ইসলাম থেকে যাবতীয় উপজীব্য গ্রহন করেও পাশ্চাত্য নিজেকে ইসলামীকরন করেনি অথচ ইসলামী ভিত্তি ধ্বসিেেয় দিয়ে পাশ্চাত্যায়ন করা হচ্ছে। বর্তমানে পাশ্চাত্য সংস্কৃতি চর্চা করা এক ধরনের আধুনিকায়নে পরিনত হয়ে গেছে। প্রতি বছর ১৪ ই ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশ সহ গোটা বিশ্বে পালিত হয় ওয়ার্ল্ড ভ্যালান্টাইন’স ডে বা বিশ্ব ভালবাসা দিবস। এ দিবসকে কেন্দ্র করে যে সব আপত্তিকর ও অনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালিত হয় তা কেবল লজ্জাজনক নয় বরং আমাদের জাতীয় সংস্কৃতির প্রতি উপহাসের নামান্তর। দিন দিন উঠতি বয়সের তরূণ-তরূণীরা ভালবাসা দিবসের নামে বিজাতীয় সংস্কৃতির গড্ডালিকা প্রবাহে যেভাবে গা ভাসিয়ে দিচ্ছে তাতে রীতিমত শিউরে উঠার মতো অবস্থা। উত্তারাধিকার ঐতিহ্য সমৃদ্ধ আমাদের সংস্কৃতির মর্যাদাকে যে কোন মূল্যে রক্ষা করতে হবে। সাংস্কৃতির অবক্ষয় রোধে যুব সমাজের সচেতন অংশকে এগিয়ে আসতে হবে। যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তির ভাবনায় উন্নয়ন ও সভ্যতার ধারাবাহিকতায় বর্তমান পৃথিবী বিশ্বগ্রাম (এষড়নধষ ারষষধমব) -এ পরিনত হয়েছে। পৃথিবীর এক প্রান্তের মানুষ অপর প্রান্তের মানুষের সাথে আদান-প্রদান করছে নিজস্ব সংস্কৃতি, শিক্ষা ও আচার আচরন। বিজ্ঞানের অভূতপুর্ব উন্নতি সাধিত হওয়ায় পৃথিবীকে মানুষ ঘরে বসে দেখা ও জানার সুযোগ পাচ্ছে। সভ্যতার চরম উৎকর্ষ ঘটেছে আজকের পৃথিবীতে। কিন্তু এতসব সত্তেও সেথায় এমন কিছু ঘটনা ঘটে চলছে যা কখনই সভ্যতার বহিঃপ্রকাশ হতে পারেনা। আজ জগতময় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড যে ভয়াবহ রুপ ধারন করছে । তা আইয়ামে জাহিলিয়াকে হার মানায়। এ উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে বিশ্ব শান্তি ও ইসলামের ভুমিকাকে বিশ্লে¬ষন করা সময়ের অপরিহার্য দাবি হয়ে উঠেছে। কারন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে ইসলাম ও মুসলমানদের কথা বার বার উচ্চারিত হচ্ছে। বিশ্বের কোথাও কোন সন্ত্রাসী অপকর্ম সংঘটিত হলে তাৎক্ষনিক ভাবে মুসলমানকে দোষারুপ করা হচ্ছে নির্বিচারে। এ কথা দিবালোকের মতো সত্য যে, মহান স্রষ্টা আল¬াহ তা’ আলা প্রদত্ত সুষ্ঠ ও সুনির্ধারিত বিধি- বিধানের নামই হচ্ছে ইসলাম। ইসলাম তাওহীদ একাত্ববাদ বা পরম সত্যতত্ত্বভিত্তিক জীবনদর্শন, জন্ম হতে মৃত্যু পর্যন্ত মানব জীবনের সার্বিক সমষ্টিক কর্মপদ্ধতি। ইসলাম শাশ্বত, সর্বাত্বক, বিশ্বজনীন ও পুর্ণাঙ্গ পথ নির্দেশনা। ইসলামের মূল লক্ষ্যে হলো। মহান স্রষ্টার নিরংকুষ আনুগত্য ও তার আইনের কাছে নিঃশ্বর্ত আত্বসমর্পনের মাধ্যমে ০১-ইহলৌকিক ও পারলৌকিক সফলতা ও সমৃদ্ধি অর্জন করা।০২-বিশ্বময় শান্তি, শৃংখলা স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ট করা। ০৩- পৃথিবী থেকে সন্ত্রাস অরাজকতা নৈরাজ্য হানাহানি দ্বন্দ সংঘাত বিদুরিত করা।০৪-মুসলিম-অমুসলিম নর-নারী নির্বিশেষে সকল মানুষের অধিকার নিশ্চিত করা। ০৫- বিশ্ব মানব ভ্রাতৃত্ব সাম্য ঐক্য ও সংহতি প্রতিষ্টা করে সামপ্রদায়িকতা ও বর্ণবৈষিম্য নিশ্চিহ্ন করা। পক্ষান্তরে সন্ত্রাস - হত্যা ও ধ্বংসলীলার মাধ্যমে মানুষের শান্তি শৃংখলা ও স্থিতিশীলতা । মানব সমাজে ছড়িয়ে দেয় হিংসা, হানাহানি নৈরাজ্য । নৈতিকতায় ডেকে আনে সর্বগ্রাসী ঢল। তাই আমরা বলতে পারি, আলো ও অন্ধকার যেমন একত্রে অবস্থান করতে পারেনা ইসলাম ও সন্ত্রাস একসাথে চলতে পারেনা। এতদুভয়ের মধ্যে রয়েছে যোজন যোজন দুরত্ব। কিন্তু তবুও ইতিহাসের নির্মম বাস্তবতা হলো এ পৃথিবীর কিছু সম্প্রদায় ইসলামের জিহাদ ও সন্ত্রাসবাদকে এক করার হীন প্রচেস্টায় মত্ত আছেন। ওরা ইসলামকে এ পৃথিবীর বুক থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার জন্য নানা ধরনের নতুন নতুন ষড়যন্ত্র করেন। তারা বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে আমাদের যুব সমাজকে নিয়ে যাচ্ছে দিন দিন ধ্বংশের দিকে। কেননা যৌবন প্রান চঞ্চল্য ভরপুর এক শ্বাশত প্রবাহ, যৌবন শক্তি দেশ কাল জাতি ও ধর্মের ঊর্ধ্বে, যৌবন মানব জীবনের অমূল্য সম্পদ। জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম তারুন্যর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেছেন-আমরা সকল দেশের সকল জাতির সকল ধর্মের আমরা মুরিদ যৌবনের। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ জনক হলেও সত্য যে বর্তমান যুব সমাজের দিকে তাকালে দেখতে পাবো সম্পুর্ন বিপরীত আচরন। বর্তমানে অধিকাংশ যুবকই অসমাজিক কাজে লিপ্ত। তাদের আচরনে সমাজের সবাই নিত্য নতুন বিপদের সম্মুখীন হচ্ছে। সমাজের শত সমস্যার মাঝে তারাও একটি জলন্ত সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। তাদের আচার আচরনে সমাজের সবাই বিরক্ত ও অসন্তুষ্ট এমনকি কেউ কেউ দারুন অশান্তিতে জ্বলছে। আমরা সবাই কল্যান চাই সমাজে শান্তি চাই শৃংখলা চাই। কিন্তু প্রশ্ন হলো যুব সমাজ কেন সমাজ বিরোধী হয়ে যায়। সমাজের উন্নয়নে দেশের রাজনৈতিক কাঠামো রুপায়নে যুবকদের যে একটা বিশেষ ভুমিকা আছে তা কেউ অস্বীকার করতে পারবেনা। কোন শিশু মায়ের গর্ব থেকে দুনিয়াতে আসার সাথে সাথে সমাজ বিরোধী হয়না। যে কোন শিশু সুন্দরের প্রতীক। কিন্তু সে নিষ্পাপ শিশু যুবকে পরিনত হতে না হতে সমাজের জন্য আশির্বাদ না হয়ে অভিশাপ হচ্ছে কেন? দেশ ক্রমশ উন্নতির দিকে যাচ্ছে দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে রাস্তা ঘাট তৈরি হচ্ছে যানবাহন বৃদ্ধি পাচ্ছে, স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রভৃতি বিজ্ঞানের অবদানে মানুষের জীবন যাত্রার মান অনেক উন্নতি হয়েছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু তাতে কি গনমানুষের তথা যুব সমাজের নৈতিক চরিত্রের কোন উন্নতি হয়েছে? উন্নতি হয়নি বরং অবনতি হয়েছে অনেক অনেক বেশি । যুব সমাজের চরিত্রের অবনতি বর্তমান সমাজের বিপদ জন্য একটা বড় সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। আমরা সাধারনত দেশের উন্নতি বলতে দালান কোঠা পাকা রাস্তা ঘাট স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় গাড়ি বাড়ি ইত্যাদি বুঝি। আসলে দেশের উন্নতি বলতে দেশের মানুষের নৈতিক চরিত্র ভাল হতে হবে। আর চরিত্র ভাল হলে সব কিছু এর পিছনে চলে আসবে। কেননা মানুষের চরিত্র জন্ত জানোয়ারের মতো হলে সে দেশ হয়ে যায় হিংস্র হায়েনার আবাসভূমি। বিশ্বে যে সব স্থানে অশান্তির আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে তা অর্থনৈতিক কারনে নয়,খাদ্যর অভাবে নয় একমাত্র মানুষের নৈতিক চরিত্রের অভাবে। প্রকৃত পক্ষে যুব সমজই দেশ ও জাতির শক্তির উৎস। যুব সমাজ চরিত্রবান সুশৃংখল ও সুসংঘটিত হলে দেশে কল্যান ও শান্তির ক্রমধারা প্রবাহিত হতে থাকে। আমাদের দেশের কর্ণধাররা যুগ যুগ যাবৎ কল্যান ও শান্তির জন্য চিৎকার করে করে আসছেন । কত কি ভেঙ্গেছেন কত কি গড়েছেন । কিন্তু মানুষের নৈতিক চরিত্র গঠনের জন্য কি কোন পদক্ষেপ নিয়েছেন? বরং নৈতিক চরিত্র ধ্বংসের সব আয়োজন করে যাচ্ছেন ধাপে ধাপে। যুব সমাজের নৈতিক চরিত্র গঠন করতে হলে তাদের চরিত্র ধ্বংশের জন্য দেশে বর্তমান যা চালু আছে সে গুলো আগে দুর করতে হবে এবং তার চরিত্র গঠনের উপযোগী ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। বাংলাদেশ একটি মুসলিম শাসিত দেশ হওয়ার পরও বাংলাদেশের কালচার সম্পুর্ন পাশ্চত্যকে অনুসরন করছে। এর মধ্যে অন্যতম একটি হলো ভ্যালেন্টাইন ডে। ভ্যালেন্টাইন ডে এর ইতিহাস থেকে যতটুকু উপলদ্ধি করা হচ্ছে তা কি কোন মুসলিম সংস্কৃতির মধ্যে পড়ে? যদি না পড়ে তাহলে কেন মুসলিম যুবক-যুবতিরা বিদেশী সংস্কৃতিতে গা ভাসিয়ে দিয়েই হৈ-হল্লে¬াড় করছে। তা কি একবারও ভেবে দেখার প্রয়োজন নেই। ১৪ ই ফেব্র“য়ারী তথাকথিত ভ্যালেন্টাইন ডে উদযাপন করা হয়। গত কয়েক বছর ধরে এ বিজাতীয় নোংরা,অশ্ল¬ীল অপসংস্কৃতি বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে রুপ দেয়ার অপচেষ্টা চলছে। আর এ অপচেষ্টার গোলকধাধার আবর্তে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে আমাদের দেশের তরুন-তরুণীরা। বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তর মুসলিম রাষ্ট্র। আর এ মুসলিম দেশের মানুষ এর ঈমান- আক্বীদা তাহযীব-তমাদ্দুন ধ্বংস করে দেয়ার জন্য নানামুখী ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। আমরা সবাই জানি একটি জাতিকে ধ্বংস করার জন্য সর্বপ্রথম ধ্বংস করা হয় সে দেশের সংস্কৃতিকে। তাইতো সেই ষড়নন্ত্রর অংশ হিসেবে ভালবাসা দিবসের নামে কিছু স্বার্থন্বেষী মহল এ দেশের আমদানি করে কথিত ভালবাসা দিবস। আর সে ষড়যন্ত্রের শিকার মুসলিম তরুণ-তরুণীরা। তরূণ সমাজ হলো দেশের প্রাণ। আর এই প্রাণকে যদি অকালেই শেষ করা যায় তাহলে সেই সভ্যতা কলুষিত করার জন্য ভালবাসার মতো একটি পবিত্র জিনিসকে তাদের কাছে বিকৃতভাবে উপাস্থাপন করা হচ্ছে। আজ তাদের কাছে মনে হচ্ছে ভালবাসা মানে দু’জন তরূণ-তরূণী নিজেদের একান্তে পাওয়া, মনের মিলনের চেয়ে দেহের মিলনকে প্রধান্য দেওয়া হয়। অথচ ভালবাসার সংজ্ঞা এমন নয়। ভালবাসার নাম আনুষ্টানিকতা নয়,নয় বেহায়াপনা কিংবা যুবক-যুবতীর অবাধ মেলামেশা। ভালবাসা খুবই পবিত্র জিনিস। সৃষ্টি জগতের প্রতিটি বস্তুতেই ভালবাসার উপাদান রয়েছে এবং এ ভালবাসার টানেই পৃথিবী এগিয়ে চলছে সামনের দিকে। আমার মনে হয় যেন মানুষের জীবনের লক্ষ্যে যেন শুধু এটাই। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো বর্তমানে সর্বত্র ভালবাসার নামে লজ্জা হীনতার পাগল গোড়া। অসৎ সাহিত্য সিনেমা, নাটকে ক্লাবে ও হোটেল, রোস্তারায় বয়ে চলছে ভালবাসা নামের লজ্জাহীনতার বাধভাঙ্গা জোয়ার। আর এই দিবসে যৌন উন্মাদনায় মেতে উঠে তরূণ সমাজ। এক কথায় বলা যেতে পারে অশ¬ীলতা আর বেহায়াপনায় ভরপুর এই ভ্যালাইন্টাইন ডে। ১৪ ই ফেব্র“য়ারী মুসলিম ইতিহাসে এক কলঙ্খজনক অধ্যায় সৃষ্টি করেছে। মুসলিম যুব সমাজেকে নিশ্চিত ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিতে এ দেশেসর্বপ্রথম একটি সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ভ্যালেন্টাইন ডে এর সূচনা করে। যদিও এর পূর্বে পাশ্চত্যেও অন্যান্য দেশগুলোতে তার অনুপ্রবেশ ছিল। কিন্তু বাংলাদেশে ৭/৮ বছর ধরে এই ভালবাসা দিবস উদযাপিত হতে শুরু করে।সময়ের আবর্তনে বদলে গেছে কথিত ভালবাসার সংজ্ঞা। তাইতো এখন ভালবাসা মানে মনে হয় শুধু দৈহিক সম্পর্ক। বিশ্বনবী মোহাম্মদ(সাঃ) স্পষ্টভবে ঘোষনা করেছেন লজ্জা ঈমানের অঙ্গ। লজ্জা ও ঈমান একই সূতোয় গাথা। এর একটি উন্নত হলে অপরটিও উন্নত হবে। আর যখন একটি তিরোহীত হয় অন্যটিও তিরোহিত হয়ে যায় ( মিশকাত) মানব জীবনে যতগুলো গুনের সমাবেশ ঘটা সম্ভব তার মাঝে লজ্জাশীলতা থাকলে সে সৎ কর্মশীল হয় এবং লজ্জার দ্বারাই সফলতা অর্জিত হয়। চলমান দুনিয়ায় যে সকল সমাজে সমকামিতা বৈধ, যেখানে কুমারি মায়েদের জন্য হাসপাতাল খোলা আছে।যেখানে কুমারিত্ব হরণকে পরম পূন্য বলে মনে করা হয় তারাইতো ঢাকঢোল পিটিয়ে ইথার সমুদ্রে প্রভোন্জনক তুলে বিশ্ব ভালবাসা দিবসের গোড়াপত্তন করেছে। সুতরাং মুসলিম মিল্ল¬াতের উচিৎ ঈমান ও আমলকে হেফাযত রাখা এবং ধর্মনাশী সংস্কৃতির খপ্পর হতে নিজেকে পরিবার, সমাজ, জাতিকে মুক্ত ও পবিত্র রাখা। এ জন্য প্রত্যেক মুমিন মুসলমানদের উচিৎ ভালবাসার নামে লজ্জাহীনতা, উলঙ্গপনা ও অপসংস্কৃতির পাগলা ঘোড়ার বিরূদ্ধে রূখে দাড়ানো। তা না হলে নির্জ্জলতার আবর্তে ঈমানের জ্যোতি হারিয়ে যাওয়ার পর যা অবশিষ্ট থাকবে তাকে সত্যিকার ঈমানী জিন্দেগী বলা যাবেনা। এখনই যদি ইউরোপ-আমেরিকার আবিস্কৃত তথাকথিত ভ্যালান্টাইন ডে গ্রাস থেকে যুব সমাজকে বাচানো না যায় তাহলে এসিড নিক্ষেপের মতো ঘটনা এমনিতো বৃদ্ধি পেয়েছে তা আরো দ্বিগুন হারে বৃদ্ধি পাবে। সংস্কুতি হলো জাতির নিজস্ব পরিচয়। যার মাধ্যমে একটি জাতিকে অন্য সব জাতি থেকে আলাদা করা যায়। কিন্তু আমরা বারবারই অমুসলিমদের সংস্কৃতিতে গা ভাসিয়ে নিজেদের সংস্কৃতি ভুলতে বসেছি। যার কারণে ভ্যালা›আইন ডে, থার্টি ফাস্ট নাইট, কনসার্ট ইত্যাদির মাধ্যমে অপসংস্কৃতি চর্চা করে যাচ্ছি। মোট কথা হলো সংস্কৃতির নাম দিয়ে আমরা যা চর্চা করে চলছি তা সম্পূর্ন বিজাতীয় অপসংস্কৃতি মাত্র। এহেন নৈতিকতা বিবর্জিত কাজ থেকে সরে দাড়াতে না পারলে সমাজকাঠামো ভেঙ্গে চৌচির হয়ে যাবে। যা ঠেকানো আমাদের দ্বারা কখনো সম্ভব হবেনা। অতএব একটি মুসলিম দেশ হিসেবে এহন অপকর্ম রূখতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করতে না পারলে খুব শীঘ্রই সমকামি ও ফ্রি সেক্রের শ্লে¬াগান উঠবে। এই ভয়াবহতাকে রূখে দিতে হবে। অপসংস্কৃতির করাল গ্রাস থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে ঈমান আমলকে হেফাযত করা যাবেনা। আর ঈমান ও আমলকে হেফাযত করতে না পারলে নিজেকে মুসলমান হিসেবে পরিচয় দেওয়াটা বৃথা হবে। তাই সচেতন ব্যাক্তি বর্গ ও অভিভাবক মহলকে ভ্যালান্টাইন ডে এর কুফল সম্পর্কে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে একযোগে কাজ করতে হবে এবং পাশাপাশি ধর্মীয় বিধান পর্দার প্রতি সবাই যেন উদ্ধুদ্ধ হয় সে লক্ষ্যে রাষ্ট্রিয় বিধান পাস করে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
সোমবার, ৪ মার্চ, ২০১৩
ভ্যালান্টাইন’স ডে : ওয়েস্টার্ন কালচারকে না বলুন
ইসলাম থেকে যাবতীয় উপজীব্য গ্রহন করেও পাশ্চাত্য নিজেকে ইসলামীকরন করেনি অথচ ইসলামী ভিত্তি ধ্বসিেেয় দিয়ে পাশ্চাত্যায়ন করা হচ্ছে। বর্তমানে পাশ্চাত্য সংস্কৃতি চর্চা করা এক ধরনের আধুনিকায়নে পরিনত হয়ে গেছে। প্রতি বছর ১৪ ই ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশ সহ গোটা বিশ্বে পালিত হয় ওয়ার্ল্ড ভ্যালান্টাইন’স ডে বা বিশ্ব ভালবাসা দিবস। এ দিবসকে কেন্দ্র করে যে সব আপত্তিকর ও অনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালিত হয় তা কেবল লজ্জাজনক নয় বরং আমাদের জাতীয় সংস্কৃতির প্রতি উপহাসের নামান্তর। দিন দিন উঠতি বয়সের তরূণ-তরূণীরা ভালবাসা দিবসের নামে বিজাতীয় সংস্কৃতির গড্ডালিকা প্রবাহে যেভাবে গা ভাসিয়ে দিচ্ছে তাতে রীতিমত শিউরে উঠার মতো অবস্থা। উত্তারাধিকার ঐতিহ্য সমৃদ্ধ আমাদের সংস্কৃতির মর্যাদাকে যে কোন মূল্যে রক্ষা করতে হবে। সাংস্কৃতির অবক্ষয় রোধে যুব সমাজের সচেতন অংশকে এগিয়ে আসতে হবে। যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তির ভাবনায় উন্নয়ন ও সভ্যতার ধারাবাহিকতায় বর্তমান পৃথিবী বিশ্বগ্রাম (এষড়নধষ ারষষধমব) -এ পরিনত হয়েছে। পৃথিবীর এক প্রান্তের মানুষ অপর প্রান্তের মানুষের সাথে আদান-প্রদান করছে নিজস্ব সংস্কৃতি, শিক্ষা ও আচার আচরন। বিজ্ঞানের অভূতপুর্ব উন্নতি সাধিত হওয়ায় পৃথিবীকে মানুষ ঘরে বসে দেখা ও জানার সুযোগ পাচ্ছে। সভ্যতার চরম উৎকর্ষ ঘটেছে আজকের পৃথিবীতে। কিন্তু এতসব সত্তেও সেথায় এমন কিছু ঘটনা ঘটে চলছে যা কখনই সভ্যতার বহিঃপ্রকাশ হতে পারেনা। আজ জগতময় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড যে ভয়াবহ রুপ ধারন করছে । তা আইয়ামে জাহিলিয়াকে হার মানায়। এ উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে বিশ্ব শান্তি ও ইসলামের ভুমিকাকে বিশ্লে¬ষন করা সময়ের অপরিহার্য দাবি হয়ে উঠেছে। কারন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে ইসলাম ও মুসলমানদের কথা বার বার উচ্চারিত হচ্ছে। বিশ্বের কোথাও কোন সন্ত্রাসী অপকর্ম সংঘটিত হলে তাৎক্ষনিক ভাবে মুসলমানকে দোষারুপ করা হচ্ছে নির্বিচারে। এ কথা দিবালোকের মতো সত্য যে, মহান স্রষ্টা আল¬াহ তা’ আলা প্রদত্ত সুষ্ঠ ও সুনির্ধারিত বিধি- বিধানের নামই হচ্ছে ইসলাম। ইসলাম তাওহীদ একাত্ববাদ বা পরম সত্যতত্ত্বভিত্তিক জীবনদর্শন, জন্ম হতে মৃত্যু পর্যন্ত মানব জীবনের সার্বিক সমষ্টিক কর্মপদ্ধতি। ইসলাম শাশ্বত, সর্বাত্বক, বিশ্বজনীন ও পুর্ণাঙ্গ পথ নির্দেশনা। ইসলামের মূল লক্ষ্যে হলো। মহান স্রষ্টার নিরংকুষ আনুগত্য ও তার আইনের কাছে নিঃশ্বর্ত আত্বসমর্পনের মাধ্যমে ০১-ইহলৌকিক ও পারলৌকিক সফলতা ও সমৃদ্ধি অর্জন করা।০২-বিশ্বময় শান্তি, শৃংখলা স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ট করা। ০৩- পৃথিবী থেকে সন্ত্রাস অরাজকতা নৈরাজ্য হানাহানি দ্বন্দ সংঘাত বিদুরিত করা।০৪-মুসলিম-অমুসলিম নর-নারী নির্বিশেষে সকল মানুষের অধিকার নিশ্চিত করা। ০৫- বিশ্ব মানব ভ্রাতৃত্ব সাম্য ঐক্য ও সংহতি প্রতিষ্টা করে সামপ্রদায়িকতা ও বর্ণবৈষিম্য নিশ্চিহ্ন করা। পক্ষান্তরে সন্ত্রাস - হত্যা ও ধ্বংসলীলার মাধ্যমে মানুষের শান্তি শৃংখলা ও স্থিতিশীলতা । মানব সমাজে ছড়িয়ে দেয় হিংসা, হানাহানি নৈরাজ্য । নৈতিকতায় ডেকে আনে সর্বগ্রাসী ঢল। তাই আমরা বলতে পারি, আলো ও অন্ধকার যেমন একত্রে অবস্থান করতে পারেনা ইসলাম ও সন্ত্রাস একসাথে চলতে পারেনা। এতদুভয়ের মধ্যে রয়েছে যোজন যোজন দুরত্ব। কিন্তু তবুও ইতিহাসের নির্মম বাস্তবতা হলো এ পৃথিবীর কিছু সম্প্রদায় ইসলামের জিহাদ ও সন্ত্রাসবাদকে এক করার হীন প্রচেস্টায় মত্ত আছেন। ওরা ইসলামকে এ পৃথিবীর বুক থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার জন্য নানা ধরনের নতুন নতুন ষড়যন্ত্র করেন। তারা বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে আমাদের যুব সমাজকে নিয়ে যাচ্ছে দিন দিন ধ্বংশের দিকে। কেননা যৌবন প্রান চঞ্চল্য ভরপুর এক শ্বাশত প্রবাহ, যৌবন শক্তি দেশ কাল জাতি ও ধর্মের ঊর্ধ্বে, যৌবন মানব জীবনের অমূল্য সম্পদ। জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম তারুন্যর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেছেন-আমরা সকল দেশের সকল জাতির সকল ধর্মের আমরা মুরিদ যৌবনের। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ জনক হলেও সত্য যে বর্তমান যুব সমাজের দিকে তাকালে দেখতে পাবো সম্পুর্ন বিপরীত আচরন। বর্তমানে অধিকাংশ যুবকই অসমাজিক কাজে লিপ্ত। তাদের আচরনে সমাজের সবাই নিত্য নতুন বিপদের সম্মুখীন হচ্ছে। সমাজের শত সমস্যার মাঝে তারাও একটি জলন্ত সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। তাদের আচার আচরনে সমাজের সবাই বিরক্ত ও অসন্তুষ্ট এমনকি কেউ কেউ দারুন অশান্তিতে জ্বলছে। আমরা সবাই কল্যান চাই সমাজে শান্তি চাই শৃংখলা চাই। কিন্তু প্রশ্ন হলো যুব সমাজ কেন সমাজ বিরোধী হয়ে যায়। সমাজের উন্নয়নে দেশের রাজনৈতিক কাঠামো রুপায়নে যুবকদের যে একটা বিশেষ ভুমিকা আছে তা কেউ অস্বীকার করতে পারবেনা। কোন শিশু মায়ের গর্ব থেকে দুনিয়াতে আসার সাথে সাথে সমাজ বিরোধী হয়না। যে কোন শিশু সুন্দরের প্রতীক। কিন্তু সে নিষ্পাপ শিশু যুবকে পরিনত হতে না হতে সমাজের জন্য আশির্বাদ না হয়ে অভিশাপ হচ্ছে কেন? দেশ ক্রমশ উন্নতির দিকে যাচ্ছে দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে রাস্তা ঘাট তৈরি হচ্ছে যানবাহন বৃদ্ধি পাচ্ছে, স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রভৃতি বিজ্ঞানের অবদানে মানুষের জীবন যাত্রার মান অনেক উন্নতি হয়েছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু তাতে কি গনমানুষের তথা যুব সমাজের নৈতিক চরিত্রের কোন উন্নতি হয়েছে? উন্নতি হয়নি বরং অবনতি হয়েছে অনেক অনেক বেশি । যুব সমাজের চরিত্রের অবনতি বর্তমান সমাজের বিপদ জন্য একটা বড় সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। আমরা সাধারনত দেশের উন্নতি বলতে দালান কোঠা পাকা রাস্তা ঘাট স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় গাড়ি বাড়ি ইত্যাদি বুঝি। আসলে দেশের উন্নতি বলতে দেশের মানুষের নৈতিক চরিত্র ভাল হতে হবে। আর চরিত্র ভাল হলে সব কিছু এর পিছনে চলে আসবে। কেননা মানুষের চরিত্র জন্ত জানোয়ারের মতো হলে সে দেশ হয়ে যায় হিংস্র হায়েনার আবাসভূমি। বিশ্বে যে সব স্থানে অশান্তির আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে তা অর্থনৈতিক কারনে নয়,খাদ্যর অভাবে নয় একমাত্র মানুষের নৈতিক চরিত্রের অভাবে। প্রকৃত পক্ষে যুব সমজই দেশ ও জাতির শক্তির উৎস। যুব সমাজ চরিত্রবান সুশৃংখল ও সুসংঘটিত হলে দেশে কল্যান ও শান্তির ক্রমধারা প্রবাহিত হতে থাকে। আমাদের দেশের কর্ণধাররা যুগ যুগ যাবৎ কল্যান ও শান্তির জন্য চিৎকার করে করে আসছেন । কত কি ভেঙ্গেছেন কত কি গড়েছেন । কিন্তু মানুষের নৈতিক চরিত্র গঠনের জন্য কি কোন পদক্ষেপ নিয়েছেন? বরং নৈতিক চরিত্র ধ্বংসের সব আয়োজন করে যাচ্ছেন ধাপে ধাপে। যুব সমাজের নৈতিক চরিত্র গঠন করতে হলে তাদের চরিত্র ধ্বংশের জন্য দেশে বর্তমান যা চালু আছে সে গুলো আগে দুর করতে হবে এবং তার চরিত্র গঠনের উপযোগী ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। বাংলাদেশ একটি মুসলিম শাসিত দেশ হওয়ার পরও বাংলাদেশের কালচার সম্পুর্ন পাশ্চত্যকে অনুসরন করছে। এর মধ্যে অন্যতম একটি হলো ভ্যালেন্টাইন ডে। ভ্যালেন্টাইন ডে এর ইতিহাস থেকে যতটুকু উপলদ্ধি করা হচ্ছে তা কি কোন মুসলিম সংস্কৃতির মধ্যে পড়ে? যদি না পড়ে তাহলে কেন মুসলিম যুবক-যুবতিরা বিদেশী সংস্কৃতিতে গা ভাসিয়ে দিয়েই হৈ-হল্লে¬াড় করছে। তা কি একবারও ভেবে দেখার প্রয়োজন নেই। ১৪ ই ফেব্র“য়ারী তথাকথিত ভ্যালেন্টাইন ডে উদযাপন করা হয়। গত কয়েক বছর ধরে এ বিজাতীয় নোংরা,অশ্ল¬ীল অপসংস্কৃতি বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে রুপ দেয়ার অপচেষ্টা চলছে। আর এ অপচেষ্টার গোলকধাধার আবর্তে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে আমাদের দেশের তরুন-তরুণীরা। বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তর মুসলিম রাষ্ট্র। আর এ মুসলিম দেশের মানুষ এর ঈমান- আক্বীদা তাহযীব-তমাদ্দুন ধ্বংস করে দেয়ার জন্য নানামুখী ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। আমরা সবাই জানি একটি জাতিকে ধ্বংস করার জন্য সর্বপ্রথম ধ্বংস করা হয় সে দেশের সংস্কৃতিকে। তাইতো সেই ষড়নন্ত্রর অংশ হিসেবে ভালবাসা দিবসের নামে কিছু স্বার্থন্বেষী মহল এ দেশের আমদানি করে কথিত ভালবাসা দিবস। আর সে ষড়যন্ত্রের শিকার মুসলিম তরুণ-তরুণীরা। তরূণ সমাজ হলো দেশের প্রাণ। আর এই প্রাণকে যদি অকালেই শেষ করা যায় তাহলে সেই সভ্যতা কলুষিত করার জন্য ভালবাসার মতো একটি পবিত্র জিনিসকে তাদের কাছে বিকৃতভাবে উপাস্থাপন করা হচ্ছে। আজ তাদের কাছে মনে হচ্ছে ভালবাসা মানে দু’জন তরূণ-তরূণী নিজেদের একান্তে পাওয়া, মনের মিলনের চেয়ে দেহের মিলনকে প্রধান্য দেওয়া হয়। অথচ ভালবাসার সংজ্ঞা এমন নয়। ভালবাসার নাম আনুষ্টানিকতা নয়,নয় বেহায়াপনা কিংবা যুবক-যুবতীর অবাধ মেলামেশা। ভালবাসা খুবই পবিত্র জিনিস। সৃষ্টি জগতের প্রতিটি বস্তুতেই ভালবাসার উপাদান রয়েছে এবং এ ভালবাসার টানেই পৃথিবী এগিয়ে চলছে সামনের দিকে। আমার মনে হয় যেন মানুষের জীবনের লক্ষ্যে যেন শুধু এটাই। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো বর্তমানে সর্বত্র ভালবাসার নামে লজ্জা হীনতার পাগল গোড়া। অসৎ সাহিত্য সিনেমা, নাটকে ক্লাবে ও হোটেল, রোস্তারায় বয়ে চলছে ভালবাসা নামের লজ্জাহীনতার বাধভাঙ্গা জোয়ার। আর এই দিবসে যৌন উন্মাদনায় মেতে উঠে তরূণ সমাজ। এক কথায় বলা যেতে পারে অশ¬ীলতা আর বেহায়াপনায় ভরপুর এই ভ্যালাইন্টাইন ডে। ১৪ ই ফেব্র“য়ারী মুসলিম ইতিহাসে এক কলঙ্খজনক অধ্যায় সৃষ্টি করেছে। মুসলিম যুব সমাজেকে নিশ্চিত ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিতে এ দেশেসর্বপ্রথম একটি সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ভ্যালেন্টাইন ডে এর সূচনা করে। যদিও এর পূর্বে পাশ্চত্যেও অন্যান্য দেশগুলোতে তার অনুপ্রবেশ ছিল। কিন্তু বাংলাদেশে ৭/৮ বছর ধরে এই ভালবাসা দিবস উদযাপিত হতে শুরু করে।সময়ের আবর্তনে বদলে গেছে কথিত ভালবাসার সংজ্ঞা। তাইতো এখন ভালবাসা মানে মনে হয় শুধু দৈহিক সম্পর্ক। বিশ্বনবী মোহাম্মদ(সাঃ) স্পষ্টভবে ঘোষনা করেছেন লজ্জা ঈমানের অঙ্গ। লজ্জা ও ঈমান একই সূতোয় গাথা। এর একটি উন্নত হলে অপরটিও উন্নত হবে। আর যখন একটি তিরোহীত হয় অন্যটিও তিরোহিত হয়ে যায় ( মিশকাত) মানব জীবনে যতগুলো গুনের সমাবেশ ঘটা সম্ভব তার মাঝে লজ্জাশীলতা থাকলে সে সৎ কর্মশীল হয় এবং লজ্জার দ্বারাই সফলতা অর্জিত হয়। চলমান দুনিয়ায় যে সকল সমাজে সমকামিতা বৈধ, যেখানে কুমারি মায়েদের জন্য হাসপাতাল খোলা আছে।যেখানে কুমারিত্ব হরণকে পরম পূন্য বলে মনে করা হয় তারাইতো ঢাকঢোল পিটিয়ে ইথার সমুদ্রে প্রভোন্জনক তুলে বিশ্ব ভালবাসা দিবসের গোড়াপত্তন করেছে। সুতরাং মুসলিম মিল্ল¬াতের উচিৎ ঈমান ও আমলকে হেফাযত রাখা এবং ধর্মনাশী সংস্কৃতির খপ্পর হতে নিজেকে পরিবার, সমাজ, জাতিকে মুক্ত ও পবিত্র রাখা। এ জন্য প্রত্যেক মুমিন মুসলমানদের উচিৎ ভালবাসার নামে লজ্জাহীনতা, উলঙ্গপনা ও অপসংস্কৃতির পাগলা ঘোড়ার বিরূদ্ধে রূখে দাড়ানো। তা না হলে নির্জ্জলতার আবর্তে ঈমানের জ্যোতি হারিয়ে যাওয়ার পর যা অবশিষ্ট থাকবে তাকে সত্যিকার ঈমানী জিন্দেগী বলা যাবেনা। এখনই যদি ইউরোপ-আমেরিকার আবিস্কৃত তথাকথিত ভ্যালান্টাইন ডে গ্রাস থেকে যুব সমাজকে বাচানো না যায় তাহলে এসিড নিক্ষেপের মতো ঘটনা এমনিতো বৃদ্ধি পেয়েছে তা আরো দ্বিগুন হারে বৃদ্ধি পাবে। সংস্কুতি হলো জাতির নিজস্ব পরিচয়। যার মাধ্যমে একটি জাতিকে অন্য সব জাতি থেকে আলাদা করা যায়। কিন্তু আমরা বারবারই অমুসলিমদের সংস্কৃতিতে গা ভাসিয়ে নিজেদের সংস্কৃতি ভুলতে বসেছি। যার কারণে ভ্যালা›আইন ডে, থার্টি ফাস্ট নাইট, কনসার্ট ইত্যাদির মাধ্যমে অপসংস্কৃতি চর্চা করে যাচ্ছি। মোট কথা হলো সংস্কৃতির নাম দিয়ে আমরা যা চর্চা করে চলছি তা সম্পূর্ন বিজাতীয় অপসংস্কৃতি মাত্র। এহেন নৈতিকতা বিবর্জিত কাজ থেকে সরে দাড়াতে না পারলে সমাজকাঠামো ভেঙ্গে চৌচির হয়ে যাবে। যা ঠেকানো আমাদের দ্বারা কখনো সম্ভব হবেনা। অতএব একটি মুসলিম দেশ হিসেবে এহন অপকর্ম রূখতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করতে না পারলে খুব শীঘ্রই সমকামি ও ফ্রি সেক্রের শ্লে¬াগান উঠবে। এই ভয়াবহতাকে রূখে দিতে হবে। অপসংস্কৃতির করাল গ্রাস থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে ঈমান আমলকে হেফাযত করা যাবেনা। আর ঈমান ও আমলকে হেফাযত করতে না পারলে নিজেকে মুসলমান হিসেবে পরিচয় দেওয়াটা বৃথা হবে। তাই সচেতন ব্যাক্তি বর্গ ও অভিভাবক মহলকে ভ্যালান্টাইন ডে এর কুফল সম্পর্কে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে একযোগে কাজ করতে হবে এবং পাশাপাশি ধর্মীয় বিধান পর্দার প্রতি সবাই যেন উদ্ধুদ্ধ হয় সে লক্ষ্যে রাষ্ট্রিয় বিধান পাস করে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন