শুক্রবার, ২১ আগস্ট, ২০১৫

لْ إِنَّ رَبِّي يَقْذِفُ بِالْحَقِّ عَلَّامُ الْغُيُوبِ ﴿٣٤: ٤٨﴾

আমাদের প্রিয় রাসূল (সাঃ) গায়েব জানেন এ নিয়ে মুসলিমদের মধ্যে দুটি দল রয়েছে যারা এ বিষয়টিকে একটি বিতর্কিত পর্যায়ে নিয়ে গেছেন একটি দলের দাবী রাসূল (সাঃ) গায়েব জানেন এবং অন্য দলের দাবী রাসূল (সাঃ) গায়েব জানেন না প্রথম বিষয় হলো রাসূল (সাঃ) গায়েব জানুক আর নাই জানুক তাঁর প্রতি আমাদের সম্মান, ভালবাসা আর শ্রদ্ধা সামান্যটুকুও কমবে না দ্বিতীয় বিষয় হলো রাসূল (সাঃ) গায়েব জানেন কি না সেটি জানা কোন মুসলমানের জন্য ফরয, ওয়াজিব বা সুন্নাত নয় কেয়ামতের দিন কোন মুসলিমকে এ প্রশ্নের জবাব দিতে হবে না আর গুরুত্বহীন কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা, সমালোচনা বা বাড়াবাড়ি করা ইসলামে বৈধও নয় যখন কোন বিষয়ে বিতর্ক হবে তখন কোরআন ও সুন্নার দিকে ফিরে যাওয়াটা ঈমানদার ব্যক্তিদের কাজ আল্লাহ বলেন- إِنَّهُ لَقَوْلٌ فَصْلٌ ﴿٨٦: ١٣﴾নিশ্চয় কোরআন সত্য-মিথ্যার ফয়সালা(At-Taariq: 13) তাই বিষয়টি নিয়ে কোরআনে কী নির্দেশনা রয়েছে তা আমরা একটু দেখার চেষ্টা করি

 
গায়েব সম্পর্কে পবিত্র ক্বোরআন যা বলেঃ
(1) আর আমি তোমাদেরকে বলি না যে, আমার কাছে আল্লাহর ভান্ডার রয়েছে এবং একথাও বলি না যে, আমি গায়বী খবরও জানি; একথাও বলি না যে, আমি একজন ফেরেশতা; আর তোমাদের দৃষ্টিতে যারা লাঞ্ছিত আল্লাহ তাদের কোন কল্যাণ দান করবেন না তাদের মনের কথা আল্লাহ ভাল করেই জানেন সুতরাং এমন কথা বললে আমি অন্যায় কারী হব (Hud: 31) 
وَلَا أَقُولُ لَكُمْ عِندِي خَزَائِنُ اللَّهِ وَلَا أَعْلَمُ الْغَيْبَ وَلَا أَقُولُ إِنِّي مَلَكٌ وَلَا أَقُولُ لِلَّذِينَ تَزْدَرِي أَعْيُنُكُمْ لَن يُؤْتِيَهُمُ اللَّهُ خَيْرًا ۖ اللَّهُ أَعْلَمُ بِمَا فِي أَنفُسِهِمْ ۖ إِنِّي إِذًا لَّمِنَ الظَّالِمِينَ ﴿١١: ٣١﴾

(2) বস্তুতঃ তারা বলে, তাঁর কাছে তাঁর পরওয়ারদেগারের পক্ষ থেকে কোন নির্দেশ এল না কেন? বলে দাও গায়েবের কথা আল্লাহই জানেন আমি তোমাদের সাথে অপেক্ষায় রইলাম (Yunus: 20) 
وَيَقُولُونَ لَوْلَا أُنزِلَ عَلَيْهِ آيَةٌ مِّن رَّبِّهِ ۖ فَقُلْ إِنَّمَا الْغَيْبُ لِلَّهِ فَانتَظِرُوا إِنِّي مَعَكُم مِّنَ الْمُنتَظِرِينَ ﴿١٠: ٢٠﴾
 
(3) আপনি বলে দিন, আমি আমার নিজের কল্যাণ সাধনের এবং অকল্যাণ সাধনের মালিক নই, কিন্তু যা আল্লাহ চান আর আমি যদি গায়বের কথা জেনে নিতে পারতাম, তাহলে বহু মঙ্গল অর্জন করে নিতে পারতাম, ফলে আমার কোন অমঙ্গল কখনও হতে পারত না আমি তো শুধুমাত্র একজন ভীতি প্রদর্শক সুসংবাদদাতা ঈমানদারদের জন্য (Al-A'raaf: 188) 
قُل لَّا أَمْلِكُ لِنَفْسِي نَفْعًا وَلَا ضَرًّا إِلَّا مَا شَاءَ اللَّهُ ۚ وَلَوْ كُنتُ أَعْلَمُ الْغَيْبَ لَاسْتَكْثَرْتُ مِنَ الْخَيْرِ وَمَا مَسَّنِيَ السُّوءُ ۚ إِنْ أَنَا إِلَّا نَذِيرٌ وَبَشِيرٌ لِّقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ ﴿٧: ١٨٨﴾

(4) বলুন, আল্লাহ ব্যতীত নভোমন্ডল ভূমন্ডলে কেউ গায়বের খবর জানে না এবং তারা জানে না যে, তারা কখন পুনরুজ্জীবিত হবে (An-Naml: 65) 
قُل لَّا يَعْلَمُ مَن فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ الْغَيْبَ إِلَّا اللَّهُ ۚ وَمَا يَشْعُرُونَ أَيَّانَ يُبْعَثُونَ ﴿٢٧: ٦٥﴾

(5) এটি গায়বের খবর, আমি আপনার প্রতি ওহী প্রেরন করছি ইতিপূর্বে এটা আপনার এবং আপনার জাতির জানা ছিল না আপনি ধৈর্য্যধারণ করুন যারা ভয় করে চলে, তাদের পরিণাম ভাল, সন্দেহ নেই (Hud: 49) 
تِلْكَ مِنْ أَنبَاءِ الْغَيْبِ نُوحِيهَا إِلَيْكَ ۖ مَا كُنتَ تَعْلَمُهَا أَنتَ وَلَا قَوْمُكَ مِن قَبْلِ هَٰذَا ۖ فَاصْبِرْ ۖ إِنَّ الْعَاقِبَةَ لِلْمُتَّقِينَ ﴿١١: ٤٩﴾ 

(6) না তাদের কাছে গায়বের খবর আছে? অতঃপর তারা তা লিপিবদ্ধ করে (Al-Qalam: 47) 
أَمْ عِندَهُمُ الْغَيْبُ فَهُمْ يَكْتُبُونَ ﴿٦٨: ٤٧﴾ 

(7) বলুন, আমার পালনকর্তা সত্য দ্বীন অবতরণ করেছেন তিনি আলেমুল গায়ব (Saba: 48) 
قُلْ إِنَّ رَبِّي يَقْذِفُ بِالْحَقِّ عَلَّامُ الْغُيُوبِ ﴿٣٤: ٤٨﴾

(8) তিনি অদৃশ্যের জ্ঞানী পরন্ত তিনি অদৃশ্য বিষয় কারও কাছে প্রকাশ করেন না (Sura Jinn)
عَالِمُ الْغَيْبِ فَلَا يُظْهِرُ عَلَىٰ غَيْبِهِ أَحَدًا [٧٢:٢٦
(9) তাঁর কাছেই অদৃশ্য জগতের চাবি রয়েছে গুলো তিনি ব্যতীত কেউ জানে না স্থলে জলে যা আছে, তিনিই জানেন কোন পাতা ঝরে না; কিন্তু তিনি তা জানেন কোন শস্য কণা মৃত্তিকার অন্ধকার অংশে পতিত হয় না এবং কোন আর্দ্র শুস্ক দ্রব্য পতিত হয় না; কিন্তু তা সব প্রকাশ্য গ্রন্থে রয়েছে (Al-An'aam: 59)
وَعِندَهُ مَفَاتِحُ الْغَيْبِ لَا يَعْلَمُهَا إِلَّا هُوَ ۚ وَيَعْلَمُ مَا فِي الْبَرِّ وَالْبَحْرِ ۚ وَمَا تَسْقُطُ مِن وَرَقَةٍ إِلَّا يَعْلَمُهَا وَلَا حَبَّةٍ فِي ظُلُمَاتِ الْأَرْضِ وَلَا رَطْبٍ وَلَا يَابِسٍ إِلَّا فِي كِتَابٍ مُّبِينٍ
(10) তিনি অদৃশ্যের জ্ঞানী পরন্ত তিনি অদৃশ্য বিষয় কারও কাছে প্রকাশ করেন না (Al-Jinn: 26)
عَالِمُ الْغَيْبِ فَلَا يُظْهِرُ عَلَىٰ غَيْبِهِ أَحَدًا
(11) যেদিন আল্লাহ সব পয়গম্বরকে একত্রিত করবেন, অতঃপর বলবেন তোমরা কি উত্তর পেয়েছিলে? তাঁরা বলবেনঃ আমরা অবগত নই, আপনিই অদৃশ্য বিষয়ে মহাজ্ঞানী (Al-Maaida: 109)
يَوْمَ يَجْمَعُ اللَّهُ الرُّسُلَ فَيَقُولُ مَاذَا أُجِبْتُمْ ۖ قَالُوا لَا عِلْمَ لَنَا ۖ إِنَّكَ أَنتَ عَلَّامُ الْغُيُوبِ
(12) যখন আমি সোলায়মানের মৃত্যু ঘটালাম, তখন ঘুণ পোকাই জিনদেরকে তাঁর মৃত্যু সম্পর্কে অবহিত করল সোলায়মানের লাঠি খেয়ে যাচ্ছিল যখন তিনি মাটিতে পড়ে গেলেন, তখন জিনেরা বুঝতে পারল যে, অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান থাকলে তারা এই লাঞ্ছনাপূর্ণ শাস্তিতে আবদ্ধ থাকতো না (Saba: 14)
فَلَمَّا قَضَيْنَا عَلَيْهِ الْمَوْتَ مَا دَلَّهُمْ عَلَىٰ مَوْتِهِ إِلَّا دَابَّةُ الْأَرْضِ تَأْكُلُ مِنسَأَتَهُ ۖ فَلَمَّا خَرَّ تَبَيَّنَتِ الْجِنُّ أَن لَّوْ كَانُوا يَعْلَمُونَ الْغَيْبَ مَا لَبِثُوا فِي الْعَذَابِ الْمُهِينِ
(13) আপনি বলুনঃ আমি তোমাদেরকে বলি না যে, আমার কাছে আল্লাহর ভান্ডার রয়েছে তাছাড়া আমি অদৃশ্য বিষয় অবগতও নই আমি এমন বলি না যে, আমি ফেরেশতা আমি তো শুধু ওহীর অনুসরণ করি, যা আমার কাছে আসে আপনি বলে দিনঃ অন্ধ চক্ষুমান কি সমান হতে পারে? তোমরা কি চিন্তা কর না ? (Al-An'aam: 50)
قُل لَّا أَقُولُ لَكُمْ عِندِي خَزَائِنُ اللَّهِ وَلَا أَعْلَمُ الْغَيْبَ وَلَا أَقُولُ لَكُمْ إِنِّي مَلَكٌ ۖ إِنْ أَتَّبِعُ إِلَّا مَا يُوحَىٰ إِلَيَّ ۚ قُلْ هَلْ يَسْتَوِي الْأَعْمَىٰ وَالْبَصِيرُ ۚ أَفَلَا تَتَفَكَّرُونَ

পবিত্র ক্বোরআন আল্লাহকেই গায়েব বিষয়ে জানার সাক্ষ্য দেয়ঃ
উপরে বর্ণিত কোরআনের আয়াতগুলো দ্বারা বুঝা যায় রাসুল (সাঃ) গায়েব জানতেন না সবগুলো আয়াতে স্পষ্টভাবে ঘোষনা করা হচ্ছে আল্লাহ ছাড়া কেউ গায়েব জানেন না এবার নিচের আয়াতগুলো দেখি নিচের আয়াতগুলো একমাত্র আল্লাহকেই عَالِمُ الْغَيْبِ বা গায়েবজানার মালিক হিসেবে সাক্ষ্য দিচ্ছে
(1) তিনি অদৃশ্যের জ্ঞানী পরন্ত তিনি অদৃশ্য বিষয় কারও কাছে প্রকাশ করেন না (Al-Jinn: 26)
عَالِمُ الْغَيْبِ فَلَا يُظْهِرُ عَلَىٰ غَيْبِهِ أَحَدًا
(2) তিনি দৃশ্য অদৃশ্যের জ্ঞানী, পরাক্রান্ত, প্রজ্ঞাময় (At-Taghaabun: 18)
عَالِمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ
(3) তিনিই দৃশ্য অদৃশ্যের জ্ঞানী, পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু (As-Sajda: 6)
ذَٰلِكَ عَالِمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ الْعَزِيزُ الرَّحِيمُ
(4) তিনি দৃশ্য অদৃশ্যের জ্ঞানী তারা শরীক করে, তিনি তা থেকে উর্ধ্বে (Al-Muminoon: 92)
عَالِمِ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ فَتَعَالَىٰ عَمَّا يُشْرِكُونَ
(5) আল্লাহ নভোমন্ডল ভূমন্ডলের অদৃশ্য বিষয় জানেন, তোমরা যা কর আল্লাহ তা দেখেন (Al-Hujuraat: 18)
إِنَّ اللَّهَ يَعْلَمُ غَيْبَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ ۚ وَاللَّهُ بَصِيرٌ بِمَا تَعْمَلُونَ
(6) আল্লাহ আসমান যমীনের অদৃশ্য বিষয় সম্পর্কে জ্ঞাত তিনি অন্তরের বিষয় সম্পর্কেও সবিশেষ অবহিত (Faatir: 38)
إِنَّ اللَّهَ عَالِمُ غَيْبِ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ ۚ إِنَّهُ عَلِيمٌ بِذَاتِ الصُّدُورِ
(7) তিনিই আল্লাহ তাআলা, তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই; তিনি দৃশ্য অদৃশ্যকে জানেন তিনি পরম দয়ালু, অসীম দাতা (Al-Hashr: 22)
هُوَ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ ۖ عَالِمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ ۖ هُوَ الرَّحْمَٰنُ الرَّحِيمُ
(8) বলুন, হে আল্লাহ আসমান যমীনের স্রষ্টা, দৃশ্য অদৃশ্যের জ্ঞানী, আপনিই আপনার বান্দাদের মধ্যে ফয়সালা করবেন, যে বিষয়ে তারা মত বিরোধ করত (Az-Zumar: 46)
قُلِ اللَّهُمَّ فَاطِرَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ عَالِمَ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ أَنتَ تَحْكُمُ بَيْنَ عِبَادِكَ فِي مَا كَانُوا فِيهِ يَخْتَلِفُونَ
(9) যেদিন আল্লাহ সব পয়গম্বরকে একত্রিত করবেন, অতঃপর বলবেন তোমরা কি উত্তর পেয়েছিলে? তাঁরা বলবেনঃ আমরা অবগত নই, আপনিই অদৃশ্য বিষয়ে মহাজ্ঞানী (Al-Maaida: 109)
يَوْمَ يَجْمَعُ اللَّهُ الرُّسُلَ فَيَقُولُ مَاذَا أُجِبْتُمْ ۖ قَالُوا لَا عِلْمَ لَنَا ۖ إِنَّكَ أَنتَ عَلَّامُ الْغُيُوبِ
(10) বলুন, তোমরা যে মৃত্যু থেকে পলায়নপর, সেই মৃত্যু অবশ্যই তোমাদের মুখামুখি হবে, অতঃপর তোমরা অদৃশ্য, দৃশ্যের জ্ঞানী আল্লাহর কাছে উপস্থিত হবে তিনি তোমাদেরকে জানিয়ে দিবেন সেসব কর্ম, যা তোমরা করতে (Al-Jumu'a: 8)
قُلْ إِنَّ الْمَوْتَ الَّذِي تَفِرُّونَ مِنْهُ فَإِنَّهُ مُلَاقِيكُمْ ۖ ثُمَّ تُرَدُّونَ إِلَىٰ عَالِمِ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ فَيُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ
(11) তিনিই সঠিকভাবে নভোমন্ডল সৃষ্টি করেছেন যেদিন তিনি বলবেনঃ হয়ে যা, অতঃপর হয়ে যাবে তাঁর কথা সত্য যেদিন শিঙ্গায় ফুৎকার করা হবে, সেদিন তাঁরই আধিপত্য হবে তিনি অদৃশ্য বিষয়ে এবং প্রত্যক্ষ বিষয়ে জ্ঞাত তিনিই প্রজ্ঞাময়, সর্বজ্ঞ (Al-An'aam: 73)
وَهُوَ الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ بِالْحَقِّ ۖ وَيَوْمَ يَقُولُ كُن فَيَكُونُ ۚ قَوْلُهُ الْحَقُّ ۚ وَلَهُ الْمُلْكُ يَوْمَ يُنفَخُ فِي الصُّورِ ۚ عَالِمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ ۚ وَهُوَ الْحَكِيمُ الْخَبِيرُ ﴿٦: ٧٣﴾
(12) বলুনঃ তারা কতকাল অবস্থান করেছে, তা আল্লাহই ভাল জানেন নভোমন্ডল ভুমন্ডলের অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান তাঁরই কাছে রয়েছে তিনি কত চমৎকার দেখেন শোনেন তিনি ব্যতীত তাদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই তিনি কাউকে নিজ কর্তৃত্বে শরীক করেন না (Al-Kahf: 26)
قُلِ اللَّهُ أَعْلَمُ بِمَا لَبِثُوا ۖ لَهُ غَيْبُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ ۖ أَبْصِرْ بِهِ وَأَسْمِعْ ۚ مَا لَهُم مِّن دُونِهِ مِن وَلِيٍّ وَلَا يُشْرِكُ فِي حُكْمِهِ أَحَدًا
(13) কাফেররা বলে আমাদের উপর কেয়ামত আসবে না বলুন কেন আসবে না? আমার পালনকর্তার শপথ-অবশ্যই আসবে তিনি অদৃশ্য সম্পর্কে জ্ঞাত নভোমন্ডলে ভূ-মন্ডলে তাঁর আগোচরে নয় অণু পরিমাণ কিছু, না তদপেক্ষা ক্ষুদ্র এবং না বৃহৎ-সমস্তই আছে সুস্পষ্ট কিতাবে (Sura Saba: 3)
وَقَالَ الَّذِينَ كَفَرُوا لَا تَأْتِينَا السَّاعَةُ ۖ قُلْ بَلَىٰ وَرَبِّي لَتَأْتِيَنَّكُمْ عَالِمِ الْغَيْبِ ۖ لَا يَعْزُبُ عَنْهُ مِثْقَالُ ذَرَّةٍ فِي السَّمَاوَاتِ وَلَا فِي الْأَرْضِ وَلَا أَصْغَرُ مِن ذَٰلِكَ وَلَا أَكْبَرُ إِلَّا فِي كِتَابٍ مُّبِينٍ
(14) যখন আমি সোলায়মানের মৃত্যু ঘটালাম, তখন ঘুণ পোকাই জিনদেরকে তাঁর মৃত্যু সম্পর্কে অবহিত করল সোলায়মানের লাঠি খেয়ে যাচ্ছিল যখন তিনি মাটিতে পড়ে গেলেন, তখন জিনেরা বুঝতে পারল যে, অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান থাকলে তারা এই লাঞ্ছনাপূর্ণ শাস্তিতে আবদ্ধ থাকতো না (Saba: 14)
فَلَمَّا قَضَيْنَا عَلَيْهِ الْمَوْتَ مَا دَلَّهُمْ عَلَىٰ مَوْتِهِ إِلَّا دَابَّةُ الْأَرْضِ تَأْكُلُ مِنسَأَتَهُ ۖ فَلَمَّا خَرَّ تَبَيَّنَتِ الْجِنُّ أَن لَّوْ كَانُوا يَعْلَمُونَ الْغَيْبَ مَا لَبِثُوا فِي الْعَذَابِ الْمُهِينِ
(15) আপনি বলুনঃ আমি তোমাদেরকে বলি না যে, আমার কাছে আল্লাহর ভান্ডার রয়েছে তাছাড়া আমি অদৃশ্য বিষয় অবগতও নই আমি এমন বলি না যে, আমি ফেরেশতা আমি তো শুধু ওহীর অনুসরণ করি, যা আমার কাছে আসে আপনি বলে দিনঃ অন্ধ চক্ষুমান কি সমান হতে পারে? তোমরা কি চিন্তা কর না ? (Al-An'aam: 50)
قُل لَّا أَقُولُ لَكُمْ عِندِي خَزَائِنُ اللَّهِ وَلَا أَعْلَمُ الْغَيْبَ وَلَا أَقُولُ لَكُمْ إِنِّي مَلَكٌ ۖ إِنْ أَتَّبِعُ إِلَّا مَا يُوحَىٰ إِلَيَّ ۚ قُلْ هَلْ يَسْتَوِي الْأَعْمَىٰ وَالْبَصِيرُ ۚ أَفَلَا تَتَفَكَّرُونَ ﴿٦: ٥٠﴾
(16) তাঁর কাছেই অদৃশ্য জগতের চাবি রয়েছে গুলো তিনি ব্যতীত কেউ জানে না স্থলে জলে যা আছে, তিনিই জানেন কোন পাতা ঝরে না; কিন্তু তিনি তা জানেন কোন শস্য কণা মৃত্তিকার অন্ধকার অংশে পতিত হয় না এবং কোন আর্দ্র শুস্ক দ্রব্য পতিত হয় না; কিন্তু তা সব প্রকাশ্য গ্রন্থে রয়েছে (Al-An'aam: 59)
وَعِندَهُ مَفَاتِحُ الْغَيْبِ لَا يَعْلَمُهَا إِلَّا هُوَ ۚ وَيَعْلَمُ مَا فِي الْبَرِّ وَالْبَحْرِ ۚ وَمَا تَسْقُطُ مِن وَرَقَةٍ إِلَّا يَعْلَمُهَا وَلَا حَبَّةٍ فِي ظُلُمَاتِ الْأَرْضِ وَلَا رَطْبٍ وَلَا يَابِسٍ إِلَّا فِي كِتَابٍ مُّبِينٍ ﴿٦: ٥٩﴾
(17) যখন আল্লাহ বললেনঃ হে ঈসা ইবনে মরিয়ম! তুমি কি লোকদেরকে বলে দিয়েছিলে যে, আল্লাহকে ছেড়ে আমাকে আমার মাতাকে উপাস্য সাব্যস্ত কর? ঈসা বলবেন; আপনি পবিত্র! আমার জন্যে শোভা পায় না যে, আমি এমন কথা বলি, যা বলার কোন অধিকার আমার নেই যদি আমি বলে থাকি, তবে আপনি অবশ্যই পরিজ্ঞাত; আপনি তো আমার মনের কথা জানেন এবং আমি জানি না যা আপনার মনে আছে নিশ্চয় আপনিই অদৃশ্য বিষয়ে জ্ঞাত (Al-Maaida: 116)
وَإِذْ قَالَ اللَّهُ يَا عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ أَأَنتَ قُلْتَ لِلنَّاسِ اتَّخِذُونِي وَأُمِّيَ إِلَٰهَيْنِ مِن دُونِ اللَّهِ ۖ قَالَ سُبْحَانَكَ مَا يَكُونُ لِي أَنْ أَقُولَ مَا لَيْسَ لِي بِحَقٍّ ۚ إِن كُنتُ قُلْتُهُ فَقَدْ عَلِمْتَهُ ۚ تَعْلَمُ مَا فِي نَفْسِي وَلَا أَعْلَمُ مَا فِي نَفْسِكَ ۚ إِنَّكَ أَنتَ عَلَّامُ الْغُيُوبِ
(18) আর আল্লাহর কাছেই আছে আসমান ও যমীনের গোপন তথ্য; আর সকল কাজের প্রত্যাবর্তন তাঁরই দিকে; অতএব, তাঁরই বন্দেগী কর এবং তাঁর উপর ভরসা রাখ, আর তোমাদের কার্যকলাপ সম্বন্ধে তোমার পালন