যে বোধ মানুষকে পরিশীলিত রাখে অন্যায় অশ্লীল মন্দ ও অনিষ্টকর কথা ও কাজ থেকে বিরত রাখে এবং সৎ কাজের দিকে পরিচালিত করে সেটাই তাকওয়া। কোন অন্যায় কাজ করার সময় যদি শুধুমাত্র এই কথায় মনে পড়ে যে, আমাকে এই পাপের জন্য আল্লাহর কারছ জবাবদিহী করতে হবে এবং সে কাজ না করে ফিরে আসে তবেই সে তাকওয়াবান। তাই মানুষের জীবনকে সুন্দর ও সাফল্যময় করে তোলার জন্য তাকওয়ার প্রভাব সুদূরপ্রসারী। রঈসুল মুফাসসিরীন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন তাকওয়া হচ্ছে আল্লাহর শাস্তির ভয়ে তার নিষেধাজ্ঞাগুলি থেকে বিরত থাকা এবং তার দয়া ও রহমতের আশা নিয়ে বেচে থাকা। একদা হযরত ওমর ফারুক (রাঃ) কে ইবনে কাব (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেন আপনি কি কখনো কন্টকাকীর্ণ পথে চলেছেন। ওমর বললেন হ্যা। ইবনে কাব (রাঃ) বললেন তখন আপনি কি পন্থা অবলম্বন করেছেন। ওমর বললেন আমি সতর্ক হয়ে কাপড় গুটিয়ে নিয়েছি। কাব বললেন এটাই হচ্ছে তাকওয়া। আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাঃ বলেন তাকওয়া হচ্ছে যে কারো তুলনায় নিজেকে বড় মনে না করা তথা অহংকার না করা। আরবের এক কবি বলেছেন ছোট বড় সব পাপ ছাড় এটাই তাকওয়া। কারণ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কাকর থেকে পাহাড়ের সৃষ্টি। কাজি নাসির উদ্দীন বায়জাবি তার বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ বায়জাবিতে বলেছেন তাকওয়ার তিনটি স্তর রয়েছে ০১- জাহান্নামের ভয়ে শিরক হতে নিজেকে রক্ষা করা।০২- ছোট বড় সব গুনাহ থেকে নিজেকে বাচিয়ে রাখ্ ০৩-হক বা সত্য হতে দূরে রাখে কিংবা গাফিল করে এমন সব কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখা। সবাইকে এই কথা মনে রাখা দরকার যে আমাদের আসল ঠিকানা হলো কবর।নিশ্চয় প্রতিদিন কবর এই কথা বলে থাকে আমি পান্থনিবাস,আসি নির্জন কুটির, আমি মাটির ঘর,আমি কীট পতঙ্গের আস্তানা যখন কোন মু’মিন বান্দাকে কবরে শায়িত রাখা হয় কবর বলে তোমাকে স্বাগতম সম্ভাষন। আমার উপর (যমীনের উপর)বিচরন কারীদের মধ্যে তুমিই আমার নিকট সবচেয়ে বেশি প্রিয় ছিলে। আজ যখন তোমাকে আমার অীধনে ছেড়ে দেয়া হয়েছে তুমি দেখতে পাবে আমি তোমার সাথে কতো ভাল আচরন করি। মহাগ্রন্থ আল কুরআনের সূরা মুমিনের শুরতে আলাহ পাক সফল মু’মিনদের গুনাবালির কথা বলেছন। তারা(মু’মিনরা) চিড়তার সাথে নামায আদায় করেছে। অযথা কথাবার্তা থেকে বিরত থেকেছে। যাকাত আদায় করেছে। এবং লজ্জস্থানকে হেফাযত করেছে(স্ত্রী ও দাসীদের বেলায় ভীন্ন কথা) অনুরূপভাবে রাসুল (সাঃ) আমাদের সাথে ওয়াদাবদ্ধ। তিনি বলেছেন তোমরা আমাকে জিহবা(কথাবার্তা)ও লজ্জাস্থানের (যৌনক্ষুধার) গ্যারান্টি দাও আমি তোমাদেরকে বেহেশ্তের গ্যারান্টি দেব। আল্লাহ পাক বলেছেন তিনি কোন বান্দার অবস্থার পরিবর্তন করেন না যতক্ষন্ না মানবজাতি নিজে নিজের অবস্থার পরিবর্তন না করে(রাদ আয়াত ১১)
মঙ্গলবার, ৫ মার্চ, ২০১৩
পরকালের জন্য চাই খোদাভীতি
যে বোধ মানুষকে পরিশীলিত রাখে অন্যায় অশ্লীল মন্দ ও অনিষ্টকর কথা ও কাজ থেকে বিরত রাখে এবং সৎ কাজের দিকে পরিচালিত করে সেটাই তাকওয়া। কোন অন্যায় কাজ করার সময় যদি শুধুমাত্র এই কথায় মনে পড়ে যে, আমাকে এই পাপের জন্য আল্লাহর কারছ জবাবদিহী করতে হবে এবং সে কাজ না করে ফিরে আসে তবেই সে তাকওয়াবান। তাই মানুষের জীবনকে সুন্দর ও সাফল্যময় করে তোলার জন্য তাকওয়ার প্রভাব সুদূরপ্রসারী। রঈসুল মুফাসসিরীন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন তাকওয়া হচ্ছে আল্লাহর শাস্তির ভয়ে তার নিষেধাজ্ঞাগুলি থেকে বিরত থাকা এবং তার দয়া ও রহমতের আশা নিয়ে বেচে থাকা। একদা হযরত ওমর ফারুক (রাঃ) কে ইবনে কাব (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেন আপনি কি কখনো কন্টকাকীর্ণ পথে চলেছেন। ওমর বললেন হ্যা। ইবনে কাব (রাঃ) বললেন তখন আপনি কি পন্থা অবলম্বন করেছেন। ওমর বললেন আমি সতর্ক হয়ে কাপড় গুটিয়ে নিয়েছি। কাব বললেন এটাই হচ্ছে তাকওয়া। আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাঃ বলেন তাকওয়া হচ্ছে যে কারো তুলনায় নিজেকে বড় মনে না করা তথা অহংকার না করা। আরবের এক কবি বলেছেন ছোট বড় সব পাপ ছাড় এটাই তাকওয়া। কারণ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কাকর থেকে পাহাড়ের সৃষ্টি। কাজি নাসির উদ্দীন বায়জাবি তার বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ বায়জাবিতে বলেছেন তাকওয়ার তিনটি স্তর রয়েছে ০১- জাহান্নামের ভয়ে শিরক হতে নিজেকে রক্ষা করা।০২- ছোট বড় সব গুনাহ থেকে নিজেকে বাচিয়ে রাখ্ ০৩-হক বা সত্য হতে দূরে রাখে কিংবা গাফিল করে এমন সব কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখা। সবাইকে এই কথা মনে রাখা দরকার যে আমাদের আসল ঠিকানা হলো কবর।নিশ্চয় প্রতিদিন কবর এই কথা বলে থাকে আমি পান্থনিবাস,আসি নির্জন কুটির, আমি মাটির ঘর,আমি কীট পতঙ্গের আস্তানা যখন কোন মু’মিন বান্দাকে কবরে শায়িত রাখা হয় কবর বলে তোমাকে স্বাগতম সম্ভাষন। আমার উপর (যমীনের উপর)বিচরন কারীদের মধ্যে তুমিই আমার নিকট সবচেয়ে বেশি প্রিয় ছিলে। আজ যখন তোমাকে আমার অীধনে ছেড়ে দেয়া হয়েছে তুমি দেখতে পাবে আমি তোমার সাথে কতো ভাল আচরন করি। মহাগ্রন্থ আল কুরআনের সূরা মুমিনের শুরতে আলাহ পাক সফল মু’মিনদের গুনাবালির কথা বলেছন। তারা(মু’মিনরা) চিড়তার সাথে নামায আদায় করেছে। অযথা কথাবার্তা থেকে বিরত থেকেছে। যাকাত আদায় করেছে। এবং লজ্জস্থানকে হেফাযত করেছে(স্ত্রী ও দাসীদের বেলায় ভীন্ন কথা) অনুরূপভাবে রাসুল (সাঃ) আমাদের সাথে ওয়াদাবদ্ধ। তিনি বলেছেন তোমরা আমাকে জিহবা(কথাবার্তা)ও লজ্জাস্থানের (যৌনক্ষুধার) গ্যারান্টি দাও আমি তোমাদেরকে বেহেশ্তের গ্যারান্টি দেব। আল্লাহ পাক বলেছেন তিনি কোন বান্দার অবস্থার পরিবর্তন করেন না যতক্ষন্ না মানবজাতি নিজে নিজের অবস্থার পরিবর্তন না করে(রাদ আয়াত ১১)
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন