শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৩

সুজাতা সিং-এর বাংলাদেশ সফর : পিণ্ডির শৃঙ্খলমুক্ত স্বাধীনতা কী দিল্লির দাসত্বের জন্য!

ইন্ডিয়ার পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিংয়ের বাংলাদেশে ২১ ঘণ্টা ঝটিকা সফরের পর নানা বিষয় নিয়ে বিতর্কের ঝড় বইছে। সুজাতা সিং আবারো ইন্ডিয়ার অভিপ্রায় প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের জনগণের সামনে। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সাক্ষাত্ এবং সংবাদ সম্মেলনে ইন্ডিয়ার আসল ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। বাংলাদেশকে তারা ইতোমধ্যে একটি করদরাজ্য হিসেবেই মনে করছেন। আর এটা মনে করার যথেষ্ট যৌক্তিক কারণও রয়েছে। তার এই আচরণে প্রশ্ন উঠেছে মানচিত্রে স্বাধীন হলেও সার্বভৌমত্বে স্বাধীন আছে কি বাংলাদেশ? গত ৫ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী-বাম জোট বাংলাদেশকে উজাড় করে দিয়েছে ইন্ডিয়ার স্বার্থে। হৃদয় উজাড় করে ভালোবেসেছে ইন্ডিয়াকে। কোনো রকমের রাখডাক না করে সুজাতা সিং যে ভারত আওয়ামী লীগকেই ক্ষমতায় দেখতে চায় একেবারে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। একটি দেশের নির্বাচন নিয়ে অপর কোনো রাষ্ট্র এরকম মন্তব্য সার্বভৌম কোনো জাতির জন্য নিতান্তই লজ্জার বিষয়। আমরা কী তাহলে সত্যিই একটি সার্বভৌম জাতি! মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদ প্রাণ উত্সর্গ করেছিলেন এরকম একটি বাংলাদেশের জন্য! লাখো শহীদের আত্মত্যাগ, অসংখ্য মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা কী তাহলে ইন্ডিয়ার ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটানোর জন্য! ১৬ কোটি মানুষের ইচ্ছাকে জলাঞ্জলি দিয়ে ইন্ডিয়ার অভিপ্রায় বাস্তবায়নের জন্যই কী ছিল আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম।
ইন্ডিয়ার পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং বাংলাদেশ সফরে অনেক কথাই বলেছেন। বৈঠক করেছেন মেয়াদ উত্তীর্ণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ১৮ দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, সাবেক স্বৈরশাসক এরশাদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পদস্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ৩০ মিনিটের একান্ত বৈঠক করেছেন সুজাতা। কি কথা হয়েছে দু’জনের মধ্যে কেউ জানেন না। একান্ত বৈঠকের পর গণমাধ্যমের সংবাদ অনুযায়ী শেখ হাসিনা ফুরফুরা মেজাজে রয়েছেন। কোনোকিছু কেয়ার করছেন না। যে কোনো মূল্যে তাদের সাজানো নির্বাচন করতে মরিয়া। একান্ত বৈঠকে এমন কী ইশারা পেয়েছেন শেখ হাসিনা তা তার ফুরফুরা মেজাজেই আভাস দিচ্ছে।
ইন্ডিয়ার পররাষ্ট্র সচিবের বাংলাদেশ সফরের বক্তব্য অনেক তাত্পর্যপূর্ণ। এর মধ্যে মাত্র কয়েকটি মন্তব্য পর্যালোচনা করলে সবই পরিষ্কার হয়ে যায়। আগামী নির্বাচন, ক্ষমতায় কাকে দেখতে চায়, সব দল নয়, অধিকসংখ্যক দলের অংশগ্রহণ হলেই চলবে এমন সবই বলে গেছেন তিনি। বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের ইচ্ছার প্রতিফলন নয়, নির্বাচনে ইন্ডিয়ার অভিপ্রায়ের প্রতিফলন দেখতে চায় সুজাতা। যেমন-(ক) জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক স্বৈরশাসক এরশাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি জাতীয় পার্টিকে শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে অংশ নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে এরশাদের ভাষায় সুজাতা সিং তাকে বলেছেন, নির্বাচনে না গেলে অন্য কেউ ক্ষমতায় আসলে জামায়াতে-শিবিরের উত্থান হবে। এখানে একেবারেই স্পষ্ট, তিনি এরশাদকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য বিশেষ অনুরোধ করেছেন। নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে বাংলাদেশের মানুষ কাদের নির্বাচিত করবে সেটা নিয়েও হুশিয়ার করছেন এরশাদ সাহেবকে। অর্থাত্ ইন্ডিয়া ভালো করেই জানে নীল-নকশার নির্বাচন না হলে তাদের পদলেহনকারীরা পরাজিত হবে। ক্ষমতায় আসবে বিরোধী দলীয় জোট।
(খ) সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সুজাতা সিং সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, অধিকসংখ্যক রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে দেখতে চায় ভারত। অধিকসংখ্যক দল অংশ নিলেই গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে।
খোলামেলা এই বক্তব্যে তিনি স্পষ্ট করেছেন বিরোধীদলীয় জোটকে বাইরে রেখেই নির্বাচন চায় ভারত। জাতিসংঘ, আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কমনওয়েলথ, চীন, জাপান, কানাডাসহ দুনিয়ার সব দেশ সব দলের অংশগ্রহণমূলক একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের তাগিদ দিচ্ছে। আর সে জায়গায় সুজাতা সিং বললেন ভারত অধিকসংখ্যক রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ দেখতে চায়। তাদের নীল নকশা অনুযায়ী প্রধান বিরোধীদলীয় জোটকে বাইরে রেখে এরশাদের দল জাতীয় পার্টিকে গৃহপালিত বিরোধী দল বানানোর চেষ্টা ছিল। যাতে আগামীতে পার্লামেন্টে সিকিমের লেন্দুপ দর্জির মতো বাংলাদেশকে ভারতের করদরাজ্য হিসেবে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিলেও কেউ বিরোধিতা না করে।
সিকিম একটি স্বাধীন রাষ্ট্র ছিল। কিন্তু ১৯৯৫ সালে লেন্দুপ দর্জি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে সিকিমকে ভারতের ২২তম অঙ্গরাজ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বাংলাদেশকে গত ৭ বছরে লেন্দুপ দর্জির মতো ভারতের অঙ্গরাজ্য হিসেবে ঘোষণা না দিলেও জাতীয় স্বার্থ বিসর্জনের মাধ্যমে সব উজাড় করে দেয়া হয়েছে ভারতকে। এমনকি ভারত ও বাংলাদেশের অভিন্ন মুদ্রা চালুর প্রস্তাব বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছিল বলেও সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
ট্রানজিটের নামে ভারত করিডোর চেয়েছে। বিনাশর্তে তা দেয়া হয়েছে। কোন শর্তে ট্রানজিটের নামে ভারতকে করিডোর দেয়া হয়েছে—বিষয়টি নিয়ে দেশব্যাপী আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছিল। তখন শেখ হাসিনা সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মসিউর রহমান কিছুটা স্পষ্ট করেছিলেন। তিনি গণমাধ্যমে প্রকাশ্যে বলেছিলেন—বন্ধুরাষ্ট্রকে ট্রানজিটের বিনিময়ে কিছু চাওয়া হবে অসভ্যতা! তার এই উক্তির মাধ্যমেই প্রকাশ হয় এক অঞ্চল থেকে আরেক অঞ্চলে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে যাতায়াতে শর্তহীন করিডোর দিতে কতটা উদারতা দেখিয়েছে শেখ হাসিনা।
সিলেট বিভাগসহ বাংলাদেশের একটি বিশাল এলাকা মরুভূমিতে রূপান্তর হওয়ার আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও ভারতকে টিপাইমুখ বাঁধ দেয়ার বিষয়টি অনুমোদন করে শেখ হাসিনা সরকার। তখনও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি বলেছিলেন—আগে বাঁধ দেয়া হোক, তারপর দেখা যাবে আমাদের কতটুকু ক্ষতি হয়। বাঁধ না দিলে তো আর সেটা বোঝা যাবে না! কিন্তু নদী বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে পরিবেশ বিশেষজ্ঞ সবাই সতর্ক করেছেন টিপাইমুখ বাঁধ সম্পন্ন হলে বাংলাদেশের সুরমা- কুশিয়ারা নদী শুকনো মৌসুমে পানিশূন্য হয়ে পড়বে। এর প্রভাবে পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো পানির নদী হিসেবে পরিচিত মেঘনা শুকিয়ে যাবে। বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত পানি ছেড়ে দিলে বাংলাদেশের বিশাল অঞ্চল তলিয়ে যাবে। এছাড়া হারিয়ে যাবে সিলেট অঞ্চলের হাওরের বৈশিষ্ট্য। বাংলাদেশের অপূরণীয় ক্ষতি হবে জেনেও টিপাইমুখ বাঁধের অনুমোদন দেয় আওয়ামী সরকার।
ভারতের পূর্বাঞ্চল ত্রিপুরা রাজ্যের পালাটানায় বিদ্যুেকন্দ্র নির্মাণের জন্য ভারী যন্ত্রপাতি নিতে হবে। শেখ হাসিনার সরকারের কল্যাণে নৌ ট্রানজিটের বিনিময়ে ভারতের ভারী মালামাল প্রথমে আনা হয় আশুগঞ্জ নদীবন্দরে। সেখানে থেকে দেড়শ’ চাকার বিশাল গাড়িতে করে ভারী যন্ত্রপাতি বহনের মতো ব্রিজ, কালভার্ট নেই সড়কপথে। এজন্য ভারত নিজেই বাংলাদেশের তিতাস নদীসহ ১৮টি ছোট-বড় নদী এবং খালে বাঁধ দেয়। পানির প্রবাহ বন্ধ করে ভারী যানবাহন যাতায়াতের রাস্তা তৈরি করা হয়। একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশে যেটা কল্পনাও করা যায় না; অথচ সেটাই বাংলাদেশের ভেতরে করেছে ভারত। বাংলাদেশে একটি দাসত্ব মনোভাবের সরকার থাকার ফলেই এসব সম্ভব হয়েছে।
(গ) সংবাদ সম্মেলনে সুজাতা সিং আরও স্পষ্ট করেই বলেছেন, নিরাপত্তাজনিত সহযোগিতার প্রেক্ষাপটে বর্তমান সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় সবচেয়ে স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতি বিরাজমান এবং বলেছেন ভারত চায় সেটা অব্যাহত থাকুক। সুজাতা সিং এ বক্তব্যের মাধ্যমে স্পষ্ট করেছেন অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় বর্তমান সরকারের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক স্বস্তিদায়ক। বাংলাদেশের মানুষ যা-ই ভাবুক না কেন, তারা এ সরকারকেই ক্ষমতায় দেখতে চায়।
নিরাপত্তার দিক থেকে কতটা স্বস্তিদায়ক—সেটা আমাদের সীমান্তের দিকে তাকালেই বোঝা যায়। সীমান্তে প্রতিনিয়ত ভারতীয় হানাদার বিএসএফ বাংলাদেশের নাগরিকদের হত্যা করছে। সেই হত্যাকাণ্ডের প্রতীক হয়ে আছে কাঁটাতারে ঝুলন্ত কিশোরী ফেলানীর লাশ। সীমান্তের বিভিন্ন গ্রামে বর্গির মতো হানা দিয়ে বাংলাদেশে নিরীহ কৃষকদের গরু-ছাগল ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে মুক্তিপণের বিনিময়ে কারওটা ফেরত পায় আবার কেউ ফেরত পায় না। সীমান্তে বাংলাদেশী যুবকদের ধরে নিয়ে উলঙ্গ করে বিএসএফ ক্যাম্পে নির্যাতনের বীভত্স চিত্র ইথারে ভাসে। গত ৫ বছরে দেড় হাজারেরও বেশি বাংলাদেশী নাগরিক বিএসএফের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছে। আহত হয়েছে অসংখ্য। সীমান্তে হানা দিয়ে বাংলাদেশের জমিতে চাষাবাদরত কৃষক এবং রাখাল নিধনের সংবাদও প্রকাশ হয় অহরহ।
অথচ একটি ঘটনারও কোনো কার্যকর প্রতিবাদ নেই। আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলোতে এরই মধ্যে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তকে সবচেয়ে প্রাণঘাতী বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে প্রতি বছর যত নাগরিক বিএসএফ হত্যা করে, দুনিয়ার আর কোনো সীমান্তে এতটা হত্যাকাণ্ড ঘটে না। এমনকি বিরোধপূর্ণ ইসরাইল-ফিলিস্তিন সীমান্তেও নয়। এটাই হলো সুজাতা সিংদের সবচেয়ে স্বস্তিদায়ক সম্পর্কের নমুনা! কারণ কোনো ঘটনা এবং হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ নেই বাংলাদেশের পক্ষ থেকে। এজন্য ভারত বাংলাদেশে এরকম সেবাদাস সরকারকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে মরিয়া।
অপরদিকে একনজরে দেখা যায় বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে ঝুলে থাকা ন্যায্য পাওনা আদায় করা সম্ভব হয়নি। ন্যায্য প্রাপ্তি আদায়ের হিসাবটাও শূন্যের ঘরে। স্বাধীনতার পর থেকে বিরোধপূর্ণ সীমান্ত চিহ্নিতকরণের চুক্তি হয়ে আছে। চুক্তি হয়ে আছে ছিটমহলগুলোর সমস্যা সমাধানের। কিন্তু ভারত সেগুলো আজও বাস্তবায়ন করেনি। বরং স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবের অনুমোদনে ফারাক্কা বাঁধ চালু করে রাজশাহী অঞ্চলকে মরুভূমিতে রূপান্তর করা হয়েছে। তিস্তা নদীর উজানে গজলডোবা বাঁধের মাধ্যমে ন্যায্য পাওনা পানি প্রত্যাহার করা হচ্ছে। ফলে শুকিয়ে মরুভূমিতে রূপান্তর হচ্ছে তিস্তার দুই পাড়ের ভূমি। এমনিভাবে স্বাধীনতার পর ৪২ বছরে ৫৪টি অভিন্ন নদীর উজানে বাঁধ দিয়ে পানি প্রত্যাহার করছে ভারত। আমাদের ন্যায্য হিস্যার পানি প্রত্যাহার করে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে। ৪২ বছর ধরে ঝুলিয়ে রাখা একটি সমস্যারও সমাধান করেনি। বরং নতুন নতুন সমস্যা তৈরি করে বাংলাদেশের উর্বর ভূমিকে মরুভূমিতে রূপান্তরের প্রচেষ্টা নিরন্তর চালিয়ে যাচ্ছে ভারত। আর এটাই হচ্ছে সুজাতা সিংয়ের ভাষায় স্বস্তিদায়ক সম্পর্কের নমুনা। বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি প্রসঙ্গে এখানে কিছু নাইবা আনলাম।
প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বাংলাদেশের সব নাগরিকেরই প্রত্যাশা। তবে ন্যায্য পাওনা ঝুলিয়ে রেখে শুধু উজাড় করে দেয়ার নাম যদি বন্ধুত্ব হয়, তাহলে সেই বন্ধুত্ব মানুষ চায় না। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব বিনাসী আওয়ামী-বাম জোট সরকার সেটাই করেছে ভারতের সঙ্গে। এজন্যই তো ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রকাশ্যেই বলেছেন, তারা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে সহযোগিতা করে প্রতিদান দিতে চায়। বিশেষ বিমানে উড়ে এসে পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা বলে গেছেন—সব দল নয়, সর্বোচ্চসংখ্যক রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের নির্বাচনই বাঞ্ছনীয়। মওলানা ভাসানীর একটি উক্তি দিয়ে শেষ করতে চাই। আর তা হলো—‘পিন্ডির শৃঙ্খল থেকে স্বাধীনতা অর্জন করেছি দিল্লির দাসত্বের জন্য নয়’।
লেখক : দৈনিক আমার দেশ-এর বিশেষ প্রতিনিধি, বর্তমানে যুক্তরাজ্যে নির্বাসিত

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন