বর্তমান সরকারের সর্বব্যাপী আওয়ামীকরণ নীতির সুযোগ নিয়ে ইসলামিক
ফাউন্ডেশনের ডিজিও দলবাজি চালিয়ে যাচ্ছেন পুরোদমেই। ইসলামের প্রচার ও
প্রসারের প্রধান দায়িত্ব পালনের ধারেকাছে না গিয়ে তিনি ক্ষমতাসীনদের
তৈলমর্দনের অপকম্মে ব্যস্ত রয়েছেন ন্যক্কারজনকভাবে। দৈনিক আমার দেশ-এর এক
রিপোর্টে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর নিজের এবং তার পিতা মরহুম শেখ
মুজিবুর রহমানের গুণকীর্তনের পাশাপাশি মসজিদের ইমামদের প্রতি সরকারের হাতকে
শক্তিশালী করার নির্দেশ দিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। এ উদ্দেশ্যে দেশের ৬৪ জেলায়
সমাবেশ করেছেন তিনি। উপজেলা পর্যায়ে ফাউন্ডেশনের অধীন রিসোর্স
সেন্টারগুলোকে দিয়ে টেলিভিশন ভাড়া করিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শুনিয়েছেন।
নামাজের সময় হওয়া সত্ত্বেও ইমাম-মুয়াজ্জিনসহ মুসল্লিরা প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ
শুনতে বাধ্য হয়েছেন। কারণ, রিসোর্স সেন্টারগুলো মসজিদের ভেতরে অবস্থিত। এর
ফলে মুসল্লিদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ডিজি সাহেবের
তৈলমর্দনের নীতি ও কর্মকাণ্ডে তাই বলে কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। তিনি বরং ঠিক
একজন আওয়ামী লীগ নেতার ভূমিকা পালন করে চলেছেন। শাহবাগের ইসলামবিদ্বেষী
নাস্তিকদের পক্ষে প্রকাশ্যে অ্বস্থান নেয়ার মাধ্যমেও তিনি নিন্দনীয় উদাহরণ
সৃষ্টি করেছেন। গণজাগরণ মঞ্চের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেই থেমে পড়েননি
তিনি, শাহবাগিদের নির্দেশ অনুযায়ী দেশের ৩৮ হাজার মসজিদে জাতীয় পতাকা তো
উঠিয়েছেনই, জাতীয় সঙ্গীতও পরিবেশন করিয়ে ছেড়েছেন। তার সর্বশেষ তত্পরতা দেখা
গেছে হেফাজতে ইসলামের লংমার্চকে কেন্দ্র করে। হেফাজতের বিরুদ্ধে
ফাউন্ডেশনের অর্থে ২০ লাখ লিফলেট ছাপিয়ে সারা দেশে প্রচারণা চালিয়েছেন এবং
বেছে বেছে ঠিক লংমার্চের দিনটিতেই জেলায় জেলায় ইমাম ও খতিবদের সমন্বয় সভা
অনুষ্ঠানের হুকুম জারি করেছেন তিনি। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মসজিদভিত্তিক যে
গণশিক্ষা কার্যক্রম ফাউন্ডেশন পরিচালনা করে সেগুলোর শিক্ষক-কর্মচারীদের
বেতন দেয়ার জন্যও লংমার্চের দিনটিকেই বেছে নিয়েছিলেন সরকারের এই কীর্তিমান
ডিজি। উদ্দেশ্য ছিল সমন্বয় সভা ও বেতন দেয়ার নামে ইমাম ও খতিবদের যত বেশি
সম্ভব ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের যার-যার এলাকায় আটকে রাখা। বিভিন্ন টেলিভিশন
চ্যানেলের টকশোতে গিয়েও তিনি শাহবাগিদের পক্ষে এবং হেফাজতে ইসলামের
বিরুদ্ধে বক্তৃতা ঝেড়েছেন। তার এই তত্পরতা চলছে দীর্ঘ চার বছর ধরেই।
ক্ষমতাসীনদের তৈলমর্দনের জন্য হেন কোনো কাজ নেই যা তিনি চার বছরে না
করেছেন। ফাউন্ডেশনে তো বটেই, হাজী ক্যাম্পে পর্যন্ত সঙ্গীতের আসর বসিয়েছেন
এই ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ ডিজি। ২০১০ সালের নভেম্বরে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে হাফ
প্যান্ট ও মিনি স্কার্ট পরা মার্কিন তরুণীদের জড়াজড়ি ও ব্যালে নৃত্য উপভোগ
করেছেন। তাদের সঙ্গে সাগ্রহে হাত মিলিয়েছেন, উচ্ছ্বসিত আবেগে মার্কিন
তরুণীদের জড়িয়ে ধরেছেন। প্রশ্ন ও আপত্তির জবাবে বলেছেন, ওটা নাকি ঠিক
ব্যালে নৃত্য ছিল না, ছিল সুইং ডান্স! ইসলামিক ফাউন্ডেশন যে কোনো ধরনের
নাচেরই আসর বসাতে পারে না, সে কথাটা দিব্যি পাশ কাটিয়ে গেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, সরকারের অনুগ্রহে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজি হলেও চাকরির
অবস্থানগত দিক থেকে তিনি একজন জেলা ও দায়রা জজ। সে হিসেবে প্রজাতন্ত্রের
একজন কর্মচারী।
বলার অপেক্ষা রাখে না, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে শুধু নয়, বিশেষ করে ইসলামিক ফাউন্ডশনের মতো মূলত ইসলামকেন্দ্রিক একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের ডিজি হিসেবেও এ ধরনের কর্মকাণ্ডে তিনি জড়িত থাকতে পারেন না। নাচের আসর বসানোর মতো কর্মকাণ্ডে তো নয়ই। অন্যদিকে ইসলামের প্রচার ও প্রসারের মূল দায়িত্বে দিব্যি ফাঁকি দিয়ে তিনি শুধু সরকারের সেবাদাসের ভূমিকাই পালন করছেন না, অনেক ক্ষেত্রে সরাসরি ইসলামবিরোধী অবস্থানেও চলে গেছেন। নাস্তিক শাহবাগিদের পক্ষে এবং লংমার্চসহ হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচির বিরুদ্ধে তিনি যেভাবে ভূমিকা পালন করেছেন তা কোনোক্রমেই সমর্থনযোগ্য হতে পারে না। মাত্র কিছুদিন আগে তার নির্দেশে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের গেটে তালা লাগানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সাড়ে তিন কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। ক্ষমতাসীনদের রাজনৈতিক স্বার্থ উদ্ধার করে দেয়ার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থের অপচয়ও করেছেন তিনি। হাজী ক্যাম্প ও ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমির মতো ধর্মীয় স্থানগুলোতে নৃত্য ও সঙ্গীতের আসর বসানোর পাশাপাশি সর্বাত্মকভাবেই তিনি বহু অন্যায় করেছেন। ইসলামের দৃষ্টিতে বড় ধরনের গুনাহ করেছেন। সব মিলিয়েই আমরা মনে করি না যে, অমন একজন সেবাদাসের ইসলামিক ফাউন্ডশনের মতো রাষ্ট্রীয় একটি প্রতিষ্ঠানের ডিজির পদে বহাল থাকার কোনো অধিকার থাকতে পারে। আমরা তাই তার আশু অপসারণ দাবি করছি। জেলা ও দায়রা জজের পদেও তাকে ফিরিয়ে নেয়া চলবে না। কারণ, সেখানেও তিনি সরকারের এজেন্ডাই বাস্তবায়ন করবেন, সরকারের হুকুমই তামিল করবেন। যার ফলে দেশের বিচার বিভাগও ক্রমাগত কলঙ্কিত হতে থাকবে।(দৈনিক আমার দেশ থেকে সংকলিত)
বলার অপেক্ষা রাখে না, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে শুধু নয়, বিশেষ করে ইসলামিক ফাউন্ডশনের মতো মূলত ইসলামকেন্দ্রিক একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের ডিজি হিসেবেও এ ধরনের কর্মকাণ্ডে তিনি জড়িত থাকতে পারেন না। নাচের আসর বসানোর মতো কর্মকাণ্ডে তো নয়ই। অন্যদিকে ইসলামের প্রচার ও প্রসারের মূল দায়িত্বে দিব্যি ফাঁকি দিয়ে তিনি শুধু সরকারের সেবাদাসের ভূমিকাই পালন করছেন না, অনেক ক্ষেত্রে সরাসরি ইসলামবিরোধী অবস্থানেও চলে গেছেন। নাস্তিক শাহবাগিদের পক্ষে এবং লংমার্চসহ হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচির বিরুদ্ধে তিনি যেভাবে ভূমিকা পালন করেছেন তা কোনোক্রমেই সমর্থনযোগ্য হতে পারে না। মাত্র কিছুদিন আগে তার নির্দেশে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের গেটে তালা লাগানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সাড়ে তিন কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। ক্ষমতাসীনদের রাজনৈতিক স্বার্থ উদ্ধার করে দেয়ার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থের অপচয়ও করেছেন তিনি। হাজী ক্যাম্প ও ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমির মতো ধর্মীয় স্থানগুলোতে নৃত্য ও সঙ্গীতের আসর বসানোর পাশাপাশি সর্বাত্মকভাবেই তিনি বহু অন্যায় করেছেন। ইসলামের দৃষ্টিতে বড় ধরনের গুনাহ করেছেন। সব মিলিয়েই আমরা মনে করি না যে, অমন একজন সেবাদাসের ইসলামিক ফাউন্ডশনের মতো রাষ্ট্রীয় একটি প্রতিষ্ঠানের ডিজির পদে বহাল থাকার কোনো অধিকার থাকতে পারে। আমরা তাই তার আশু অপসারণ দাবি করছি। জেলা ও দায়রা জজের পদেও তাকে ফিরিয়ে নেয়া চলবে না। কারণ, সেখানেও তিনি সরকারের এজেন্ডাই বাস্তবায়ন করবেন, সরকারের হুকুমই তামিল করবেন। যার ফলে দেশের বিচার বিভাগও ক্রমাগত কলঙ্কিত হতে থাকবে।(দৈনিক আমার দেশ থেকে সংকলিত)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন