দেশের চলমান অস্থির পরিস্থিতির সুযোগে বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থাপনায় বার বার
হামলা-অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেই চলেছে। লক্ষণীয় ব্যাপার হলো, এসব
ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই সরকার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারপন্থীয় মিডিয়া
ঘটনার দায় কোনো প্রমাণ ছাড়াই বিরোধী দলের উপর চাপিয়ে দেয়। কিন্তু বর্তমানে
জনতা এসব ঘটনার ব্যাপারে সতর্ক হওয়ায় ধরা পড়তে শুরু করেছে আসল দায়ীরা।
সাতক্ষীরার দেবহাটায় শনিবার দিবাগত রাতে সংখ্যালঘু হিন্দু সমপ্রদায়ের দুটি
বাড়িতে আগুন দিয়ে পালানোর সময় জনতার হাতে ধরা পড়েছে এক যুবলীগ নেতা। এদিকে
নোয়াখালীর সেনবাগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারক বিচারপতি
জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের কাবিলপুর গ্রামের বাড়িতে হামলার প্রস্তুতির সময়
ছাত্রলীগের তিন নেতা-কর্মীকে একই রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আমাদের
প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :
সাতক্ষীরায় হিন্দু বাড়িতে আগুন দিয়ে পালানোর সময় যুবলীগ নেতা আটক
সাতক্ষীরার দেবহাটায় শনিবার দিবাগত রাতে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের দুটি বাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে যুবলীগের সন্ত্রাসীরা। মুখোশ পরা অবস্থায় ১৫-২০ জন সন্ত্রাসী আগুন দিয়ে পালানোর সময় স্থানীয়দের হাতে আটক হয় এক যুবলীগ নেতা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগুন লাগার পর দুবৃর্ত্তরা পালিয়ে যেতে থাকে। এসময় এলাকাবাসী ধাওয়া করে মুখোশ পরা অবস্থায় আব্দুল গফফার নামের একজনকে আটক করতে সমর্থ হয়। গাফফার নিজেকে যুবলীগ নেতা বলে দাবি করে। পরে রাতভর একটি গাছের সঙ্গে তাকে বেঁধে রাখে এলাকাবাসী। দেবহাটা উপজেলার উত্তর পারুলিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আটক যুবলীগ নেতা আব্দুল গফফর একই এলাকার এলবার গাইনের ছেলে। গতকাল সকাল ৯টার দিকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। গফফর জানায়, স্থানীয় এক আ’লীগ নেতার নির্দেশে তারা হিন্দুদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনায় জড়িত থাকার আরো তিনজনের নাম পুলিশকে জানিয়েছে সে।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলোর মালিক সুনীত সরকার জানান, জায়গাজমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তার প্রতিপক্ষরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে দেবহাটা থানার ওসি তারক বিশ্বাস জানান, স্থানীয়রা আগুন ধরিয়ে দেয়ার সন্দেহে আব্দুল গফফারকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
দেবহাটা উপজেলা জামায়াতের আমীর আসাদুজ্জামান মুকুল বলেন, পরিকল্পিতভাবে হিন্দুদের বাড়িতে আ’লীগ আগুন ধরিয়ে দিয়ে জামায়াতের উপর দায় চাপাতে এ ঘটনা ঘটায়।
সেনবাগে ট্রাইব্যুনাল বিচারপতির বাড়িতে হামলার সময় তিন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী গ্রেফতার
নোয়াখালীর সেনবাগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারক বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের কাবিলপুর গ্রামের বাড়িতে আবারও হামলার প্রস্তুতির সময় ছাত্রলীগের তিন নেতাকর্মীকে শনিবার রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে মো. জাহিদ হাসান বাবু (২০), রাসেল বাবু (১৮) ও ওমর ফারুক (১৮)।
পুলিশ জানায়, রাত ১২টার দিকে উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের ছাত্রলীগ নেতা ও মহিদিপুর গ্রামের আবুল মোতালেবের ছেলে জাহিদ হাসান বাবু, একই গ্রামের দুলাল হোসেন মনিরের ছেলে রাসেল ওরফে বাবু ও পার্শ্ববর্তী আজিজপুর গ্রামের শরিয়ত উল্লার ছেলে মো. ফারুক সহ আরও ১৫-১৬ জন মিলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারক বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের কাবিলপুর গ্রামের বাড়ির ৫শ’ গজ দূরে হামলার প্রস্তুতি নেয়ার জন্য অবস্থান করছিল। এসময় স্থানীয় লোকজন টের পেয়ে ডাকাত ডাকাত বলে চিত্কার শুরু করলে গ্রামবাসী দৌড়ে গিয়ে তিনজনকে হাতেনাতে আটক করে।
খবর পেয়ে সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইকুল আহম্মেদ ভুঁইয়ার নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তিন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে নিজেদের হেফাজতে নেয়।
সাইকুল আহম্মেদ ভূইয়া জানান, তাদেরকে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের গ্রামের বাড়িতে পেট্রোল বোমা হামলা ও গুলি বর্ষণ এবং নাশকতার অভিযোগে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। আজ দুুপুরে নেয়াখালী বিচারিক আদালতে প্রেরণ করা হবে।
উল্লেখ্য, এর আগেও গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে একটার দিকে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের বাড়ির সামনের ফটক লক্ষ্য করে পর পর কয়েকটি পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে। ওই ঘটনায় কোনো প্রমাণ না থাকলেও মিডিয়া ও সরকারের পক্ষ থেকে বিএনপি জামায়াতকে দায়ী করা হয়।amerdesh
সাতক্ষীরায় হিন্দু বাড়িতে আগুন দিয়ে পালানোর সময় যুবলীগ নেতা আটক
সাতক্ষীরার দেবহাটায় শনিবার দিবাগত রাতে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের দুটি বাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে যুবলীগের সন্ত্রাসীরা। মুখোশ পরা অবস্থায় ১৫-২০ জন সন্ত্রাসী আগুন দিয়ে পালানোর সময় স্থানীয়দের হাতে আটক হয় এক যুবলীগ নেতা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগুন লাগার পর দুবৃর্ত্তরা পালিয়ে যেতে থাকে। এসময় এলাকাবাসী ধাওয়া করে মুখোশ পরা অবস্থায় আব্দুল গফফার নামের একজনকে আটক করতে সমর্থ হয়। গাফফার নিজেকে যুবলীগ নেতা বলে দাবি করে। পরে রাতভর একটি গাছের সঙ্গে তাকে বেঁধে রাখে এলাকাবাসী। দেবহাটা উপজেলার উত্তর পারুলিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আটক যুবলীগ নেতা আব্দুল গফফর একই এলাকার এলবার গাইনের ছেলে। গতকাল সকাল ৯টার দিকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। গফফর জানায়, স্থানীয় এক আ’লীগ নেতার নির্দেশে তারা হিন্দুদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনায় জড়িত থাকার আরো তিনজনের নাম পুলিশকে জানিয়েছে সে।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলোর মালিক সুনীত সরকার জানান, জায়গাজমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তার প্রতিপক্ষরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে দেবহাটা থানার ওসি তারক বিশ্বাস জানান, স্থানীয়রা আগুন ধরিয়ে দেয়ার সন্দেহে আব্দুল গফফারকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
দেবহাটা উপজেলা জামায়াতের আমীর আসাদুজ্জামান মুকুল বলেন, পরিকল্পিতভাবে হিন্দুদের বাড়িতে আ’লীগ আগুন ধরিয়ে দিয়ে জামায়াতের উপর দায় চাপাতে এ ঘটনা ঘটায়।
সেনবাগে ট্রাইব্যুনাল বিচারপতির বাড়িতে হামলার সময় তিন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী গ্রেফতার
নোয়াখালীর সেনবাগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারক বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের কাবিলপুর গ্রামের বাড়িতে আবারও হামলার প্রস্তুতির সময় ছাত্রলীগের তিন নেতাকর্মীকে শনিবার রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে মো. জাহিদ হাসান বাবু (২০), রাসেল বাবু (১৮) ও ওমর ফারুক (১৮)।
পুলিশ জানায়, রাত ১২টার দিকে উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের ছাত্রলীগ নেতা ও মহিদিপুর গ্রামের আবুল মোতালেবের ছেলে জাহিদ হাসান বাবু, একই গ্রামের দুলাল হোসেন মনিরের ছেলে রাসেল ওরফে বাবু ও পার্শ্ববর্তী আজিজপুর গ্রামের শরিয়ত উল্লার ছেলে মো. ফারুক সহ আরও ১৫-১৬ জন মিলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারক বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের কাবিলপুর গ্রামের বাড়ির ৫শ’ গজ দূরে হামলার প্রস্তুতি নেয়ার জন্য অবস্থান করছিল। এসময় স্থানীয় লোকজন টের পেয়ে ডাকাত ডাকাত বলে চিত্কার শুরু করলে গ্রামবাসী দৌড়ে গিয়ে তিনজনকে হাতেনাতে আটক করে।
খবর পেয়ে সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইকুল আহম্মেদ ভুঁইয়ার নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তিন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে নিজেদের হেফাজতে নেয়।
সাইকুল আহম্মেদ ভূইয়া জানান, তাদেরকে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের গ্রামের বাড়িতে পেট্রোল বোমা হামলা ও গুলি বর্ষণ এবং নাশকতার অভিযোগে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। আজ দুুপুরে নেয়াখালী বিচারিক আদালতে প্রেরণ করা হবে।
উল্লেখ্য, এর আগেও গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে একটার দিকে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের বাড়ির সামনের ফটক লক্ষ্য করে পর পর কয়েকটি পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে। ওই ঘটনায় কোনো প্রমাণ না থাকলেও মিডিয়া ও সরকারের পক্ষ থেকে বিএনপি জামায়াতকে দায়ী করা হয়।amerdesh
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন