পড়াশোনা
বা কর্মক্ষেত্রে পরিচয় ঘটে অনেকের সঙ্গেই। এর মধ্যে কেউ কেউ হয়ে ওঠেন ভালো
বন্ধু। আবার অনেকের সঙ্গে ঠিকমতো বোঝাপড়া হয় না। হয়তো মুখে কিছু বলছেন না,
কিন্তু আচরণে প্রকাশ পাচ্ছে। কোনো ধরনের ঝগড়া ছাড়াও এটা হতে পারে।
পারস্পরিক প্রতিহিংসা থেকেও হয়।
একসঙ্গে পড়াশোনা করছেন, আপনার সহপাঠী যদি আপনার চেয়ে ভালো করেন, তখন মেনে নিতে না পারলে এটা ঘটে। আবার একই অফিসে কাজ করার ক্ষেত্রে সহকর্মীর সাফল্য দেখেও এটা ঘটতে পারে। সহকর্মী যদি বয়সে আপনার চেয়ে ছোট হন বা চাকরিতে নতুন হন, তখন মন বেশি হিংসাত্মক হয়ে উঠতে পারে।
সাধারণত মানুষ নিজের সঙ্গে মিলে যায় (সমমনা)—এমন অথবা তার চেয়ে একটু কম যোগ্যতার কাউকে বন্ধু হিসেবে বেছে নিতে পছন্দ করে। তবে কাউকে পছন্দ না হলো, সেটা প্রকাশ না করাই ভালো। বিশেষ করে কর্মক্ষেত্রে। দিনের বেশির ভাগ সময়টা তাঁর সঙ্গেই কাটাতে হয়। ফলে প্রকাশ করাটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। আবার সহপাঠীদের ক্ষেত্রেও এ কথা প্রযোজ্য।
আপনার আচরণ দেখে যেন বোঝা না যায় আপনি তাঁকে পছন্দ করছেন না। কোনো ধরনের মন্তব্য করে তাঁকে আহত করা ঠিক হবে না। একটা বিষয় নিয়ে কথা বলতে বলতে অন্য প্রসঙ্গে গিয়ে তাঁকে আঘাত দেওয়াও ঠিক হবে না। নির্দিষ্ট বিষয়েই সীমাবদ্ধ থাকুন।
অকারণে তাঁকে প্রশংসার জোয়ারে ভাসিয়ে দেওয়া থেকে দূরে থাকুন। ভালো বন্ধু মনে করতে না চাইলেও তাঁকে হিংসা করার দরকার নেই। আর আপনি যদি নিজেই চান তাঁর সঙ্গে একটা সুসম্পর্ক তৈরি হোক, তাহলে অবশ্যই এগিয়ে যান।
যিনি আপনার বন্ধুও হয়ে উঠতে পারতেন, কেন আপনার শত্রু হলো, সেটা নিজে নিজে ভেবে বের করুন। হয়তো তাঁর একটা ছোট্ট আচরণ আপনার কাছে খারাপ লেগেছে। অথবা এমন একটা কাজ করেছেন, যেটা তিনি চাইলেই শুধরে নিতে পারতেন। চাইলে এটা নিয়ে সরাসরি তাঁর সঙ্গে আলাপ করতে পারেন। কোনো রেস্তোরাঁয় খেতে বসে বা আলাদা কোনো স্থানে ডেকে নিয়ে আপনার খারাপ লাগার বিষয়টা তাঁকে খুলে বলুন। হয়তো আলোচনা করলে তিনি নিজের ভুল বুঝতে পারবেন।
ছোটখাটো কোনো উপহার বিনিময়, নিজেদের সুখ-দুঃখ নিয়ে আলোচনা—এসব বিষয়ে আলাপ করতে করতেও আপনারা বন্ধু হয়ে উঠতে পারেন। তবে কোনো অবস্থাতেই বিরক্ত হওয়া যাবে না। ধৈর্য ধরে তাঁকে বুঝে নিয়ে চলতে শুরু করুন, তাহলেই তিনি শত্রু নন, বন্ধু বনে যাবেন।
লেখক: চিকিৎ সা মনোবিজ্ঞানী, রোকেয়া হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
একসঙ্গে পড়াশোনা করছেন, আপনার সহপাঠী যদি আপনার চেয়ে ভালো করেন, তখন মেনে নিতে না পারলে এটা ঘটে। আবার একই অফিসে কাজ করার ক্ষেত্রে সহকর্মীর সাফল্য দেখেও এটা ঘটতে পারে। সহকর্মী যদি বয়সে আপনার চেয়ে ছোট হন বা চাকরিতে নতুন হন, তখন মন বেশি হিংসাত্মক হয়ে উঠতে পারে।
সাধারণত মানুষ নিজের সঙ্গে মিলে যায় (সমমনা)—এমন অথবা তার চেয়ে একটু কম যোগ্যতার কাউকে বন্ধু হিসেবে বেছে নিতে পছন্দ করে। তবে কাউকে পছন্দ না হলো, সেটা প্রকাশ না করাই ভালো। বিশেষ করে কর্মক্ষেত্রে। দিনের বেশির ভাগ সময়টা তাঁর সঙ্গেই কাটাতে হয়। ফলে প্রকাশ করাটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। আবার সহপাঠীদের ক্ষেত্রেও এ কথা প্রযোজ্য।
আপনার আচরণ দেখে যেন বোঝা না যায় আপনি তাঁকে পছন্দ করছেন না। কোনো ধরনের মন্তব্য করে তাঁকে আহত করা ঠিক হবে না। একটা বিষয় নিয়ে কথা বলতে বলতে অন্য প্রসঙ্গে গিয়ে তাঁকে আঘাত দেওয়াও ঠিক হবে না। নির্দিষ্ট বিষয়েই সীমাবদ্ধ থাকুন।
অকারণে তাঁকে প্রশংসার জোয়ারে ভাসিয়ে দেওয়া থেকে দূরে থাকুন। ভালো বন্ধু মনে করতে না চাইলেও তাঁকে হিংসা করার দরকার নেই। আর আপনি যদি নিজেই চান তাঁর সঙ্গে একটা সুসম্পর্ক তৈরি হোক, তাহলে অবশ্যই এগিয়ে যান।
যিনি আপনার বন্ধুও হয়ে উঠতে পারতেন, কেন আপনার শত্রু হলো, সেটা নিজে নিজে ভেবে বের করুন। হয়তো তাঁর একটা ছোট্ট আচরণ আপনার কাছে খারাপ লেগেছে। অথবা এমন একটা কাজ করেছেন, যেটা তিনি চাইলেই শুধরে নিতে পারতেন। চাইলে এটা নিয়ে সরাসরি তাঁর সঙ্গে আলাপ করতে পারেন। কোনো রেস্তোরাঁয় খেতে বসে বা আলাদা কোনো স্থানে ডেকে নিয়ে আপনার খারাপ লাগার বিষয়টা তাঁকে খুলে বলুন। হয়তো আলোচনা করলে তিনি নিজের ভুল বুঝতে পারবেন।
ছোটখাটো কোনো উপহার বিনিময়, নিজেদের সুখ-দুঃখ নিয়ে আলোচনা—এসব বিষয়ে আলাপ করতে করতেও আপনারা বন্ধু হয়ে উঠতে পারেন। তবে কোনো অবস্থাতেই বিরক্ত হওয়া যাবে না। ধৈর্য ধরে তাঁকে বুঝে নিয়ে চলতে শুরু করুন, তাহলেই তিনি শত্রু নন, বন্ধু বনে যাবেন।
লেখক: চিকিৎ সা মনোবিজ্ঞানী, রোকেয়া হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন