়নের মারফতে নিজের চিন্তা -চেতনা -বাস্তব অনুভুতি কল্পনার নব দিগন্ত উন্মোচিত করে বই প্রকাশের মধ্য দিয়ে। সুতরাং বইকে ভালবাসেনা এমন লোক পৃথিবীতে পাওয়া অসম্ভব। অচেনাকে চিনতে অজানাকে জানতে মনোরাজ্যকে পুর্ন বিকশিত করতে হৃদয়ের দর্পনকে প্রসারিত করতে বই সবচে বেশি ভুমিকা রাখে।  একটি বইয়ে লেখক লিপিবদ্ধ করেন তার দীর্ঘ জীবনের অভিজ্ঞতার ফসল এবং অর্জিত সাধনার বাস্তব প্রতিচ্ছবি। কেননা কোন কিছু সাধারন মানুষ দেখা আর লেখকের দেখার মধ্য রয়েছে অনেক ব্যবধান। যেহেতু লেখকের রয়েছে তৃতীয় নয়ন আর তৃতীয় নয়নের মারফতে লেখক অবলোকন করে তা বিচার বিশে¬ষন গভীর গবেষনা ব্যাপক পর্যালোচনা করে সরু কলমের ডগায় প্রকাশ করে থাকেন। হয়তো এই জন্যই ডেল কার্নেগী বলেছেন-বই মানুষের সর্বশ্রেষ্ট ক্লোরোফর্ম বই পেিেমক মাত্রই মার্জিত রুচির লোক। যারা বইয়ের সাথে আত্মিয়তা গড়তে পেরেছে তারা নিজেদের মাঝে এক ভুবন সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে। আন্তর্র্জাতিক  খ্যাতিমান ব্যাক্তিত্ব বার্ট্রান্ড রাসেল  বলেছেন সংসারের জ্বালা যন্ত্রনা এড়াবার প্রধান উপায় হচ্ছে মনের ভিতর আপন ভুবন সৃষ্টি করা এবং বিপদ কালে এর ভিতর ডুব দেওয়া। যে যতো বেশি ভুবন সৃষ্টি করতে পারে ভাবযন্ত্রনা এড়াবার ক্ষমতা তার ততো বেশি হয়। বই পড়ে দেশ ভ্রমন করা যায় কিন্তু সাধারনত দেশ ভ্রমন করার ক্ষমতা তথা আর্থিক সামর্থ সবার থাকেনা । কাজেই শেষ পর্যন্ত বাকি থাকে বই। ওমর খৈয়াম যথার্থই বলেছেনÑ  ঐবৎব রিঃয ধ ষড়ড়ভ ড়ভ নৎবধফ নবহবধঃয ঃযব নড়ঁময. অ ভষধংশ ড়ভ রিহব. অ নড়ড়শ ড়ভ াবৎংব ধহফ ঃযড়ঁ. ইবংরফব সু ংরহমরহম রহ ঃযব রিষফবৎহবংং ধহফ  রিষফবৎহবংং রং ঢ়ধৎধফরংব বহড়.ি  জাতিয় কবি নজরুল ইসলাম ঠিক এই ভাবে অনুবাদ করেছেন এক সুরাহি সুরা দিও , একটু রুটির ছিলকি আর প্রিয়া সাকি তার সাথে একখানি কবিতার বই, জীর্ন আমার জীবন জুড়ে রইবে প্রিয়া আমার সাথে , এই যদি পায় চাইবো নাকো তখত শাহান শা’র । অতএব এই মুহুর্তে আমাদের প্রয়োজন ব্যাক্তিগত কিংবা সমাজিক ভাবে পাঠাগার গড়ে তোলা। কেননা পাঠগার অফরুন্ত জ্ঞানের ভান্ডার। জ্ঞান আহরনের মধ্য দিয়ে মানুষ প্রকৃত মনুষত্যবোধে উদ্দীপ্ত হয়ে ইঠে। দু চোখে আমরা সারা বিশ্ব অবলোকন করতে অক্ষম কিন্তু পাঠাগারে বসে আমরা বিশ্ব বৈচিত্রের সাথে পরিচিত হতে পারি। জ্ঞানের রাজ্য যেখানে প্রস্বফুটিত মনুষত্য সেখানে উদ্ভাসিত, আর এই জ্ঞানের একমাত্র অবলম্বন হলো বই তথা পাঠাগার। বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন দেহের চিকিৎসার জন্য যেমন হাসপাতাল প্রয়োজন তেমনি মানসিক প্রশান্তির জন্য পাঠাগার প্রয়োজন কারন পাঠাগার অতীত ও বর্তমানের মধ্য যোগসুত্র স্থাপনের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। যুগান্তকালের মনিষিদের চিন্তা ভাবনা আশা আকাংখা পাঠাগারের গ্রন্থরাজির কালো অক্ষরের বাধ বাধনে পড়ে আছে। ঠিক যেমনি হিমালয়ের চূড়ায় জমাট বাধা বরফের মধ্য  বন্যার প্রচন্ডতা লুকিয়ে আসে। এক কথায় অবহেলিত সমাজকে সুশিল সমাজে পরিনত করতে পাঠাগারের বিকল্প নেই। প্রথিবীতে জ্ঞান বিকাশ ও অনুশীলনের ক্ষেত্রে পাঠগারের ভুমিক অনস্বিকার্য। আর এই পাঠাগার প্রতিষ্ট করা ইসলামি সভ্যতারও একটি অভিচ্ছেদ্য অংশ । বিশ্বনবী মহানবী (সাঃ) বলেছেন -তোমার দোলনা হতে কবর পর্যন্ত জ্ঞান অর্জন কর, জ্ঞান অর্জন করার জন্য প্রয়োজনে চীন দেশে যাও। সুতরাং আসুন আমরা ব্যাক্তিগত কিংবা সামাজিক পাঠাগার গড়ে তুলি আমরা একটু সচেতন হলেই আমাদের আশেপাশে অনেক পাঠগার গড়ে তুলতে পারবো জ্ঞানের আলোয় সমাজকে আলোকিত করতে পারবো। আতএব আসুন আমরা বেশি বেশি বই পড়ি প্রিয়জনকে বই উপহার দিই বই হোক নিত্যসঙ্গি পাঠাগার হোক অবসরের স্থান।পারবারিক সামাজিক অনুষ্ঠানাদিতে চোখ ধাধানো সামগ্রীর পরিবর্তে বই উপহার দেয়া, প্রতিমাসে অন্তত একটি বই কেনার এবং বই পড়ার আন্দেলন সমাজের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে দিতে হবে। সভ্যতার বিকাশে বইয়ের ভুমকা অপরিসীম। একটি যুক্তিবাদী অগ্রসরমান ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলার জন্য বই হলো এক অপরিহার্য উপাদান। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ জনক হলেও দিবালোকের মত সত্য যে আজকাল পারিবারিক ও সামাজিক অনুষ্ঠনাদিতে বই উপহার দেয়ার রেওয়াজ নাই বললেই চলে। আমাদের উৎসব অনুষ্ঠান ও দৈনন্দিন জীবনে উপহারের ক্ষেত্রে বই হোক প্রথম নির্বাচন। উপহারের ক্ষেত্রে বইয়ের শ্রেষ্টত্ব ও মুল্য কারো পক্ষেই অস্বীকারের উপায় নেই।  আমাদের প্রতিদিনের জীবনে বই যদি উপহার হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠে।  তাহলে এই দুর্ভাগ্য সমাজে বই এর কাড়তি যেমন বাড়বে অন্যদিকে বইয়ের প্রতি সচেতনতা ও মনোযোগও বাড়বে।  দুঃখ জনক হলো অভিজাত মহলে বর্ণাঢ্য উৎসব অনুষ্টানে উপহার হিসেবে বই এখনো উপেক্ষা ও তাচ্ছিল্যের বস্তু। রঙ-বেরঙের মুল্যবান উপহারের সারিতে বই যেন অনেবখানি দ্বিধাকম্পিত ও শংকাকুল। কারন বর্তমানে সামাজিক অনুষ্টােন উপহারেরে মান ও মুল্য দিয়েই অতিথির সামাজিক মর্যাদা নির্র্নিত হয়। ফলে সেখানে বই উপহার হিসেবে অনেকটা নি®প্রভ ও ম্রিয়মান। এই ম্রিয়মানতার লজ্জা আসলে উপহার প্রদানকারী অতিথীকেও বহন করতে হয়। ব্যক্তি সমাজ জীবনে উপহারের ক্ষেত্রে এই মানসিক দৈন্য না ঘুচলে উপহার হিসেবে বইয়ের জনপিয়তা ও গুরুত্ব বাড়ানো সম্ভব কম। কাই উপহারের ক্ষেত্রে বইকে জনপ্রিয় করতে হলে  সর্বাগ্রে এই মনোভাব ও দৃষ্টিভঙ্গিরই পরিবর্তন সাধন করতে হবে। না হলে বই উপহার দেয়া ও কিনার  আহবান কেবল আহবানই থেকে যাবে। উপহার হিসেবে বইয়ের মর্যাদা কম নয় বরং অন্য বস্তুর চেয়ে বেশি তাই আগে উপলদ্ধি করা প্রয়োজন। উপহারের বৈষয়িক মুল্য না দেখে এর সার্বিক গুনুগুন বিচার করলে দেখা যাবে উপহারের সাথে øেহ, প্রিতী, ভালবাসা  ও হৃদয়ের যে সম্পর্ক বিদ্যামান বই তারই সর্বশ্রেষ্ট বাহন ও প্রতীক।  কিন্তু এই সমাজে বই হয়ে আছে সবদিক দিয়েই উপেক্ষিত ও  অনাদৃত। গৃহের আসবাবপত্র বইয়ের তুলসায় সুন্দর নয়- এই বিবেচনাও বই সংগ্রহে মানুষকে আগ্রহী করে তুলতে পারে। বলার অপেক্ষা রাখেনা, গ্রন্থের প্রতি এই অনীহা মুলত জ্ঞানের প্রতি আমদের ঊদাসীন্যের স্বক্ষরই তুলে ধরে। আরো অনেক বেশি দুঃখের সাথে বলতে হয় জ্ঞানই এই হতভাগ্য সমাজে সবচেয়ে অসম্মানের বস্তু।  যে সমাজে জ্ঞানকে উপেক্ষা অনাদর করে  তার না আত্মিক না বৈষয়িক কোন দারিদ্রই ঘোচেনা।   দারিদ্র জয় করতে হলেও চাই জ্ঞানের চর্চা ও বিকাশ। বলা- বাহুল্য বই হলো তার শ্রেষ্ট বাহন। প্রগতির পথে এগুতে হলে আমাদেরকেও পাঠ্যভ্যাস বাড়াতে হবে। যে সমাজ বইয়ের প্রতি মুখ ফিরিয়ে থাকে সে সমাজ আসলেই জ্ঞানকেই অবজ্ঞা করে। আমাদের গ্রন্থ বিমুখতার সার্বজনীন অপবাদ তাই আমাদের মানসিক দৈন্যর সত্যতাকেই বড় করে তোলা। প্রকাশনার সংকট, বইয়ের বাজারের হতাশাদীর্ণ চেহারা ও বই প্রকাশকদের অসহায় অবস্থার দিকে তাকালেই বোঝা যায় সামগ্রিক ভাবে দেশে বই কাড়তির চিত্র কতোখানি নৈরাশ্যবেন্জক। বইয়ের ক্ষেত্রে যে করুন অবস্থা চলছে তা দুর করতে হলে অধিক বই কিনা ,বইয়ের গঠন পাঠন বৃদ্ধি, উপহার হিসেবে বইয়ের প্রচলন ও পাঠাগার আন্দেলনকে সক্রিয় ও ব্যাপক ভিত্তিক করে তোলা ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই। একটি আন্দোলন হিসেবে বই পড়াকে সমাজের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে দিতে হবে। মানুষের জ্ঞান-বিজ্ঞান,ধর্ম,দর্শন,অনুরাগ-বিরাগম,আশা-আকাঙ্খা এবং অন্তরের সত্য ও স্বপ্ন-সবকিছুর সমন্বয়েই বিভিন্ন সাহিত্যের জন্ম। অন্যান্য শাস্তের চেয়ে সাহিত্যই এসবের পরিপূর্ণতা দিতে সক্ষম। এ জন্য বেশি বেশি বই পুস্তক অধ্যযন করতে হবে। বই পড়া ছাড়া শিক্ষা,সাহিত্য,সংস্কৃতিচর্চার অন্য কোন উপায় নেই। বই পড়ার নির্মল আনন্দ মানুষের মনে পুষ্টি জোগায়,তার ভেতরকার সুকুমার বৃত্তিগুলোকে প্রস্ফুটিত করে তোলে। রাসূল্লাহ (সাঃ) বলেছেন যে-মানুষ যখন মৃত্যু বরন করে, তখন তার সব আমল বন্ধ হযে যায়, কিন্ত তিনটি আমলের সাওয়াব জারি থাকে ০১-সদকাযে জারিয়া০২-এমন বিদ্যা, যা থেকে মানব জাতি লাভবান হয়। এবং ০৩- এমন সুসন্তান যে তার জন্য দোয় করে( মুসলিম)।